সৌরভ ভট্টাচার্য
1 March 2019
একজন শিশু জীবনানন্দের বনলতা সেন মুখস্থ বলছে। ফেসবুকেই ঘুরছে দেখছি পোস্টটা। আমার খুব অস্বস্তি হল দেখে। যার অর্থ সে শিশু কিছুই বুঝছে না, যার রস সে পাচ্ছে না, শুধুমাত্র পিতামাতার মূঢ় গর্বের জন্য কিম্বা মানুষের আমোদের জন্য তাকে এমন ভাবে সবার সামনে নিয়ে আসা এক অদ্ভুত মানসিকতার পরিচয় বলে আমার মনে হয়।
সার্কাসে প্রতিটা প্রাণী যা করে তা বাধ্য হয়েই করে। সে জন্তু, মানুষের শখের কাছে, দাবীর কাছে সে অসহায়। আপনাদের শিশুটিকে অনুগ্রহ করে সেই সার্কাসের প্রাণীটির তুল্য করে তুলবেন না এ আমার একান্ত অনুরোধ, নিছক খানিক জনপ্রিয়তার আশায়। আমাদের বাংলা সাহিত্যে অমূল্য রত্ন সব ছড়িয়ে আছে শিশুদের জন্য। সে ছড়া, সে কবিতা তাদের বোধ, তাদের কল্পনা, তাদের চেতনাকে সুস্থ সবল করে বিকশিত হতে সাহায্য করবে। সেইগুলো আসুক না। আমরা সত্যি অর্থে আপ্লুত হই। তার শিশুমনের সতেজ নিষ্পাপ কল্পনায়, কণ্ঠস্বরে উজ্জীবিত হই! কেন শুধু শুধু তাকে ব্যবহার করা? তার শৈশবকে যেন সম্মানিত করতে শিখি, এইটুকু অনুরোধ।
আমার এই পোস্ট কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণের জন্য নয়, শুধুমাত্র আমার অস্বস্তিটুকুকে জানানোর জন্য।