Skip to main content

রাস্তায় নেমে পাখিটা বসেছে। রাস্তা ফাঁকা। রাস্তার ধারে কিছু ফল ফলে আছে। কয়েকদিন ধরেই চাইছে খেতে। সুযোগ পাচ্ছে না। আজ পেলো।

হঠাৎ পায়ে কি বাধল। একটা সাপ জড়িয়ে।

সে বলল, আমিও অনেকদিন ধরে অপেক্ষায়। তুমি কবে নামবে।

পাখি বলল, ফলটা খেয়ে নিই। আমিও চাই তুমি খাও আমায়।

সাপ বলল, কেন কেন?

পাখি বলল, আমার হৃৎপিণ্ডের মধ্যে আছে বিষাক্ত ফোঁড়া। আমায় কুরে কুরে খাচ্ছে। আমি চাই তুমি আমায় খাও, খেয়ে আমায় মুক্তি দাও।

সাপ চমকে উঠে বলল, সেকি! আমার শরীর বিষাক্ত হবে যে!

পাখি বলল, তোমার মুখে তো এমনিই বিষ। বিষে বিষে বিষক্ষয় হবে।

সাপ বলল, যদি না হয়… যদি তোমার বিষ হয় শক্তিশালী বেশি..

পাখি উদাস হয়ে বলল, মরবে! এ আবার বড় কথা কি!

সাপ চলে গেল। পাখিটা হাসল, বলল বোকা!

সে ফল খেয়ে, উড়তে গিয়ে পড়ল মুখ থুবড়ে। মরল মুহূর্তে।

উড়ে যাওয়া ধুলো বাতাসকে বলল, কি হল.. কি হল?

ঘাস বলল, বিষফল খেয়েছিল।

বাতাস বলল, জানত না ওগুলো বিষফল?

ঘাস বলল, বিষ নিজেকে জানান দেয় বুঝি?

মৃত পাখির গা থেকে একটা পালক খসে বাতাসে ভাসতে ভাসতে বলল, ছলনা, ছলনা… সব ছলনা….

তখন সে বিষফল গাছে কুঁড়ি ধরছে। প্রজাপতি খোঁজ নিতে এলো, ফোটার কত আছে দেরি?

ধুলো বলল, ও যে বিষফুল….

প্রজাপতি বলল, ফুল কখনও বিষাক্ত হয় না… ফল বিষ হয়…. কেন আমি জানি….

ধুলো বলল, কেন?

সময় দীর্ঘশ্বাস ফেলল।