সৌরভ ভট্টাচার্য
20 August 2017
কেশ শুভ্র হইল বিদ্যালয় জীবনে।
মা কহিল একি বাছা কোথা পাব কনে।।
বলিলাম আশ্বাসিয়া এত কেন ভাবো।
সময় হইলে সে অবশ্য আসিব।।
দিন যায় কেশ পাকে মাতার বাড়ে ভয়।
সন্তান বুঝি বা তবে চিরকুমার রয়।।
কলেজ অতীত হইলে আনিয়া গার্ণিয়ার।
দুশ্চিন্তা হইতে মাতঃ পাইলেন নিস্তার।।
চলিল সে কেশ রাঙানো পর্ব নিরন্তর।
মাতঃ ভাবেন কনে এবে জুটিবে সত্ত্বর।।
পাত্রী জুটিবে কিগো বিধি যদি বাম।
ইত্যবসরে মাতৃদেবীও গেলেন স্বধাম।।
তারপর বন্ধুগণের পড়িয়া খপ্পরে।
কেশ রাঙানো পর্ব মুই ছাড়িতে না পারে।।
এবে যেই হইল চল্লিশ কহি করজোড়ে।
দে আমারে রেহাই বাছা কেশসজ্জা ছেড়ে।।
আকুতি মিনতি প্রচুর চলিল বহুমাস।
অবশেষে নিমরাজি তারা ছাড়ি দীর্ঘশ্বাস।।
এবে সেই চিত্র আনি সবার সম্মুখে।
কি আনন্দ পাইলাম আত্মপ্রকাশ সুখে।।
এইবার থামি আমি, বহু গালাগালি আভি।
আসিতেছে ধাইয়া নিস্তার নাহি।।