Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

খোলো

দুটো হাত মুঠো
    বহুক্ষণ হল,
        ঘাম জমছে
...

খেলছে সাদাকালো

তোমার মনে হতেই পারে
   মানুষ বড় স্বার্থপর 
      সে তো চিরকালই বলো

অতশত না ভেবে ভাই
      নিজের মনে চলো

তোমার মনে হতেই পারে
    মানুষ বড় অবুঝ
    সে তো চিরকালই বলো

অতশত না ভেবে ভাই
       নিজেই বুঝে চলো

খোঁজো নিজ অন্তঃপুরে

রমণ মহর্ষি উত্তর দিতেন না। প্রশ্ন করতেন। একজন এসে বললেন, আমি দীর্ঘদিন জপ করছি, কিন্তু আমার প্রাণে কোনো শান্তি নেই। রমণ মহর্ষি জিজ্ঞাসা করলেন, কে জপ করছে?

   প্রশ্নকর্তা হয় তো বুঝতে না পেরে রমণ মহর্ষির মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন; রমণ মহর্ষি বললেন, তুমি খোঁজো কে জপ করছে।
...

খিদে

চায়ের দোকানের সামনে অল্প অল্প ভিড়। একটা বড় টিনের কৌটো নিয়ে রোগা একটা মানুষ টিউবলাইটের নীচে দাঁড়ালো। কিছু মানুষ আছে না, যারা কথা না বলে থাকতে পারে না, এ-ও সেই গোছের। আমি বেশ কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে, তবু সে হেসে হেসে আমার দিকে তাকিয়েই বলতে শুরু করল, দুপুরে খুব খিদে পেল বুঝলেন... অত দুপুরে এই করুনার সময় কে আমার জন্য হোটেল খুলে ভাতের থালা নিয়ে বসে আছে বলুন? আমি এই থেকেই টপাটপ দুটো ইডলি তুলে খেয়ে নিলাম...
...

খিদে পেরোনো ক্রুশের গল্প

বিছানা গুছিয়ে রেখে ছাদে চলে গেল। ছাদের কার্নিশ ঘেঁষে দাঁড়ালো। মুঠোর মধ্যে ধরা চারটে ভিজানো ছোলা-বাদাম। মুখের মধ্যে পুরে দিতেই স্বাদ – বাইরের জগতের স্বাদ। এই ছোলা-বাদাম তার নিজের না। বাইরের। তার নিজের মুখের মধ্যে শুধু লালা। অপেক্ষা করেছিল খাদ্যের। দাঁত অপেক্ষা করেছিল। চূর্ণবিচূর্ণ করতে করতে নিজের ধর্ম পালন করছে।
...

খিচুড়ি ও বিদ্যাপতি

জমা জল নিয়ে অশান্তি। বাড়ির সামনেটায় বৃষ্টি হলেই জল জমে। ব্যাঙ লাফায়। কেঁচো চলে আসে। সাপও যে আসে না তা নয়। আগে ফাটা টালি দিয়ে জল পড়ত, সেটা যে পড়ে না, এই রক্ষে। মারা যাওয়ার আগে একটা পাকা ছাদ তুলে দিয়ে গেছে।
...

খবর

ষোলোই অগাস্ট, সাতাশে জানুয়ারি ইত্যাদি দিনগুলোতে কোনো খবর তৈরি হয় না। বাড়ির দরজার সামনে কয়েকটা ভাঁজ করা পাতায় বিশ্বের নিরানব্বইভাগ খারাপ আর একভাগ ভালো খবর নিয়ে কেউ শুয়ে থাকে না আমার তুলে নেওয়ার অপেক্ষায়। সারাদিন মনে হয়, কে যেন আসেনি, কে যেন আসেনি আজ।
...

খালি পা

শীতের সকালে রোদের আমেজ মেখে রসিক মিঞা বসে।
আজকাল বিক্রি-বাট্টা কম। জোয়ান বয়সের মত অত পারে না এখন। তাছাড়া এ ধানতলায় এখন
দোকানেরও অভাব নেই। বদর ১৯০ টাকা কেজি চিকেন দিলে, জগন্নাথ হয় তো দেখো দিচ্ছে ১৭০ টাকায়। ...

খদ্দের

দোকান বন্ধ করে নন্দদুলাল মাফলারটা জড়িয়ে বেরোতে যাবে, এমন সময় একজন এসে দাঁড়ালো।

খেলনার দোকানগুলো

বিশ্বকর্মা পুজো মানে দারুণ উত্তেজনা। উঁহু, এই আজকের কথা না, সে বহুযুগ আগেকার কথা, যখন আমার উচ্চতা কম ছিল, দাড়িগোঁফ হয়নি, কেশ কৃষ্ণবর্ণ ছিল, চোখে চালসে পড়েনি, এবং সর্বোপরি সংসারে নানা বস্তুর উপর কুতুহল ছিল বেজায়।

খোঁজ

"এত দূরে গিয়ে ছাড়বি যেন আর ফিরে আসতে না পারে... এবার ফিরে এলে তোদের দুটোর পিঠে এই বাটামটা ভাঙব দেখিস”....
             একটা বস্তায় ভরে ছেড়ে এসেছিল। সাইকেলের পিছনে বস্তা ধরে বসেছিল ছোটোভাই। কথা বলছিল না, কাঁদছিল। জানে সে। প্যাডেলে চাপ দিতে বুকে লাগছিল। যেন খায়নি অনেকক্ষণ। অনেক ঘুরে ঘুরে মাঠে গিয়ে যখন ছাড়ল, তখনও বাচ্চাটা লেজ নেড়ে নেড়ে দুই ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল। যেন বেড়াতে নিয়ে এসেছে। ভাই একটা বিস্কুট ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিল, যা!..... তারপরেই ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলেছিল। বলেছিল, দাদা, আমরা ওকে রোজ দেখতে আসব, আসবি?

