Skip to main content

যে মানুষ অপমানের উপযুক্ত জবাব দিতে পারে না, সে মনের মধ্যে গুমরে মরে। সে তখন একটা খেলায় মাতে। সে প্রতিপক্ষকে কল্পনায় ভেবে নিয়ে তার মুখে কাল্পনিক অপমান বাক্যগুলো তৈরি করে তার উত্তর দেয় মনে মনে। এ এক যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। ক্রমশ এ খেলা তাকে গ্রাস করে নেয়। সে রাতদিন নিজেকে দ্বিধাবিভক্ত করে, এক খণ্ড প্রতিপক্ষকে দেয়, আরেকপক্ষকে নিজের দিকে রাখে। ক্রমশ সে মনে মনে দুর্বল হয়। বুঝতেও পারে না সে পায়ের তলার মাটিকে নিজেই খুঁড়ছে নিজের অজান্তে।

    তারপর একদিন সত্যিকারের সেই অপমানকারী মানুষটা যখন তার সামনে এসে দাঁড়ায় তখন সে তাকে আরো শক্তিশালী ভাবতে শুরু করে। কারণ সে তার কল্পনা দিয়ে অল্প অল্প করে নিজের মধ্যেই তাকে আরো শক্তিশালী বানিয়েছে, যা সে আদৌ নয়। কোনো অপমানকারীই আদতে শক্তিশালী হয় না, কর্কশ হয়। কোনো কারণে যখন মানুষ নিজের কাছে নিজের ইমেজের সামঞ্জস্য হারিয়ে ফেলে তখন ইনসিকিউরড ফিল করে। তখন সেই ইনসিকিউরড ফিলিংসটা ঢাকতে অন্যকে অপমান করে। এ প্রাচীন সত্য।

    তবে এই খেলা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে বিপদ। যখন যাকে যে উত্তর দিতে হয় তাকে সে উত্তর দিতেই হয়। আর ক্ষমতা থাকলে একেবারে গায়ে না মাখলেই হয়। তবে কোনো মতেই তাকে মনের মধ্যে নিয়ে এসে ছায়াযুদ্ধ করে লাভ নেই কোনো। আরো দুর্বলতা ছাড়া অবশেষে কিছুই জুটবে না কপালে। তাই ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ না। খাঁটি বাস্তব মোকাবিলাই দরকার।