অভিমান মানে কি? নিজেকে বঞ্চিত ভাবার সুখ। সে ভালো নয়। যদি ভালোবাসো তবে সুখের কথা দূরে থাক। দুঃখকে এক একবার দেখে যেও বিছানায়, জামাকাপড়ে, পর্দায়, বাসনে, আসবাবে; সকালে, দুপুরে, সন্ধ্যায়, মধ্যরাতে।

নিস্তারবাবু নাস্তিক মানুষ। কিন্তু মনে প্রাণে বাঙালি। শ্যামাসংগীত শুনলে, কীর্তন শুনলে চোখে জল আসে। মহালয়ায় বীরেন্দ্রবাবুর গলা শুনলে গায়ে কাঁটা দেয়। কিন্তু এদি

আবেগী মন আর বিচারী মন। কোন মনের কথা শুনবে? আবেগী মন জেগে উঠলে বিচারী মন কোথায়? মানুষের এ দ্বন্দ্বের সমাধান কিসে? কোথায়?

    দেশলাই এক প্যাকেট, বাতাসা দুশো, চা পাতা একশো, সিগারেট দুটো, মশা মারার ধূপ একটা…. এই তো?

তিনি কোনো ভারতীয় পুরষ্কার পাননি। তাঁকে বহু শিক্ষিত, উচ্চশিক্ষিত ভারতীয় চিনতেন না। সে বড় কথা নয়, কৈলাস সত্যার্থীকেও সিংহভাগ ভারতীয় চিনতেন না, তিনি নোবেল পাওয়ার আগে অবধি। আমাদের পত্রপত্রিকাতেও বড় করে কোনো প্রতিবেদন আমি অন্তত পড়িনি। সেও বড় কথা নয়, ওসব নিয়ে লিখলে পড়বে কে?

সবাই কি আর একরকমভাবে ভালো থাকে?

যখন তুমি একটা পাখিকে খাঁচায় পোরো,

আসলে তো পাখিটাকে নয়,

তার অসহায়তাটাকে বন্দী করো

তার বন্দী প্রাণের ডাক

যা তুমি

  তোমার অহমিকার

    বন্দনা ভেবে

      ভুল করো

বাঙালিকে ভ্রমণ পিপাসু যদি বলা হয়, তবে পুরো কথাটা সত্যি হয় না। শীতে পরিযায়ী পাখি আসে কলকাতায়। সে এক আসা। দুর্গাপুজোয় হাজার হাজার বাঙালি এদিক ওদিক বেড়াতে যায়,

মানুষটা ধীরে ধীরে ভুলে গেল, দস্তুরমত ভুলে গেল,

ইউনিভার্সাল ভালোবাসার কোড বলে কিছু হয় না। ভালোবাসা ভীষণভাবেই আর পাঁচটা অনুভবী অস্তিত্বের মত আর্থসামাজিক আর ভৌগোলিক অবস্থা দ্বারা প্রভাবিত। আমি 'ভালোবাসা' শব্

ভোলুর জন্ম এই কলকাতা শহরেই। শহুরে আদবকায়দা, ভাষা, এমনকি ইঙ্গিতটিঙ্

আজ যদি মৃণাল সেন বা ঋত্বিক ঘটক বেঁচে থাকতেন, হয় তো পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর কথা রূপালি পর্দায় উঠে আসত। অবশ্যই ফ্লপ হত সিনেমাটা। এই সিনেমাটা যেভাবে হল। কারণ

ভালোবাসা মানুষকে অভদ্র করে।

শ্যামশ্রীর এতটা উঠতে অনেক ধকল হয়েছে। তিনতলায় পুজো হচ্ছে। অমাবস্যার পুজো। মায়ের পুজো। এ বাড়ি থেকে চারটে বাড়ি গেলেই মোড়ের একতলা সবুজ বাড়িটা শ্যামশ্রী

ভালো থাকো

ব্যথায় না বাজলে, ব্যথা বোঝা যায় না।

বড় অন্ধ অভিভাবকত্ব চারদিকে

হাট বসেছে। চায়ের দোকান চালায় স্বামী, স্ত্রী। দুজনেরই বয়েস ষাটের উপর। যে বয়েসকে আমাদের পূর্বপুরুষেরা বাণপ্রস্থের জন্য বেছেছিলেন আরকি। স্ত্রী বসে বসে চা বানান।

ভগবান ঢুকেই জিজ্ঞাসা করলেন, ওহে, এটা শোরুম, না মন্দির গা?

অর্জুন বিশ্বরূপ দর্শনে ভয় পেয়েছিলেন। “ভয়েন চ প্রব্যথিতং মনো মে”। আমার মন ভয়ে ব্যথিত হয়েছে। ভয়ে ব্যথা জন্মায় মনে।

ভাঙা গা। নীল গোপাল। মাটির গোপাল। রঙ চটেছে। ভাব চটেনি। নিত্যরাধা গঙ্গার ধারে বসে। রোজ বসে। একটা ছোটো পেতলের বাটিতে চন্দন। আর তুলসীপাতা। যে চায়

অর্থ কিছু নেই

যার একদম বুদ্ধি ছিল না