অবুঝ
অভ্যাসে অসাড়
অভ্যাসে অসাড় আঙুলের সব চলাফেরা
একটু ভালোবাসার জন্য রং ফুটে হাঁটা
অপেক্ষা
সকালের আলোয়
ফুটবে বলে ...
অমানিশা
অসহ্য
১
---
রত্না সিমেন্ট বাঁধানো বেঞ্চে বসে। বিকাল পাঁচটা। সদ্য দূর্গাপূজো গেল। লক্ষীপূজোও। রত্নার ছেলে বউ নাতি নাতনি কেউ আসেনি। ওরা আসবে না, বউমা বলেছে (নিজেও চায় না)। “কনকা” বৃদ্ধাশ্রমটা তাদের বাড়ি থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার হবে। রত্না আশা করে না আর।
অযাচিত
ধূপের মত
অপেক্ষা
অষ্টমী
কুসুমের এই সময়টায় অনেক কাস্টমার। কোমরে ব্যাথা হয়। তলপেটটাও টাটায়। তবু অন্যদিনের মত ঘুমিয়ে পড়ে না ভোরের দিকে। পূজোর দিনগুলো ডালা সাজিয়ে প্যাণ্ডেলে যায়। আজ অষ্টমী। পুরোহিত বসে প্রতিমার সামনে। তার আরেক কাস্টমার। পুরোহিতের দুইদিকে দুই নারী। মাটির আর রক্তমাংসের। পুরোহিতের মন্ত্রপড়ার আওয়াজ বেড়ে যায়..ওঁ অপবিত্র পবিত্রবা সর্বাবস্থাং...
অপ্রাসঙ্গিক
...
অমঙ্গল
...
অসমাপ্ত আরতি
কালো মেঘের সাথে গঙ্গার বোঝাপড়া
উত্তাল গঙ্গা ফুঁসে ফুঁসে উঠছে
কালো বুনোমোষের দল আকাশ থেকে
...
অতি নৈকট্যের আড়াল
...
অনেক অবসর আছে
...
অসিদ্ধি
...
অন ইয়োর মার্ক
একজন ভক্ত জিজ্ঞাসা করতে গেলেন কিছু। তিনি মাথা না তুলেই উত্তর দিলেন, "পরে কথা হবে। এখন ব্যস্ত"।
...
অনুসরণ
বউটা দৌড়ে গেল আরেক বাড়ির কাজে
ভীষণ তাড়া। শীতের বিকাল। সন্ধ্যা নামে তাড়াতাড়ি।
...
অবিন্যস্ত
আমার ঘর জুড়ে যে সাজানো গোছানো শান্তি ছিল
...
অর্থহীন
একটা সুর বেজে চলেছে দূরে কোথাও। কান পেতে শুনলে মনে হচ্ছে, দূরে কই, এই তো কাছে আমারই বুকের মধ্যে বেজে চলেছে সে। সুরটা যেন প্রথম কানে এলো, কিন্তু অচেনা নয়। নিজের ভিতর নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে শুনছি, বেজেই চলেছে, বেজেই চলেছে সে সুর। এখনই যেন বর্ষা নামবে, ভিজে চুপচুপ হবে আমার সমস্ত আমি। ভিজতে ভিজতে আমি শুনব, ভাবব - কে বাজালো এই সুর?
অকাল বর্ষণ
হেরম্ব বিশ্বাস মহাশয় মস্তকে ছাতা, গায়ে হাফ সোয়েটার নিয়ে গ্রীষ্মের ঘামের ন্যায় স্নাত হইতেছিলেন। রাস্তার চৌমাথায় দাঁড়াইয়া ইতিউতি চাহিয়া যাহা খুঁজিতেছিলেন, তাহা হইল একটি বিশুদ্ধ প্রস্রাবাগার। বৃষ্টি পড়িলে তাহার রেচনাবেগ কিঞ্চিৎ বর্ধিত হয়। লোকমুখে শ্রুত হয় তাহার বাল্যকালে বর্ষাকালে আশেপাশের গ্রাম হইতে গোযান করিয়া কাঁথা আসিত।
অনুভব
সবই কি ব্রেকিং নিউজ?
অনুভব মানে কি তবে?
অরণ্য দাবী করো
একটা গাছ কোনোদিন লাগালে না,
আজ গোটা অরণ্য দাবী করো
কি স্পর্ধা তোমার!
অতলবাবু
ধরি মানুষটার নাম 'অতল'। মানুষটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে - সবটাই অভিনয়। ঘুম থেকে উঠে চায়ের দোকানে উনুনে আঁচ দেয় যে বাঁ হাতভাঙা বেঁটেখাটো লোকটা- সে থেকে শুরু করে, মাঝরাত্তিরে বাসটা গ্যারেজে রেখে ঝিমোতে ঝিমোতে ফেরা ড্রাইভার অবধি - সবাই অভিনয় করছে। বড়লোকদের আরো সুক্ষ্ম অভিনয়, লড়াই করে বাঁচা মানুষদের স্থুল। ছিরিছাঁদহীন।
অতীন্দ্রিয়বাদ-রোম্যান্টিসিজম-ধম্মকম্ম
রোম্যান্টিসিজম এ যদি একটা ক্ষতির আশঙ্কা না থাকত তবে শব্দটা মাহাত্ম্য হারাতো। ভয়কে জয় করে নিজের আবেগ, ভালোবাসাতে প্রতিষ্ঠিত হতে চাওয়ার প্রয়াস অথবা সাধনার ভিত্তিই এই রোম্যান্টিসিজম। নতুনকে নতুন ভাবে দেখতে শুধু রুচি লাগে না, সাহস লাগে, আত্মবিশ্বাস লাগে। প্রথা ভেঙে নতুন পথের ভগীরথ হতে শুধু বিচক্ষণতা লাগে না, ধৈর্য্য, অধ্যবসায় আর প্রাণের তীব্র আকাঙ্ক্ষা লাগে। প্রাথমিকভাবে চারপাশের চূড়ান্ত বিরোধিতা আ
অর্বাচীন প্রশ্ন
আমার মনে খুব একটা কঠিন প্রশ্ন গজিয়েছে। বলে ফেলি, কি বলেন।
প্রশ্নটা হল, আচ্ছা ফেলুদাকে নিয়ে সত্যজিৎবাবু ছাড়া আর কেউ লিখেছেন?
