প্রথম - যদি তৃষ্ণা না মেটাতে পারো,
তবে জাগিও না,
এই যে এলোমেলো হয়ে আছে সব
এর আড়ালে যে তৃষ্ণারা, অনিষিক্ত
দরদী হতে যেও না
যদি না তৃষ্ণার আরেক নাম জানো
জীবন। বেঁচে থাকা।
দ্বিতীয় - তৃষ্ণা মেটে কই?
কপট ছলনাময়ী সে
কৃত্রিম শূন্যতায় ভরে দিয়ে সব
আকাশের প্রান্তগামী শকুনের মত
খোঁজে শিকার
একে তুমি বলো জীবন? বেঁচে থাকা!?
প্রথম- আমার হৃদয় জুড়ে খাই
প্রতিবিন্দু স্বেদ, প্রতিবিন্দু বিষাদ
প্রতিবিন্দু রক্ত
বীর্যে - স্রাবে মিশে
এক বিষাক্ত চুম্বনে
শেষ করে দিতে পারে নিজেকে
এ অর্থহীন সংসার
শরীরের বিবর্তন শুধু,
সম্ভোগ পটীয়সী
দুই ধারালো শরীরের
অভিগমন
সার্থকতা, জীবন
দ্বিতীয় - ধিক ধিক
ওরে মূঢ়
মরীচিকাময় এ সংসার
শরীর জ্বালিয়ে দিবি আলো?
খুঁজবি সার্থকতা, জীবন?
হঠাৎ নিভবে আলো
সব শূন্য তখন
শরীর রোগ ক্লান্তিময়
আলো?
ব্যঙ্গে আর ধিক্কারে
দশদিক
করে দেবে বধির!
একে বলো সার্থকতা, জীবন!
প্রথম - চুপ, চুপ, চুপ করো
ভীরু, কাপুরুষ!
শূন্যকে এত ভয় তোমার!
চির-উপবাসী শরীরে
জ্বালিয়ে জ্ঞানের আলো
খোঁজো অর্থ জীবনের
নিগূঢ় রহস্য!
যেন উঁইপোকা এক
হয়ে নভোচারী
জানতে চায়
অসীম এ সৃষ্টির
আদিম রহস্যের সূত্র
ঈশ্বর!
বৃথা চেষ্টা। জানো।
তবু এত ভয় তোমার জীবনে।
এই ঘনঘোর বর্ষায়
যখন গোটাসংসার সম্ভোগগামী
কালো মেঘের গর্ভাধানে
ধরিত্রী হচ্ছে গর্ভবতী
তুমি সাজছ বৈরাগ্যে
চতুর্মাস্যের বিধানে
প্রত্যক্ষকে করে উপেক্ষা
ধ্যানের কল্পনায় খুঁজছ পালাবার পথ,
জগতসংসারকে নিত্য ঘোষণা করছ
অনিত্য, দু:খালয়
সত্যকে করে প্রবঞ্চনা
বাক্যের ছলনায়
নিজেকে মোহিত করে
আনছ স্বর্গীয় মদিরা
অমরত্ব
দ্বিতীয় - হও শান্ত। সত্য, শান্তির শিশিরবিন্দু প্রতিফলিত আলো।
প্রথম - কপট তুমি। সত্য, দুই মিথ্যার মধ্যবর্তী মোহভঙ্গের জ্বালা।
দুই মৃতদেহ শায়িত শ্মশানে
পাশাপাশি
তুমুল বৃষ্টিতে ঘোর অন্ধকার চারদিক
শ্মশানের কাঠ গেছে ভিজে
স্নাত দুই শব
আগুনের অপেক্ষায়
হতে ছাই