খাঁটি বাস্তব

যে মানুষ অপমানের উপযুক্ত জবাব দিতে পারে না, সে মনের মধ্যে গুমরে মরে। সে তখন একটা খেলায় মাতে। সে প্রতিপক্ষকে কল্পনায় ভেবে নিয়ে তার মুখে কাল্পনিক অপমান বাক্যগুলো তৈরি করে তার উত্তর দেয় মনে মনে। এ এক যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। ক্রমশ এ খেলা তাকে গ্রাস করে নেয়। সে রাতদিন নিজেকে দ্বিধাবিভক্ত করে, এক খণ্ড প্রতিপক্ষকে দেয়, আরেকপক্ষকে নিজের দিকে রাখে। ক্রমশ সে মনে মনে দুর্বল হয়। বুঝতেও

খাস্তগীর আর হরেকমাল

খাস্তগীর রোজ কোনো একটা নতুন কারণে কষ্ট পায়।

    খাস্তগীর যা যা হতে পারত নিজেকে ভাবে, আর যা হয়েছে, এই দুটোর মধ্যে মিল খুঁজতে গিয়ে রোজ কষ্ট পায়। 

খবরের কাগজ

বাংলা উচ্চারণে 'র' আর 'ড়' খুব সাংঘাতিক শব্দ। "আজি ঝড়ো ঝড়ো মুখড়ো বাদড় দিনে"... এরকম গান শোনার অভিজ্ঞতা নেই এমন সরেস কর্ণধারী বাঙালি মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম। 

    আমার এখানে আলোচ্য বিষয় হল, আমি খবরের কাগজ 'পড়ব' না 'পরব', এই বিষয় নিয়ে। দেখুন এই প্রথম আমি দুটো শব্দকেই এক বিষয়ে চাক্ষুষ করলাম। 

খয়ের

ভিক্ষায় বেরোতে আলিস্যি লাগে এখন। বৃষ্টি পড়লে তো আরো। বিছানায় শুয়ে শুয়েই চালডালের হিসাব হল। আরো দুদিন চলে যাবে। দেওয়ালের কোণে একটা মাকড়সা। ঝড়জলে ঘরে এসে ঢুকেছে। ঘরে যা আরশোলা ওর সারাজীবন চলে যাবে। পশুপাখি-কীটপতঙ্গ ভিক্ষা করে না। খাবার খোঁজে। কাড়াকাড়ি করে। সে ভিক্ষা করে। রত্না বোষ্টুমি। লোকে বলে। সে নিজেকে বলে - "অখাদ্য!" যত বয়েস বাড়ছে তত মাথার মধ্যে প্যাঁচ বাড়ছে। সংসার

খোলস

"কতবার বলেছি তোকে হাগা পোঁদে পুজোর ফুল তুলবিনি…. তুলবিনি... সেই তুই…."

    "আহা দিদি, মিথ্যা চটো... ভগবান পোঁদ দেখেন না, হৃদয় দেখেন…. পড়োনি শাস্ত্রে…. ঠাকুর রামকৃষ্ণও তো বলেছেন---"

খেলার মাঠ

সাইকেলে ভর দিয়ে হাঁটতেন। সাইকেল চালাতেনও।

    রাস্তার পাশে মাঠ। কিছু বাচ্চা ফুটবল খেলছিল। বল এসে লাগল সাইকেলে। টাল সামলাতে না পেরে পড়লেন রাস্তায়। কনুই ছিলে রক্ত বেরোলো। কোমরে চোট পেলেন। ছেলেগুলো ভাবল উঠে যখন বসেছেন তখন নিশ্চয়ই দাঁড়িয়েও পড়বেন। উঠে সাইকেল চালিয়ে চলে যাবেন। তাই তারা হইহই করে "সরি দাদু… সরি সরি" বলতে বলতে মাঠে নেমে গেল।

খবর

নমস্কার, খবর পড়িতেছি, শ্রদ্ধানবদ্ধ মুখোপাধ্যায়,

খেলার সাথী

স্টেশানের বাঁধানো বেঞ্চে বসে, বৃদ্ধা। হাতে জপের থলি। গায়ে নামাবলী। কপালে চন্দনের তিলক। তাকিয়ে আছে উল্টোদিকের প্লাটফর্মে। দুটো বাচ্চা, যে বাচ্চারা স্টেশানেই জ

খিচুড়ি পায়েস আর চাঁদের আলো

মেলায় চারদিকে দেখি কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে খাচ্ছে। উঁহু, বইমেলা নয়, গাজীর মেলা। চারদিকে ধানক্ষেত। মাঝে গাজীবাবার সমাধি। তারপাশে বিরাট প্রকাণ্ড এক গাছ। চারদিক থে

খামচ

নগেনের বউয়ের বাচ্চাটা পেটেই মরল। মরবে না?

খেলা

সব আগে থেকেই স্থির। এই আকাশের রঙ, এই সমুদ্রের ঢেউ, এই জঙ্গলের মর্মর ধ্বনি… এই রক্তের রঙ… এই চোখের জলের স্বাদ… সব সব সব স্থির…..

খেলার ছুটি

রাতের রুটি সব করা হল। এইমাত্র। গা ধুতে বাথরুমে ঢুকে দরজাটা বন্ধ করতেই মনে হল, ছোটোবেলার খেলার সঙ্গীরা এসে গেছে। জল নিয়ে দাপাদাপি হল। স্নান হল। প্রিয় সাবানের