ভগবান ঢুকেই জিজ্ঞাসা করলেন, ওহে, এটা শোরুম, না মন্দির গা?
ভক্ত বলল, উফ কী যে বলেন যেখানে সেখানে, মন্দির।
ভগবান বললেন, এত ক্যামেরা কেন?
পূজারী বলল, আজ্ঞে নাশকতার থেকে বাঁচার জন্য।
ভগবান বললেন, কাকে? আমাকে না তোমাকে?
ভক্ত বলল, ইস, আপনাকে কেন হবে? আমাদের। নশ্বর দেহ কিনা।
ভগবান বললেন, তা রান্নাঘরটা কোনদিকে?
রাঁধুনি বললেন, কেন প্রভু?
ভগবান বললেন, আমার নাম করে যা খাস… নোলা তো কম নয় তোদের….
রাঁধুনি বলল, সব শুদ্ধ অন্ন প্রভু।
ভগবান হাসলেন। বললেন, তা আয়ব্যায়ের হিসাব রাখবে কে?
ট্রাস্টি বললেন, আবার ওদিকে তাকানো কেন প্রভু? আপনি হলেন সর্বজ্ঞ। বৈরাগীর ধন।
ভগবান আবার হাসলেন। কারুকার্য শোভিত জানলার কাছে দাঁড়িয়ে দেখলেন, বাইরে, রাস্তার ওপারে ভিখারির সারি।
মহাপ্রবন্ধক বললেন, এদিকটায় পর্দা দেওয়া থাকবে প্রভু। আর ওদের একবেলা করে মাসে প্রসাদের ব্যবস্থাও আছে।
ভগবান গর্ভগৃহে এসে দাঁড়ালেন। নানা মণিমাণিক্য খচিত সাজসজ্জা দেখতে দেখতে বললেন, তোমরা এখন এসো।
সবাই চলে গেল। ঠিকই তো, এতটা পথ এসেছেন। বিশ্রাম তো লাগেই।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হল। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে। পূজারী আরতির সরঞ্জাম নিয়ে ঢুকল মন্দিরে।
মূর্তির সামনে একটা চড়াই মরে পড়ে আছে। ঢুকল কোথা দিয়ে? হইচই পড়ে গেল। আবার শুদ্ধিকরণ লাগবে।
পূজারী বলল, তবে ওনাকে বাইরে যেতে বলো।
ভক্ত বলল, উনি আগেই বাইরে গেছেন। আমাদের বলার আগেই।
সবাই দীর্ঘশ্বাসের মত করে স্বস্তির শ্বাস ফেলল।