নমস্কার, খবর পড়িতেছি, শ্রদ্ধানবদ্ধ মুখোপাধ্যায়,
ঈশ্বরের আশীর্বাদে ভূমিকম্প হইয়াছে। বহু প্রাণ দেহ কারাগার হইতে মুক্ত হইয়া পরমধামে গিয়াছে। যাইয়া পৌঁছ সংবাদ পাঠাইয়াছে। বহু গৃহ ভূপতিত হইয়া যাতায়াতের পথ করিয়া দিয়াছে। অদ্য পথে আর গৃহে কোনো প্রকার ভেদ নাই। চতুর্দিকে মানুষের হা হুতাশ দেখিয়া বহু প্রাণে বৈরাগ্য সঞ্চার হইয়াছে। যাহাতে দেশের অধ্যাত্মিক ভবিষ্যতের ভিত সুপরিপক্ক হইয়াছে।
গৃহ পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা নাই আপাতত। দেখা গিয়াছে রোদে জলে যাহারা বাড়িয়া ওঠে তাহারা শক্তিশালী হয় অধিক।
কিছু কিছু নিন্দুক ক্ষয়ক্ষতি ইত্যাদি লইয়া হিসাব দিতেছে। তাহারা মিথ্যুক। কারণ শ্রদ্ধা ব্যতীত সত্য লাভের পথ নাই। তাহারা তাহা জানে না। সংখ্যাতত্ত্ব, ঘটনা, বাস্তব ইত্যাদি সব শ্রদ্ধায় সঠিক অর্থে উপনীত হইয়া থাকে। অশ্রদ্ধায় কেবলই অশান্তি, অব্যবস্থার সৃষ্টি হইয়া থাকে। মহাভারত উদাহরণ। যে শান্তি গান্ধারী পাইয়াছিলেন চক্ষুর উপর কাপড় জড়াইয়া, শুধুমাত্র ধৃতরাষ্ট্রে বিশ্বাস স্থাপন করিয়া, তাহা মহাভারতের আর কেহই পায় নাই। পুত্রশোক? উহা ভাগ্যের পরিহাস। কাহারো হাত নাই।
যাহা হউক। নিন্দুকদের স্থল কোথায় হওয়া উচিৎ শ্রদ্ধাশীল মানুষ মাত্রেই জানেন। যত শীঘ্র সম্ভব উহাদের ব্যবস্থা নেওয়া হইতেছে। উহাদের বাকশক্তি সংকীর্ণ দৃষ্টি দ্বারা দুষ্ট। তাহাকে যত শীঘ্র ত্যাগ করা যায় মঙ্গল। নইলে গোটা দেশের মধ্যে ক্ষুদ্র দৃষ্টি হইবার সম্ভাবনা।
আজ এত অবধিই। সকলে সুখী হইবেন শ্রদ্ধাশীল হইবেন। শান্তিতে থাকিবেন।