কিম্বা ব্যোমকেশকে নিয়ে শরদিন্দুবাবু ছাড়া আর কেউ লিখেছেন?
অথবা ঘনাদাকে নিয়ে পেমেন মিত্তির ছাড়া, বা নিদেন কাকাবাবু কিম্বা কর্ণেলকে নিয়ে সুনীলবাবু, সৈয়দবাবু ছাড়া....
অর্থহীন
আসলে তো সব অর্থহীন।
অর্থ কিছু বানিয়ে নিই।
অর্থ কিছু বানিয়ে দিই।
আসলে তো সব অর্থহীন।
উদ্দেশ্যহীন। শূন্যে লীন।
সব যুক্তির শেষে দাঁড়ানো
যুক্তিহীন।
আসলে তো সব অর্থহীন
অর্থহীন অর্থহীন।
অমল
অমল তো একটা বয়েস কিম্বা একটা লিঙ্গ না। অমল একটা বাধ্যতামূলক অবস্থা। অমল একটা ইচ্ছা। একটা আস্পৃহা। একটা গভীর নিষ্পাপ কৌতুহল। তীব্র বাঁচার ইচ্ছা। ভালোবাসার ইচ্ছা।
হাস্পাতাল, ট্রেন, স্টেশান, রাস্তাঘাট, ট্রামবাস, বাড়ির আধখোলা জানলায় যে কত কত অমলকে দেখি। হাতটা বাড়িয়ে আছে অথচ এগোতে পারছে না। কে ধরবে? সবাই ব্যস্ত যে!
অমৃত
তোমরা অমৃত কোথায় দেখো?
আমি তো যন্ত্রণাই দেখি চারদিকে,
অসহ্য যন্ত্রণা!
এত যন্ত্রণা সহ্য করেও তবু টিকে থাকতে চাইছি
সেই ইচ্ছাই কি তবে অমৃত?
অভাবটা তোমার
কান্নাটা আমার
যন্ত্রণাটা আমার
অভাবটা
তোমার
অসহ্য হয়ে উঠছে
দিন দিন অসহ্য হয়ে উঠছে। চিকিৎসা অনেকাংশে একটা পরিকাঠামো নির্ভর ব্যবস্থা। আমি নিজে কিছু কিছু অমানবিক ঘটনা লিখেছি। কিন্তু পুরোটাই তো তা নয়! আর এবার যে ঘটনা মেদনীপুরে হল তাকে নিন্দা করার মত ভাষা আমার অন্তত জানা নেই।
অথ কেশবেশ কথা
কেশ শুভ্র হইল বিদ্যালয় জীবনে।
মা কহিল একি বাছা কোথা পাব কনে।।
বলিলাম আশ্বাসিয়া এত কেন ভাবো।
সময় হইলে সে অবশ্য আসিব।।
দিন যায় কেশ পাকে মাতার বাড়ে ভয়।
সন্তান বুঝি বা তবে চিরকুমার রয়।।
কলেজ অতীত হইলে আনিয়া গার্ণিয়ার।
দুশ্চিন্তা হইতে মাতঃ পাইলেন নিস্তার।।
চলিল সে কেশ রাঙানো পর্ব নিরন্তর।
মাতঃ ভাবেন কনে এবে জুটিবে সত্ত্বর।।
অবস্থা বেসামাল!
অর্ধসত্য
অরিগামি
...
অনবরত
অনবরত আগুনকে দু'ফালা করে রাস্তা কাটছি
অনবরত সমুদ্রের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বলছি, তফাত যাও, আমি হাঁটব
অনবরত এক একটা মৃত্যুকে কোলে নিয়ে নিয়ে
চলার ভারসাম্য রাখার চেষ্টায় আছি
অপেক্ষা
একজন মানুষ অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। যতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে পা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা তার থেকেও বেশিক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। মানুষটার মাথার উপর কৃষ্ণচূড়া ফুলের ঝাঁকি গাছ ভর্তি, কি সুন্দর করে একটা পাখি ডাকছে, মানুষটা ভ্রুক্ষেপ করছে না। হাতের সিগারেটটাকে জোরসে আঁকড়ে নি
অচ্ছুৎ টুইটার ও ব্রাহ্মতন্ত্র
১) “বাহ্যেন্দ্রিয় ও অন্তরিন্দ্রিয়ের সংযম, কায়িক, বাচিক ও মানসিক তপস্যা; অন্তর্বহিঃ শৌচ, ক্ষমা, সরলতা, শাস্ত্রজ্ঞান ও তত্ত্বানুভূতি এবং শাস্ত্রে ও ভগবানে বিশ্বাস – এই সকল ব্রাহ্মণের স্বভাবজাত ধর্ম” - গীতা