Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

মায়া

ঘুম থেকে উঠেই হীরার ঘাড়ের কাছটা ব্যথা ব্যথা করছে। শোয়াটা ঠিক হয়নি। বেকায়দাতে শুয়েছে বোধহয়। সারা গা-হাত-পায়েও খুব ব্যথা। কপালে হাত দিয়ে দেখল, না, জ্বর নেই, বাঁচোয়া। সামনের একচিলতে বারান্দাটায় এসে বসল। বসেই উঁকি দিয়ে ঘড়ির দিকে তাকাল ঘরে, সাতটা বাজে। মা এতক্ষণে কাজে বেরিয়ে গেছে নিশ্চই।

মিল

কোনো মিল নেই
   তবু মিল তো আছেই
না হলে সব বসন্তে একই ফুল
        নতুন হয়ে আসে কি করে?

সব মৃত্যুই পরিচিত করে কেন
         অপরিচিতকেও

মতে অমতে

'মত কিছু ঈশ্বর নয়' - ঠাকুর বলতেন। মত পথ। মতের প্রচার চলে, সত্যের নয়। তবে সত্যের সাথে মতের সম্পর্ক কি?

মুক্তপথ

বিশ্বাস আমার ব্যক্তিগত
     গোপনীয় নয়

উপলব্ধি আমার বোধগত
     কুক্ষিগত নয়

প্রেম আমার চিত্তগত
     আত্মগত নয়

মানুষ মাত্রেই উভচর

মানুষ মাত্রেই উভচর
তুমিই শুধু না,
   সময়ে সময়ে আমিও জেনো গুপ্তচর

 

মাটি


আচমকা মনে হল সবাই যেন খুব এগিয়ে গেছে। রাস্তার দিকে তাকিয়ে মনে হল, কই কাউকে তো চোখে পড়ছে না। বিস্মিত হলাম না। এটাই তো হওয়ার ছিল। এরকমই তো হয়।

মকরন্দ


---
ফুলের বুকে মকরন্দ
আমার বুকে তুমি
একলা রাখতে সাহস পাই না
তাই দোসর অন্তর্যামী!


---
আয়নাও তোমার সামনে ভয়ে ভয়ে দাঁড়ায়
তুমি সরে গেলে
ওর বুকের থেকে চিরবাঞ্ছিত তোমার ছায়াও মিলায়

মিথ্যা


----
মন্দ্র সপ্তকে মিথ্যা বলা যায় না
        মিথ্যা বলতে তার সপ্তক লাগে
চোখের মণির দৃষ্টি ছুটে তীর বেরোলে
        সাজানো কথার ঢালের আড়াল লাগে

মতান্তর

তবে উপায় কি? উপায় হাজার লক্ষ কোটি। মত যদিও পথ, তবু সে মতের ঘোরে অন্ধকার চারদিক। মতের সাথে মতের লড়াই। বিশ্বাসের সাথে বিশ্বাসের লড়াই। বিশ্বাসের সাথে অবিশ্ব

মৃত্যু নিশ্চিত

মৃত্যু নিশ্চিত, জীবন অনিশ্চিত
   অনিশ্চিতকেই বুকে জড়ালাম
 মৃত্যু খুঁজে নেবে আমায় সময় হলেই
    জ্বলন্ত লাভার অদম্য ইচ্ছা-বীজ
                      বুকে বসালাম

মৃত শরীরই কঠিন শুধু না

মৃত শরীরই কঠিন শুধু না, মৃত মনও কঠিন হয়
জীবন জলের মত নমনীয়,
   যার স্রোতে পাথরও দ্বিখন্ডিত হয়

মেঘমালা

বিস্তর মেঘ জমেছে
  ওরা নীলাকাশকে বলছে,
     আজ তুমি না, আমি

মাঠের বুকে নরম ছায়া পড়েছে মেঘের
সবুজ ঘাসের কানে কানে
          বাতাস বলেছে -
এসো না, আজ লুকোচুরি খেলি


(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

মে দিবস

ফাটা মাটি। অবাধ্য পাহাড়। শুষ্ক মরুভূমি। যন্ত্রের রক্তচক্ষু।
       যারা মুখোমুখি, পাশাপাশি, হাতেতে হাত রেখে
            যারা যেন বেহিসাবী, প্রাক-মঞ্জুরিত প্রাণ
          তারা বুঝুক আবার আজ, তাদের টানেই জীবনের জয়গান।

