দিন দিন অসহ্য হয়ে উঠছে। চিকিৎসা অনেকাংশে একটা পরিকাঠামো নির্ভর ব্যবস্থা। আমি নিজে কিছু কিছু অমানবিক ঘটনা লিখেছি। কিন্তু পুরোটাই তো তা নয়! আর এবার যে ঘটনা মেদনীপুরে হল তাকে নিন্দা করার মত ভাষা আমার অন্তত জানা নেই।
মাথা ঠাণ্ডা করে বুঝবার সময় এসেছে বহুদিন। রক্তারক্তি কোনোদিন সমাধানের পথ হতে পারে না। অভিযোগ থাকতেই পারে, তার নির্দিষ্ট পথও আছে জানানোর, প্রকাশ্যে আনার। কিন্তু একি! এ তো বর্বরোচিত ব্যবহার লাগাম ছাড়া হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমার নিজের পরিচিত বহু চিকিৎসক আছেন, তাদের জন্য ব্যক্তিগতভাবে ভয় পাচ্ছি, আর সমষ্টিগত দুশ্চিন্তা তো রইলই।
প্রশাসন যদি না আরো তৎপর হয়ে, শাকের টাকা যদি ক্রমাগত মাছে ব্যয় হয়, কিম্বা পরিকাঠামো, চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানোতে আরো তৎপর না হয়, তবে ভবিষ্যতে আরো জটিলতা সৃষ্টি হবে। শ্রেণীশত্রু তৈরি করে কোনো সমাজ এগোতে পারে না। তাতে শুধু ঈর্ষা, হীনমন্যতা আর অবিশ্বাসের বীজ বোনা হয়। সচেতন না হলে সমূহ বিপদ!
সৌরভ ভট্টাচার্য
30 August 2017