Skip to main content


গুঞ্জন চলছে, এটা কি করে হতে পারে?
বিকাশের চায়ের দোকান। চালু দোকান।
অফিস পাড়ায় সকালের ভিড়।

পাশে ফাস্টফুডের দোকান – রেহমতের,
 উত্তরপ্রদেশে বউ, দুই ছেলে, তিন মেয়ে
ছোটোছেলেটা এখানে এখন, ছুটিতে এসেছে
  দোকানটা খোলে বেলায়

তার পাশে জনার্দনের ভাতের হোটেল 
বাংলাদেশ থেকে এসেছে।
এখন ভোটার কার্ড থেকে আধার কার্ড সব আছে
  বউ আর দুই ছেলেরও আছে
  বুড়ো বাবা থেকে গেছে বাংলাদেশে
উনুনে আঁচ দিয়েছে। ভাতটা উনুনে করে। 
    গ্যাসে মঞ্জু তরকারিটা চাপাবে

তার পাশে শুক্লার মোবাইলের পার্টসের দোকান
   বিহারে বাড়ি ছিল। তার জন্ম হেদুয়ায়।
    বাড়িতে বয়স্কা মা, ভালো বাংলা বলেন।
       স্বামী ঠাকুরপুকুরে মারা গেছেন
         প্রচণ্ড গুটখা খেতেন। বারণ শুনতেন না, জেদি,
                  ছেলেটাও তাই, 
      পার্টি অফিসে দৌড়াদৌড়ি করছে
             মিডিয়ায় যোগাযোগ করছে

এদের সবাইকে উঠে যেতে হবে
   একটা মাল্টিনেশেনাল কোম্পানি লিজ নিয়েছে 
        এই ফুটটা পুরো 
সামনের দেওয়ালে সিনেমার পোস্টার বদলাচ্ছে
   কয়েক মাস আগে বইমেলা হয়ে গেল
      গাড়ি গাড়ি বুদ্ধিজীবীরা এলো গেলো
   এরকম তো হয়েই থাকে – 
     এইভাবেই সরে সরিয়ে সভ্যতা হাঁটে

  একটা দাঁড়কাক 
শিরীষ গাছটার মগডাল থেকে কর্কশ চীৎকার করছে
   গাছটাও কাটা পড়বে

চায়ের পালা শেষ
   ওদিকে ডানদিকে এগোলেই একটা ভালো চায়ের দোকান আছে
ওদিকে বাঁ হাতে গিয়ে যে পিৎজার দোকান, 
   তার পিছনে একটা ভালো ভাতের হোটেল আছে
     মোবাইলের পার্টস তো উল্টোডাঙা থেকে বেরোলেই ঢেলে বিক্রী হয়

বিকল্প খোঁজা সভ্যতা 
   সভ্য শহরে 
        ঘোরানো সিঁড়ি চড়ে

Category