Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

তবুও আমি নাইব


সাবান আছে?
নেই
শ্যাম্পু?
তাও নেই
টাওয়েল?
নেই
গামছা?
সেও নেই
টব আছে?
না, নেই
বালতি, কিম্বা গামলা?
নেই নেই, সেও নেই
আশেপাশে পুকুর?
নেই
দীঘি
নেই
নদী
নেই

তুমি না


তুমি না
   তোমায় বিশ্বাসঘাতক করেছি আমি
     মেঘলা আকাশে ছাতা খুলতে বলে 
     ঝরণার জলে ঢেউ গুনতে বলে

তোমরা কারা?

       অবশেষে প্যাডে মাসিকের রক্তের দাগে শারদীয়া উৎসবের অভিবাদন জানাতে হচ্ছে! 
       আমার ভয় হচ্ছে, নারীরা কি ভুলতে চলেছে তাদের জননতন্ত্র ছাড়া একটা মস্তিষ্ক নামক অঙ্গও আছে। এ দেশে আশাপূর্ণাদেবী থেকে মাতঙ্গিনী নামক অনেক শ্রদ্ধেয়া মস্তিষ্ক জন্মেছিলেন। আজও কান পাতলে তাদের কণ্ঠস্বর কানে শুনি। তোমরা কারা?
 

তুমি অন্য কথা বলো

যে কথা বলোনি কোনোদিন
আজ নতুন করে বলতে চেয়ো না
স্রোতে ভাসানো কাগজের নৌকা
    কোন বাঁকে অদৃশ্য হয়েছে
                    মনে নেই আর

তুমি অন্য কথা বলো

তুমি হয় তো আমিষে সৎ


I have experienced two types of hypocrisy - civilized and uncivilized. 
I have seen some non hypocrites, who are in asylum now, as an example of failure of medical science to treat their non hypocrisy.

তুমি আকাশকে বর্ষা বলো

তুমি আকাশকে বর্ষা বলো
আমি আকাশকে বলি শরৎ

আকাশ তো রেগে যায় না
তুমি রেগে যাও কেন?

তবু জীবিতের মত ভাবি

কেন কথায় কথায় এত মৃত ব্যক্তিদের প্রসঙ্গ
    কেন বারবার কবর খোঁড়া, চিতার ভস্ম হাতড়ানো

আমি তুমি দু'জনেই তো বেঁচে আছি এখনও
এসো না কথা বলি, না হয় দ্বিমত হই
     তবু জীবিতের মত ভাবি!

তুমি থাকবে না

মাটিতে সুর আছে। জলেতে ছন্দ আছে। আকাশে বিশ্বাস আছে। বাতাসে ইচ্ছা আছে। আগুনে আনন্দ আছে।
একদা এক কালে সামগান ছিল। একদা এক কালে মৈত্রী-করুণা-নির্বাণ ছিল। একদা এক কালে আজান ছিল। একদা কালে ওয়াহে গুরু ছিল।
একদিন মাটি ভেঙেছিল। একদিন নদী ভেঙেছিল। একদিন হৃদয় ভেঙেছিল। একদিন বিশ্বাস ভেঙেছিল। একদিন মানুষ ভেঙেছিল।
...

তুমি কি বার্তা পাঠিয়েছিলে

তুমি কি বার্তা পাঠিয়েছিলে
     মনে নেই
শুধু মনে আছে
     আমায় তুমি বার্তা পাঠিয়েছিলে

(Samiran দা দেখিয়ে দেন, কোন দিকে, কিভাবে তাকাতে হবে)

তোমরাই জানো


কোন রক্তের ঘনত্ব বেশী
কোন প্রাণেতে আনুগত্য
কোন কোন দেহ প্রাণহীন হলে 
তোমরা তাকে শহীদ বলো 
    তোমরা জানো

কখন মাইকে গলা চড়ে
ভোকালকর্ড শীতঘুমে যায়
কখন কাকে তুচ্ছ করে
হঠাৎ ভীষণ উৎসব পায়
    তোমরা জানো

তৃষা-নিশা

        মনের উপর বোধের নিয়ন্ত্রণ থাকবে - এমন কথা ছিল সভ্যতার মূলে। কিন্তু সভ্যতা বলতে কি বোঝানো গেল? বলা হল যা মার্জিত, যা ভদ্র। ভদ্র অর্থাৎ মার্জিত। যা দোষমুক্ত। দোষ কি?

