কুসুমের এই সময়টায় অনেক কাস্টমার। কোমরে ব্যাথা হয়। তলপেটটাও টাটায়। তবু অন্যদিনের মত ঘুমিয়ে পড়ে না ভোরের দিকে। পূজোর দিনগুলো ডালা সাজিয়ে প্যাণ্ডেলে যায়। আজ অষ্টমী। পুরোহিত বসে প্রতিমার সামনে। তার আরেক কাস্টমার। পুরোহিতের দুইদিকে দুই নারী। মাটির আর রক্তমাংসের। পুরোহিতের মন্ত্রপড়ার আওয়াজ বেড়ে যায়..ওঁ অপবিত্র পবিত্রবা সর্বাবস্থাং...
কুসুম চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকে। সে দেখে অসুরের চোখে কামনা। দূর্গাও যেন তাকে তাই মারতে চেয়েও মারতে পারে না। তাই এ বধের পালা শেষ হয় না। ফি বছর হয়।
কুসুম বাড়ি ফেরে। তার হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। হোক। এই সময়েই যা কামিয়ে নিতে হবে।
তার মনে ভাসছে অসুরের চোখ...কানে পুরোহিতের মন্ত্র। আরো কার যেন চোখে কামনা ..কোন এক নারীর...কে সে? নিজের না দূর্গার? হাজার হোক মেয়ে মানুষ তো দুজনেই। হোক না দশটা হাত, সে তো পুরুষেরই কাজে লাগবে শেষে...
কুসুম সেদিন স্বপ্ন দেখে, তার দশটা স্তন আর দশটা যোনি। আর তার আশেপাশে শুয়ে ন'টা অসুর আর সেই পুরোহিত। দশটা লিঙ্গ। আরো স্বপ্ন দেখে..মাটি নিতে এসেছে..... দূর্গামূর্তি তৈরি হবে....সে অট্টহাসি হাসতে হাসতে বলছে...ওরে ওইখানকার মাটি নে রে...ওই মাটিতে মুতেছি আমি কাল...নিয়ে যা...হাঃ...হাঃ...হাঃ.....
সৌরভ ভট্টাচার্য
9 October 2016