বালিকা
গায়ে একটা নীল রঙের পোশাক। বালিকা দৌড়ালো পাখির আওয়াজ শুনে। ঘন জঙ্গল পেরিয়ে ছুটছে সে, মাথার উপর নীল আকাশ। চারদিকে বৃষ্টিভেজা সবুজ বন। একটা নীল রঙা নদীর তীর ধরে বালিকা ছুটছে। যেন এক টুকরো নীলাকাশ এই ঘন বনের মধ্যে, সবুজের সাথে লুকোচুরি খেলছে। বালিকার পিছু পিছু একঝ
বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি
কোনো নীতিই যখন কৈফিয়ত কিম্বা জবাবদিহির তোয়াক্কা করে না, তা অবশ্যই দুর্নীতি। কোনো মানুষও।
বড় রাস্তার দুধারে দুটো প্রাচীন বটগাছ
বড় রাস্তার দুধারে দুটো প্রাচীন বটগাছ
ওদের পাশ কাটিয়ে আসতে মনে হল
রাস্তার দুপাশে
এমন কয়েকটা প্রাচীন গাছ থাকা জরুরী
বিষগাছ
বন্দর
শেষ জাহাজ কবে ছেড়ে গিয়েছে মনে নেই
এমন কোনো এক পরিত্যক্ত শ্রীহীন বন্দরে
সেদিন পূর্ণিমার আলো এসে পড়েছিল
নাম না জানা কোনো এক পাখি ডেকে যাচ্ছিল অবিরাম, প্রত্যাশাহীন
বিকল্প
গুঞ্জন চলছে, এটা কি করে হতে পারে?
বিকাশের চায়ের দোকান। চালু দোকান।
অফিস পাড়ায় সকালের ভিড়।
পাশে ফাস্টফুডের দোকান – রেহমতের,
উত্তরপ্রদেশে বউ, দুই ছেলে, তিন মেয়ে
ছোটোছেলেটা এখানে এখন, ছুটিতে এসেছে
দোকানটা খোলে বেলায়
বুলেট ও সাংবাদিকতা
...
বুঝতে পারলাম না
বৃন্ত থেকে ঝরে যেতে যেতে
ফুলটা কি যেন বলে গেল
বুঝতে পারলাম না
ভাবতে ভাবতে ক্রমশ গাছ হলাম
কুঁড়ি ধরল। ফুল হল। ঝরে পড়ল।
বিনাবাক্যে ঝরে পড়ল
কেন,
কিছু বুঝতে পারলাম না
বড় মামুর জন্মদিন
বড় মামুর জন্মদিন। মায়ের সাথে ওর শেষ জন্মদিন। মায়ের এই একটাই ভিডিও আছে। খুব শখ ছিল মায়ের দৈনন্দিন রোজনামচা রেকর্ডিং করে রাখব, একান্ত ব্যক্তিগত সংগ্রহ করেই। হল না। মায়ের জন্য আমার কেনা সাধের শাড়িও মায়ের অন্তিম যাত্রায় আগুনে পুড়তে লেগেছিল। এমনই হতভাগ্য ছেলে আমি।
বজ্র আঁটুনির ফস্কা গেরো
কথায় বলে বজ্র আঁটুনির ফস্কা গেরো। আজ সকালে অনেকের ফেসবুক প্রোফাইলে দেখলাম লেখা আছে Profile is Locked. ভালো কথা। অর্থাৎ আমার প্রাইভেসি মান্যতা পাচ্ছে, সুরক্ষিত থাকছে। কিন্তু একি সেই 'ওরকম মনে হয়' গোত্রের কিছু হয়ে যাচ্ছে না?
বিচিত্র এ সংসার
বাবা খানিক সুস্থ। অবশ্যই অনেকের শুভেচ্ছায়, যত্নে, চিকিৎসায়। সিদ্ধান্ত হল আয়া রাখার দরকার নেই তবে আর। সেন্টারে ফোন গেল, তারা উৎসাহে বললেন, "বাহ! মেশোমশাই ভালো তবে, এতো খুব ভালো কথা!"
ব্যামো...
