Skip to main content
 
মাটিতে সুর আছে। জলেতে ছন্দ আছে। আকাশে বিশ্বাস আছে। বাতাসে ইচ্ছা আছে। আগুনে আনন্দ আছে।
একদা এক কালে সামগান ছিল। একদা এক কালে মৈত্রী-করুণা-নির্বাণ ছিল। একদা এক কালে আজান ছিল। একদা কালে ওয়াহে গুরু ছিল।
একদিন মাটি ভেঙেছিল। একদিন নদী ভেঙেছিল। একদিন হৃদয় ভেঙেছিল। একদিন বিশ্বাস ভেঙেছিল। একদিন মানুষ ভেঙেছিল।
তারপর ঝড় থেমেছিল। তারপর আত্মীয় প্রতিবেশী হয়েছিল। তারপর আসা-যাওয়ার পথ খুলেছিল, কখনও সখনও বন্ধও হয়েছিল। তারপর সেদিন থেকে এক হাত বাড়িয়ে আর এক হাতে আত্মরক্ষা চলল।
তবু এ মাটি সে মাটিই। যেখানে ঈশ্বর বহুরূপী। তুমি কে, তাঁকে করতে চাও এক পোশাকি?
তবু এ জল সে জলই। "পানি-ওয়াটার-অ্যাকুয়া-জল"। তুমি কে, তাঁর একঘাট খুলে, বাকি ঘাটে প্রহরী বসাতে চাও?
তবু এ আকাশ সে আকাশই। যে আকাশে ঘুড়ি ওড়ে শতরঙা, লক্ষ হাতের মাঞ্জা মেখে। তুমি কে, করতে চাও ভোকাট্টা?
 
তবু এ বাতাস সে বাতাসই। যে বাতাসে মেঘ হয়ে আসে সাত সমুদ্র, তেরো নদীর জল। তুমি কে, বাতাসের গায়ে অঙ্কুশ দাগতে চাও? 
তবু এ আগুন সে আগুনই। যে আগুনে পুড়িয়ে এসেছে অজ্ঞানতা, বিচ্ছিন্নতা, হীন দীনতা। তুমি কে, হোমানলের আগুনে দাবানল চাও?
এ মাটিতে তুমি শিকড়ের পুষ্টি পাবে না। 
আমি উপড়াব না। তুমি নিজেই শুকিয়ে যাবে।