তিতিল নয়ন-নীরে ভীম কলেবর

        মহাকাব্যের একটা সুর থাকে। হঠাৎ মনে এলো সেই ক্ষণটার কথা --- গভীর রাত; একজন নারী একজন পুরুষের সাথে গোপনে দেখা করতে যাচ্ছেন, নিজেকে রক্ষার বিনতি জানানোর জন্য। কারণ কীচক তাকে বিরক্ত করছে। কীচক তার মর্যাদায় হাত দিতে চাইছে। কার মর্যাদায়?

তারপর

        যতটা আকুতি, আর যতটা সংযম নিয়ে ডাকত, "কেউ আছেন নাকি... ভিক্ষা পাই গো"... ততটা ভিক্ষা কোনোদিন পেত না।

তর্পণ

বাঁ হাতটা পড়ে গেছে, স্মৃতি বলতে অফিসের ঘরটা, শেষ সই করা পেপারের শেষ লাইন ক’টা। জানলার ধারে একটা আরাম কেদারায় বসে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ফুলের কুঁড়ি ধরা, পতঙ্গদের খেলা, রঙবেরঙের ফুলের সমাহার, ফুলের ঝরে পড়া, শুকনো পাতার স্তূপাকারে জমে থাকা, গেট দিয়ে নানা মানুষের যাতায়াত যারা সবাই অপরিচিত এখন, কুকুর বেড়াল পাখিদের মত সচল জীব - সব চোখের মণির উপর ধারাবাহিক অর্থহীন প্রতিবিম্ব এখন।
...

তুমি অর্থ খুঁজলে


তুমি অর্থ খুঁজলে
আমি খুঁজলাম অনুভব

তুমি মিথ্যা নিলে
আমি নিলাম সত্য

তুমি দোপাটি লাগালে
আমি লাগালাম গম

তুমি সমুদ্রে ঘুরতে গেলে
আমি বেড়াতে গেলাম জঙ্গলে

তুমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে নদীকে বললে, এবার? 
আমি উদাস হয়ে আকাশকে বললাম, ধুর

তক্ক বনাম তর্ক

কথায় বলে – বাদ-বিতণ্ডা। কথা দুটো একসাথেই উচ্চারিত হলেও তাদের অর্থের ফারাক বিস্তর। বাদ – তত্ত্ব নিরূপণের জন্য তর্ক। বিতণ্ডা – স্বমত প্রতিষ্ঠিত হোক চাই নাই হোক, পরমত খণ্ডনের জন্যেই তক্ক। তবে এইভাবে বলি, এক হল গিয়ে তর্ক আর এক হল গিয়ে তক্ক।
...

তুমি যদি ছুঁয়ে থাকো

তুমি যদি ছুঁয়ে থাকো
    হাতের সবকটা রেখা 
     তোমার গন্তব্যের সাথে জুড়ে দিতে পারি

তুমি আমার বিদ্বিষ্ট নও


তুমি আমার বিদ্বিষ্ট নও
তুমি বজ্র বিদারিত
    ক্লিষ্ট শূন্য গহ্বর।
আমার অভীষ্টের পথ বিদ্বিষরহিত, 
অস্তমিত সূর্য 
     তোমার রুদ্ধ চেতনার ভাষান্তর

তুমি কি জানো?

আমার অবকাশযাপন নিঃসংজ্ঞ
তুমি কি জানো?

দ্বিধান্বিত ভাবনার নিঃসরণ
একলা আকাশে 
      নিঃশব্দ পদচারণ

তুমি কোথায়?
 

