সৌরভ ভট্টাচার্য
4 June 2017
পাখিটা উড়ে গেল
ডাল থেকে বৃন্তচ্যুত হয়ে পাতা ঝরে পড়ল মাটিতে।
পাখি লজ্জিত হল। ফিরে এসে মাটিতে বসল, পাতার পাশে। সাশ্রুলোচনে বলল, একি করলাম আমি, তোমার জীবনমূল দিলাম ছিন্ন করে!
পাতা মাটির বুকে হাওয়ায় উড়তে উড়তে বলল, না গো, বৃন্ত আগেই হয়েছিল দুর্বল। তোমার ডানার আঘাত দিল আমায় মুক্তি।
পাখি উড়ে গেল মধ্য আকাশে। ডানাদুটো মেলে দিয়ে শান্ত হয়ে ভাসতে লাগল বাতাসের স্রোতে। আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, হে বিধাতা, নিয়ে যাবে যদি যেদিকে চাও, তবে ডানার সাথে ইচ্ছা দিয়েছিলে কেন? পাগলের মত ঘুরিয়ে মারল এদিক সেদিক!
মেঘের আড়াল থেকে জাগল বাণী। বলল, ইচ্ছার সীমানা পেরিয়ে যেতে ইচ্ছাই তো লাগে। পৌঁছানোর ইচ্ছা পেরিয়ে আসে ভেসে থাকার ইচ্ছা। ভেসে থাকো, তবেই মিলবে তোমার আনন্দের সাথে আমার আনন্দ। মুক্ত হও আমার মুক্তিতে সহজ আনন্দে।