সবাই কি আর একরকমভাবে ভালো থাকে?
আমি আমার মত করে ভালো থাকি। তুমি তোমার মত করে। জ্বরের রুগী প্যারাসিটামলে, হাগা রুগী থানকুনিতে। আমি দরকারের সময়ে একটা টোটো পেলেই, তুমি ফ্লাইটে জানলার ধারে সিট পেলেই। আমি আমার অন্ধকার ঘরে আধঘন্টা রোদ পেলেই। তুমি তোমার ঝুলবারান্দায় মনের মত গাছ লাগালেই।
আমরা সবাই আমাদের নিজেদের মত করে ভালো থাকার চেষ্টা করছি। ভালো থাকার হাসিটা, ভালো থাকার সুগন্ধটা মাঝে মাঝে তোমার হাতে দিয়ে বলতে চাইছি, ফ্রি ফ্রি, চেখে দেখো। এটা আমার ভালো থাকার স্বাদ।
একদম গোটাগুটি সবটা নিয়ে ভালো থাকা যায় নাকি? এই এতটা ভালো থাকলেই হল। কতটা? যতটা ভালো থাকলে মোটামুটি চলে যায় আর কি। অখণ্ড ভালো থাকার ব্রত কে মাথায় নেবে বাপ আমার! রক্ষে করো! মোটামুটি ভালো থাকাতেই যথেষ্ট।
যত বড় হচ্ছি, বুড়ো হচ্ছি, বেশ বুঝতে পাচ্ছি বেশ জানো, বেশ টের পাচ্ছি, হাতের চেটোর মত, মনের চেটোর মাপ আছে। ভালো থাকার মাপটা কারোর সঙ্গে কারোর মেলে না। মায় নিজেকে যতটা ভালো রাখব ভাবি, সেই ততটাও কি হিসাবে মেলে? মোটেও না। তবু বাস্তবে যতটা মেলে সেও অনেক। যদি সেটুকু ভালো থাকাকে ভালো থাকা বলি। কিন্তু যদি বলি, না আরো ভালো থাকার দরকার, তখন বড় মুশকিল হয়ে যায়। হাতের চেটো চটচট করে, খুঁতখুঁতে দুঃখে। সে ভালো নয়। সব ভালো থাকা তেলচিটে হয়ে যায়।
তার চাইতে এই ভালো, আসলে যতটা ভালো আছি। সদ্ ইচ্ছাঘেরা সন্তুষ্টিতে। বদ ইচ্ছা দাপানো ষাঁড়কে লালকাপড় দেখানো মাঠ করে নয় মনটাকে।