মাঝে মাঝে

মাঝে মাঝে নুড়িকেও পাহাড় মনে হয়,
                 ভয়ের নামতা পড়লে
সে নুড়ির ছায়াও পাহাড় মাড়িয়ে যায়
                   একটু এগিয়ে দেখলে

মহৎ সমীপে

কাল গভীর রাতে ছাদে এসে দাঁড়ালাম। সারাটা আকাশ জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে। আশেপাশে গাছগুলোর মাথায় চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে দুধ সাদা রঙ। ঠান্ডা বাতাস দুরন্ত বাচ্চার মত শরীরকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে। দেহ শীতল হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, 'এই যে বাতাস দেহে করে অমৃতক্ষরণ'।

মেঘনীল

তুমি কখন এসে দাঁড়িয়েছিলে একা?
     সংসার যখন গভীর ঘুমে ঢাকা?

সবার অলক্ষ্যে ফিরে গেলে শুকতারার সাথে
  আমি যখন এলাম
তখন দেখি আকাশ, মেঘ, নদী
     তোমার উত্তরীয়র নীল রঙেতে মাখা

(Samiran দার অপূর্ব দেখা......)

 

মুখ্যু ঢেকি

খুঁজবি কেন শূন্যে বসে?
কল্পনারই অঙ্ক কষে!
আছের মধ্যে দেখ দেখি
যে আছে তারে চিনিস নাকি?
তার ফাঁকিতে পড়েছে সবাই
চোখ বেঁধে নাচ ধিতাই ধিতাই

মনসুর

সোজা রাস্তাটা বন্ধ ছিল
বুকের ঘরে আগল ছিল
কান্নাগুলো হিসাবী ছিল
দিনরাত খুব উদাস ছিল

বিধির কি যে খেয়াল হল
রাস্তা ঘুরে কি পাড়া গেল
চিন্তা হৃদ্-আঙনে হোঁচট খেল
কুলকুল কি শব্দ পেল

আসছে শোনে কিসের বান
প্রাণের মূলে মরণটান
মনসুরের সে পাগল গান
সুরে তালে মাতাল প্রাণ

মনসুরের আঙিনায়

ঈশ্বর বলো, আল্লাহ্‌ বলো - তাঁর বাগানে ঘুরে এলাম।

মহাপ্রভু

আয় দেখে যা নতুন ভাব এনেছে গোরা।


মুড়িয়ে মাথা গলে কাঁথা
কটিতে কৌপীন পরা।।

গোরা হাসে কাঁদে ভাবের অন্ত নাই
সদাই দীন দরদী বলে ছাড়ে হাই।
জিজ্ঞাসিলে কয় না কথা
হয়েছে কি ধন হারা।।

গোরা শাল ছেড়ে কৌপীন পরেছে
আপনি মেতে জগত মাতিয়েছে।
মরি হায় কী লীলে কলিকালে
বেধবিধি চমৎকারা।।

মগ

অনেক সময় পরিত্যক্ত মগটা আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। জল ভরার ক্ষমতা না থাকার খবরটা ওর কানে কেউ তুললেও বিশ্বাস করে না। আমি যতবার ওকে ভাগাড়ে রেখে আসি, ততবার ও হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে আমার বাড়ির উঠোনে এসে বসে থাকে। তাকিয়ে থাকে। মুখে এখনো সেই আত্মবিশ্বাস - আমি পারব, তুমি জল ভরেই দেখো না।

মাটির অভিশাপ

"মেয়েদের সম্মান করতে শেখো"
কেন বললে এরকম একটা কথা?
কেন বললে? বলো বলো, কেন বললে?
বলোনি তো চোখ দিয়ে দেখতে শেখো
পা দিয়ে হাঁটতে শেখো, জিভ দিয়ে বলতে শেখো
তবে কেন কেন কেন?
কেন এরকম অসভ্য, ইতর একটা কথা
ভদ্রতার মোড়কে সাজিয়ে রেখেছ বসার ঘরে
তবে কি তোমার মনে অসম্মানের বীজ আছে?
টের পেয়েছ?
কেউ তা জানার আগেই ঢেকে ফেলতে চাও স্লোগানে -

মহাশিবরাত্রি

অনুরাগের কোনো রঙ হয় না, গ্রীষ্ম বলেছিল। প্রকৃতির বুকে বেজেছিল কথাটা। সে সাধনায় বসল। বর্ষার জল, শরতের উদাস আকাশ, শীতের হিম তার বুকের ওপর দিয়ে ধীরে ধীরে বয়ে গেল। প্রকৃতি বললে, এ নয়, এ নয়।