পা কামড়ালো তোমার হৃদি কুমীরে
তবুও পার পেতাম হয়ত তো
চুমুর ঘুর্ণী ডোবালো ঘোর তিমিরে
...
বলি কি করে?
এখনও সাদা জল ছাড়া তৃষ্ণা মেটে না
সাদা ভাত ছাড়া খিদে মেটে না
ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন না জাগলে ঘুম হয় না
নিজেকে সম্পূর্ণ যান্ত্রিক বলি কি করে?
এখনও খোলা মাঠের হাওয়ায়
শুকনো ঘাস বুনোফুলের গন্ধে চোখ মুদি
নিজেকে সম্পূর্ণ শহুরেই বা বলি কি করে?
বাস্তবিক
বাস্তবিক দেরি হয়ে যায়নি
বাস্তবিক অম্লান বদনে কুয়াশায় হাঁটি
বাস্তবিক শ্যাওলা জমা নোঙর অভ্যাস এখন
বাস্তবিক ঈর্ষা আচ্ছন্ন কাঁটাঝোপ চারদিকে
বাস্তবিক সুখে আছি
কবিতারা পরিযায়ী পাখি
বাস্তবিক অবিনশ্বর আত্মা আমাদের
বিষে অমৃতের বিন্দু
সংসারে আশ্রিত মানুষের হাতে সংসারের ভার দিলে যে কি অনর্থ হয় তা বুঝতে বিপুলের কয়েক বছর লেগে গেল। বিপুল যেদিন প্রথম চাকরিতে জয়েন করতে গেল সেদিন সারারাত ট্রেনে যেতে যেতে একটাই কথা তার মাথায় ঘুরতে লাগল, তার মায়ের মৃত্যু আর তার দূর সম্পর্কের পিসিমার কথা। সারাটা ট্রে
বাজার
আমার মতো দেখতে কেউ একজন
বাজারের ব্যাগ নিয়ে বাইরে গেল
খানিক পরে বাজারের ব্যাগ নিয়ে ফিরে এল
সে অন্য কেউ
ব্যাগ খুলে দেখলাম
বাজারে নানা সামগ্রীর সাথে রক্ত মাখা একটা পোশাক
বাঙালির মা
বাঙালির মা কে? কালী-দূর্গা-সরস্বতী-লক্ষ্মী। তারপর মাঝে হয়েছিল – দেশ – বন্দে মাতরম। এখন? জানে না যেন, নেকু!
বিষন্ন বেশ্যারা --- রেবিস ভাইরাস --- আমরা
...
বইমেলা ও গ্রন্থাগার সংবাদ
কি হে বাপু, কি খবর?
হেরি, পাঠকহীন রহিয়াছ
বিষাদ নয়, অবসাদ নয়
...
বইমেলা
...
বিদেশ ও প্রশংসা
বাছারা আমার কয়েকটা কথা মনে করিয়ে দিই -
...
বৃষ্টি
...
বাসস্থান
যে মানুষটার একবারও একটা শব্দও আলটপকা উচ্চারিত হল না,
দুই মলাটের বাইরে
...
বাসি ফুল
...
বিষের কারবার
কিন্তু ইদানীং যেভাবে সেগুলোর জেনারেলাইজেশান শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে, রীতিমতো আতঙ্কিত হচ্ছি।
...
ব্যস
চালকের মত না
যখন তখন নেমে পড়তে পারো
...
বোমারু বিমান
"বাড়িটা আগে বাচ্চাদের হাস্পাতাল ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বোমায় ভেঙে তছনছ হয়ে যায়।"
"বাড়িটা নিয়ে নে, সস্তায় পাচ্ছিস, ওসব কবেকার গল্প, ধুস"
...
বিশ্বাস
অবিশ্বাস করার তো লক্ষকোটি প্রমাণ আছে
তবু বিশ্বাস
...
বাকি আছে আর?
হঠাৎ করে আমার চারপাশটা হত সমুদ্র
কিম্বা আর না হোক
...
বিদ্যাসাগর - ট্যুরিস্ট স্পট
...
বিনয়-লীলা
...
বা হয়তো খুঁজতেও যাবে না
...
ব্যতিক্রমী মানুষ
...
বিচার
...
বাঙালির গর্ব
...