Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

ছোটোবেলায় মনে হত প্লেনটার সাথে বুঝি তারাগুলোর ধাক্কা লাগবে এক্ষুণি


ছোটোবেলায় মনে হত প্লেনটার সাথে বুঝি তারাগুলোর ধাক্কা লাগবে এক্ষুণি। তারাগুলো ভেঙে পড়বে ঝুরঝুর করে। প্লেনটা মুখ ঘুরিয়ে চলে যাবে অন্যদিকে।
বাস্তবে তা হয় না তো! সব প্লেন ওড়া শেষ হয়ে যায়, তারাগুলোও অক্ষতই থেকে যায়।

ছায়া


বারবার একটা ছায়া মুখের ওপর এসে পড়ছে 
বারবার সরিয়ে দিতে চাইছি
  হাতের তালুতে পাঁচ আঙুলে চেপে ধরে 
               ছুঁড়ে দিতে চাইছি আস্তাকুঁড়ে 
বারবার ছায়াটা ফিরে ফিরে এসে মুখের ওপর পড়ছে
ছায়ার সাথে কথা বলি না

ছপ্পক

যারা বারণ করেছিলেন "ছপক" দেখবেন না, আসলে তারা আরেকবার অ্যাসিড অ্যাটাক করে ফেললেন, হয় তো অজান্তেই। তারা কি সহজে ভুলে গেলেন সিনেমাটা আসলে দীপিকার না, সিনেমাটা মালতীর বা লক্ষ্মীর।
...

ছড়ার বুড়ি

পাখিটার বয়েস হয়েছিল। সারাদিন নীড়ে বসে থাকত আর অতীত জীবনের কথা ভাবত। রোজ সকালে চারটে পাঁচটা করে পালক ঝরে পড়ে যেত। পাখিটা সেগুলো জমিয়ে রাখত। রঙগুলো ফ্যাকাসে। পাখিটার মন খারাপ হত।
...

ছেলেটা যেন মানুষ হয়

"ঠাকুমার জ্বর হল। বাবা বলল, বেড়াতে যাব কি করে? মা বলল, হাস্পাতালে দিয়ে দাও।"
      আমি বললুম, "তারপর কি হল?''
...

ছি ছি চোখের জলে ভেজাস নে আর মাটি

বাঙালির থেকে থেকে বাঙালিত্ব নিয়ে গর্বের হাহাকার দেখলে আমার মাঝে মাঝে আজকাল ‘জলসাঘর’ সিনেমার ছবি বিশ্বাসের মুখটা মনে পড়ে। ছবিবাবু'র হৃত ক্ষমতা, প্রতিপত্তির উপর আসক্তির দীর্ঘশ্বাস ঘাড়ে এসে পড়ে। যে ভাষায় অর্থ থাকলে, ক্ষমতা থাকলে, সুযোগ থাকলে প্রাথমিক শিক্ষার কথা স্বপ্নেও ভাবা যায় না
...

ছোটোরা না হয় ছোটোদের মতই থাকুক

ছোটোরা না হয় ছোটোদের মতই থাকুক। তাদের কল্পনা, ভাষা মাড়িয়ে, নাই বা হেঁটে গেল বড়দের কাদা মাখা পা?

"কি আঁতলামি মশায়? কাদা কি সংসারে নেই?"

আছে। অবশ্যই আছে। আপনার আমার সংসারে সে বাঞ্ছিত না হলেও আছে। দিব্যি আছে। কিন্তু

...

ছায়ামল্লার

যখন স্কুলে যেতাম রাস্তার ধারে এক বিরাট গাছ পড়ত। কি সে গাছ আমার নাম জানা নেই। একটা নাম হয়ত বানিয়ে লিখে দেওয়া যেত, কিন্তু কি দরকার, গাছের ছায়ার তো কোনো নাম হয় না। এই গাছটাও ছিল তেমন। সে গাছে কোনোদিন ফুল, ফল দেখেছি বলে মনে পড়ে না। কিন্তু ছায়াটা মস্ত করে পড়ত
...

ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি

প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা,

   আমরা খুব অপরিচিত, অদেখা, অনিশ্চিত একটা সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। তোমরাও যেমন জানো না, আমরাও তেমন জানি না আগামী দিনগুলো কেমন হতে চলেছে। কবে আবার আমরা আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব। কবে তোমরা আবার ব্যাগ
...

ছন্দ

আমি চাই না
  তুমি চাবির গোছাটা হারিয়ে ফেল

আমি চাই না
  তোমার শোয়ার ঘর
   তোমার রান্নাঘর
...

ছেলেটা যখন ক্লাস সিক্সে পড়ে

ছেলেটা যখন ক্লাস সিক্সে পড়ে
তার মা একদিন তার আঙুলে একটা সাদা পাথর দেওয়া আংটি পরিয়ে দিল
বলল, দেখিস বাবু, তোর মন অনেক শান্ত হবে
ছেলেটার মন কোনোদিন শান্ত হল না,

ছোরি

ছোরি, আমাজন প্রাইমে বেশ কিছুদিন ধরে দেখছিলাম দিয়েছে। ইচ্ছা করছিল না দেখতে, ভূতের সিনেমা আর কি দেখব এখন। কদিন আগে মামু ফোন করে বলল, জানো মামু ছোরি দেখলাম। সে সদ্য ইলেভেনে উঠেছে, আমি ওই বয়সে নিজেকে নিয়ে গিয়ে বললাম, তবে তো তুই অনেক বড় হয়ে গেছিস, একা একা ভূতের সিনেমা দেখে ফেললি? আমি তো ভয়ে দেখতেই পারছি না।

     মামু বলল, হ্যাঁ ভয়ের আছে, তবে সিনেমাটা ঠিক ভয়ের বা ভূতের না, একটা সোশ্যাল মেসেজ আছে, দেখো।

ছবি

টোটোর পিছনে নিরুদ্দিষ্ট ব্যক্তির ছবি। মোবাইল নাম্বারটা লাল দাগ দিয়ে কাটা।
চালককে জিজ্ঞাসা করলাম, কার ছবি?
...

