Skip to main content
 
বৃষ্টির ছাঁট এসে পড়ছে জানলা দিয়ে। বিছানা ভিজে যেতে পারে, পর্দা উড়ে উড়ে যাচ্ছে। জানলাগুলো দিয়ে দেব? না থাক। না হয় একটু ভিজলই। রোদ উঠলেই তো শুকিয়ে যাবে। "মেঘের পরে মেঘ জমেছে আঁধার করে আসে"....
       না, আজ গান থাক। তুমি আরেকটু কাছে এসে বোসো। আমার আজ কষ্ট হচ্ছে। খুব না, অল্প অল্প কষ্ট পাঁজরের ভিতর চুঁইয়ে চুঁইয়ে নামছে। তুমি হাতটা ধরো। আঙুলগুলোর মধ্যে আঙুলের জাল বোনা থাক। বৃষ্টিটা কি বাড়ল?
       কোনো আলো নেই দেখো, চারদিক কি অন্ধকার। সে হোক, তুমি তো আছো। আমি সারাদিন কাউকে কিছু বলিনি; তোমার আজ আসার কথা আড়াল করে গেছি। কেউ ভাবেওনি এমন শীতবৃষ্টিতে তুমি আসবে। ওরা ভেবেছে আমিও ভুলে গেছি। আমি অবশ্য তেমন ভানই করেছিলাম, বিস্মরণের ভান।
       তুমি তাকিও না আমার দিকে, আমিও তাকাব না। আমাদের কথাগুলো এই অন্ধকারের বৃষ্টির মধ্যে লুকিয়ে থাক। ওদের লুকোচুরিতে থাকুক মিঞা মল্লারের মীড়। তুমি এখানে এভাবেই বসে থাকো, আমি একটা প্রদীপ জ্বালিয়ে আসি। সকালবেলা পোড়া দীপের ছাই থাকবে আমার ঠাকুরঘরের মেঝে ছেয়ে। তুমি থাকবে না। প্রদীপের ঠাণ্ডা বুক থেকে এক বিন্দু কালো ছাই আর ঠাকুরঘরের মেঝেতে জমা রাতবৃষ্টির জমা জল দিয়ে আমার বুকের ঠিক মাঝখানে একটা তিলক কাটব। কেউ জানবে না। সকাল আর রাত - দুই সমান্তরাল জগত, কেউ কারোর কথা মনে রাখে না। সকাল হলে থাকবে আমার আলোর আড়াল। তুমি তখন ফিরে যাচ্ছ ছায়াপথ ধরে, আমায় আশ্বাস জুগিয়ে, ভালো থাকার, ভালোবাসার।