মাগো আমার সকলি ভ্রান্তি

(আজ গুরুপূর্ণিমা। প্রজ্ঞা, জ্ঞান, বোধ, শুভবুদ্ধির দীপশিখা বহনকারী সেই পুরাকাল থেকে অধুনা সমস্ত আলোকিত আত্মার প্রতি আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।)

মোহর

লোকটা বেলচা করে ময়লা তুলছিল। ময়লার গাড়ি এসেছে সকালবেলা। বিশ্রী বোটকা গন্ধ। শহরের ময়লা মানুষের তৈরি ময়লা। লোকটার আগে কৌতুহল ছিল। এখন নেই। ময়লার রকমেরও সীমা আছে। কিন্তু মাত্রা নেই পরিমাণের। লোকটা উদাস। বেলচা চলছে নিয়মমাফিক ঘচাঘচ। 

মেঘলা চিরকুট

এই মেঘলা আকাশেই সে যাবে
যে শাড়িটা গেলবার পূজোয় কেনা, ভাঙা হয়নি
সেই শাড়িটাই পরে যাবে

মর্মযোগ

 
ছেলেটা এ বছর উচ্চ-মাধ্যমিক দিতে পারেনি। গুরুতর অসুস্থ হয়ে, যমে-মানুষে লড়াই শেষে মাসখানেক পরে যখন বাড়ি ফ

মুক্তি

পাখিটা উড়ে গেল
ডাল থেকে বৃন্তচ্যুত হয়ে পাতা ঝরে পড়ল মাটিতে।

পাখি লজ্জিত হল। ফিরে এসে মাটিতে বসল, পাতার পাশে। সাশ্রুলোচনে বলল, একি করলাম আমি, তোমার জীবনমূল দিলাম ছিন্ন করে!

মানবিক না অমানবিক?

সারাটা দিন হাসপাতালে কাটল আজ। বহুদিন পর। মনটা খানিক উদ্বিগ্ন কারণ অপারেশনটা গুরুতর, খানিক বিকল কারণ মা শেষের দিকে কয়েকদিন ছিলেন এখানে, অবশ্য একদম অন্তিম মুহূর্ত অবধি নয়, সেটা আমাদের ওখানকার হাসপাতালে।

মহতী বিনষ্টি

আমি ফিনিক্সও নই, হোমাপাখিও নই
গরুড় কিম্বা কাকভূশণ্ডীও নই

চাতকের মত তৃষ্ণার্ত, তাকিয়ে আছি

তুমি শূন্য হলে, আমি শূন্য
তুমি পূর্ণ হলে, আমি পূর্ণ

মৃত্যু নতুন কিছু বলে না

মৃত্যু নতুন কিছু বলে না
সব নতুনকে ঢাকে পুরোনো মোড়কে 
মৃত্যুতে আত্মীয় তো সবাই
সব রাস্তারা অসম্পূর্ণ
          নিত্যঘোর ভাঙে অচেনা চমকে

মর্ম

মর্মে যদি হলি কানা
কালো অক্ষরে কি দেখবি আলো?
দ্বন্দ্ব যুদ্ধ বাধিয়ে মরিস
জগত জোড়া করলি কালো

মর্মে গিয়ে মর্ম জাগা
সে জন মর্মে আছে মিশ খেয়ে
মর্ম ছাড়া ধর্ম কথা
যেন বোবা উঠেছে গান গেয়ে

মহাত্মা না সেলিব্রিটি?


মহাত্মা না সেলিব্রিটি? নাকি দুই-ই? একবার বাণী বসুর একটা সাক্ষাৎকারে উনি বলেছিলেন, লেখালেখির জগতে রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিলে, এ দুয়ের সাযুজ্য খুব কমক্ষেত্রেই দেখা যায়। এ প্রসঙ্গ বিতর্কের। কিন্তু যা বলতে চাইছি সেটা তর্কের জন্য না মোটেই। 

মৃত্যু তোমায় বলছি

টিলাটার উপর কবে উঠেছিলাম মনে নেই। তবে তোমায় আরো কাছ থেকে দেখব বলে উঠেছিলাম এতদূর মনে আছে। এই নির্জনে নিজেকে নির্বাসিত করে রেখেছিলাম শুধু তোমায় আরো কাছ থেকে জানব বলে। হ্যাঁ মৃত্যু তোমাকেই বলছি।
...

মাটির আশেপাশে

কিছু সময় প্রচ্ছদ হয়ে থাকে
মাটির আশেপাশে