ছল চাতুরী ও অভিনয়

ছল চাতুরী শিখতে হয় না। সে মানুষের আদিম প্রবৃত্তিগুলোর মধ্যে একটা। একটি ছেলের আর্থিক অবস্থা খারাপ। সে পড়তে এসেছে। তার মা অনুরোধ করলেন একটু দেখতে। দেখা হল। মাস তিনেক বাদে খোঁজ পাওয়া গেল, সে আরো একজনের কাছে একই বিষয় পড়তে যায়, অর্থের সম্পূর্ণটা দিয়েই। এদিকের ছাড়, ওদিকে ব্যবহার হয়ে গেল। এক ঢিলে দুই পাখি। আরেকটি উদাহরণ, একজন একদিন পড়তে এলো না। তাদের সচ্ছল অবস্থা। মা বাবা বল

ছেঁড়া চটি

বিশ্বনাথ বক্সি নাস্তিক মানুষ। কিন্তু হলে কি হবে, ঠিক কালী মন্দিরের সামনে এসেই চটিটা ছিঁড়ে গেল। এখনও অনেকটা রাস্তা। এইবার?

ছায়া আর স্ট্রিট লাইট

নুন-চিনি-জল খেয়ে চেয়ারে বসেই বুঝলেন, আবার যাওয়া লাগবে। 

     গেলেন। এলেন। ক্লান্ত। ডাক্তার বলেছে, এরকম হবে। কোভিডের নতুন লক্ষণ। আগে পেটে এরকম হলে একটা অনুশোচনা থাকত, আহা, ওটা বেশি খাওয়া হল, কি সেটা খাওয়া উচিত হয়নি। কিন্তু এতো আশ্চর্য কাণ্ড! কোথা থেকে কি হল! 

ছাতা

ব্যাঙ বলল, এরই মধ্যে যাবি স্কুলে? আরাধ্যা বলল, যাবই তো... আমার যে পরীক্ষা। ব্যাঙ বলল, কি পরীক্ষা ভাই? আমি তো জানতাম এই বৃষ্টিতে আমরাই শুধু বেরোই। তবে তোর ছাতাটা যদি দিতিস।

ছলনা

রাস্তায় নেমে পাখিটা বসেছে। রাস্তা ফাঁকা। রাস্তার ধারে কিছু ফল ফলে আছে। কয়েকদিন ধরেই চাইছে খেতে। সুযোগ পাচ্ছে না। আজ পেলো।

ছাতাওয়ালারা

মাথার উপর ছাতা। সর্বক্ষণ। রোদজল কিছুই গায়ে লাগে না। উপরে তাকালে দেখে কালো ছাতা। নীচে দেখে ছাতার ছায়া। সেই ছায়ার বাইরে যা কিছু, সে বলে অনাবশ্যক। আমার কি তাতে?

ছুঁয়ে থাকো

প্রদীপের শিখা। নিভিয়ে দেব কি? সবটা পুড়লে তেলের খরচ বাড়ে। যদি নিভিয়ে দিই অমঙ্গল হয় বলে লোকে। তবে?

ছ্যাঁৎ

দেখ তো কি করছে? কোনো সাড়াশব্দ নেই কেন?

ছাড়ো তো

আমার যাতায়াতের পথে একটা নীল রঙের দেওয়াল পড়ে। যেতে আসতে তাকাই, চোখে আরাম লাগে।

ছেঁড়া গামছা

রতিকান্ত মাথাটা পাঁচ জায়গায় ছেঁড়া গামছাটা দিয়ে মুছতে মুছতে বলল, আজ আবার ছ্যানদিদি ধরেছিল… ধুতির খোঁটা, এই বলে পেঁপেটা চৌকির উপর রাখল… গাছটা পুরো ভেঙে গেল জান

ছাদ... আড়াল... চিনির চামচ

ঠিক তখনও ভোর হয়নি। আলো ফোটেনি। তবু ঘুম তো নেই। ঘরের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে তারা ছাদের অন্ধকারে এসে দাঁড়ালো।

ছাই

প্রথম - যদি তৃষ্ণা না মেটাতে পারো,

ছবি

পাগল সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘোরে, সবাইকে জিজ্ঞাসা করে, আপনি আমার কোনো ছবি লুকিয়ে রেখেছেন?

ছাই

নিজের পিসতুতো দাদা, কাকা, মামার ছেলের অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ পেয়ে বড় হতে হতে মৌ ঠিক করেছিল, মেয়েকে নাচ-গান কিচ্ছু শেখাবে না, ক্যারাটে শেখাবে। কিন্তু সেই মেয়ে যখ