সৌরভ ভট্টাচার্য
5 December 2016
সে আলো মানে বুঝত ছায়া তৈরির কারণ। শুধুই ছায়া তৈরির কারণ। আলোর যেন আর কোনো দরকারই ছিল না ওর জীবনে। যদি কিছুতেই ছায়া না পেত কোথাও, নিজেই দাঁড়াতো বুক চিতিয়ে, বলত, ওই দেখ ছায়া, আলোর দর্পনাশী ছায়া।
আলো অসহায়ের মত ওর শরীরের উপর এসে পড়ত, বলত, "একটু ঝোঁকো, ছায়া যাবে মিলিয়ে।"
সে বিদ্রুপ করে, জ্ঞানীর মত কঠিন নিশ্চিত স্বরে বলত, "ঝুঁকতে হবে আমায়?! কেন?! ছায়া তৈরির দায় কি আমার? সব তো ছিল কালো। তুমিই তো এসে বাধালে গোল। এখন বলছ, সরো..যেন আমিই করেছি ছায়া!"
আলো একা দাঁড়িয়ে থাকত ওর পাশে, তবু ভালোবেসে। ও দাঁড়িয়ে থাকত আলো আর ছায়ার ঠিক মধ্যখানে।
ইতিহাসে এমন গল্প অনেক আছে। পড়িনি সব। তবু জানি।
সে প্রেমকেও বলে ঈর্ষা সৃষ্টির কারণ। 'আমার' শব্দটা মানে ও বোঝে প্রেম। জলের ভিতর যে বুদবুদ, বোঝে না ওগুলো হাওয়াকে ঘিরে তৈরি, হাওয়াকে রুদ্ধ করা যায় হয় তো খানিক, বদ্ধ করা যায় না। একদিন সে বুক বিদীর্ণ করে যাবেই। আবদ্ধ করলেই বদ্ধ হতে হয় নিজেকে। বোঝে না। অবুঝ।