তাই তোমার ধর্ম জানি না


আমি শুধু তোমার চোখের মণির দিকে তাকাই
তাই তোমার ধর্ম জানি না
আমি শুধু অন্ধ হয়ে তোমার স্পর্শে মেখে থাকি
তাই তোমার ধর্ম জানি না
আমি শুধু তোমার সুবাস লাগা বাতাসে বেঁচে আছি
তাই তোমার ধর্ম জানি না
 

তোমার ঠিকানা আছে

তোমার ঠিকানা আছে, বিশ্বাস করি না
অকারণ যন্ত্রণারা ভাষার সান্ত্বনা পায় না
অন্যমনস্কতাই জীবন
শুধু তোমার চোখেই জীবন সরাসরি তাকায় না

তোমার শহরেও ভোর হল

ঝড়ে সব ক'টা রজনীগন্ধা ক্ষেতে শুয়ে পড়ল
এমনই প্রচণ্ড ঝড় হল
পরেরদিন, যেই না সুয্যি উঠে ফুটফুটে সকাল হল
  তারা সব্বাই ধুলো-জল ঝেড়ে 
      হুররে করে, সোজা হয়ে উঠে দাঁড়ালো

তুমি?

একপেশে মন খারাপ
বড্ড জেদি
বন্ধ দরজা
পাতা পড়ার শব্দেও কানখাড়া

তুমি?

তোমার কণ্ঠস্বরে


তোমার কণ্ঠস্বরে একটা খোলা মাঠ আছে
আমি মাঝখানে দাঁড়িয়ে গভীর শ্বাস নিয়ে বলি, আঃ!
তোমার কণ্ঠস্বরে একটা শীতল দীঘি আছে
আমি চোখেমুখে জল ছিটিয়ে বলি, শান্তি!
তোমার কণ্ঠস্বরে একটা তারাভরা অমাবস্যা আছে
আমি চোখ বন্ধ করে দু'হাত ছড়িয়ে ভাসতে ভাসতে বলি, এলাম।
তোমার কণ্ঠস্বরে বিষণ্ণ দুপুরে 

তখন আমি অনেক ছোটো


       (আজ সুমনের জন্মদিন। এই লেখাটা ওর জন্যেই, আমার ছোটোবেলার একটা টুকরো। এর থেকে বেশি নিজের আর কি দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব তাকে, আমার এই লেখালেখি যাবতীয় কিছুর মূলেই যার প্রেরণা-উৎপাত।)

তোমার প্রতিবাদ


তোমার প্রতিবাদ
   ঝোড়ো হাওয়ায় দাবানল লাগিয়ে

আমার প্রতিবাদ
  ঝোড়ো হাওয়ায় ঘরের কোণের 
                    প্রদীপ আগলিয়ে

তবু তুমিই


আলোকে গভীরে যেতে বলো
   আরো গভীরে
যেখানে মনের বিস্তীর্ণ আঁকিবুঁকি
বকের পায়ের মত ছাপ ফেলে
   যেখানে হেঁটে গেছে তোমার ব্যক্তিগত ইতিহাস
      শামুকের মত মহাকাল হেঁটেছে তার পিছুপিছু

তুমিই তো

তুমিই তো
শুধু তুমিই

যখন সব মিথ্যাগুলো
...

তুমি


সমস্ত ফসল দিয়ে দেওয়ার পর
যখন কেউ মুঠো ভরে
    কেউ সম্পূর্ণ না ভরা মুঠোয় ফিরে যাবে

তুলনা

সেদিন রাতে তো মাঠ, রাস্তা, পুকুর,
  নারকেল, আম, অশ্বত্থ, কৃষ্ণচূড়া সব গাছগুলো
          জ্যোৎস্না হয়ে দাঁড়িয়েছিল
...

তুচ্ছতার ভার

তুমি কথা বলোনি
    মানে বলতে পারোনি হয় তো
তোমার তো অনেকরকম ব্যস্ততা
...

তর্পণ

উঠান ঘেরা কয়েকটা বড় বড় গাছ। আম, জাম, কাঁঠাল। মাঝে একটা বাড়ি। দুটো বড় ঘর, একটা বারান্দা। টালির ছাদ। বাউলের বাড়ি।
      মদনপুর স্টেশানে বাউল বসে। ভীষণ অসুস্থ। পাড়ার একটা ছেলে পৌঁছে দিয়ে গেছে। টোটো করে। মানুষের উপর অগাধ বিশ্বাস বাউলের।
...