গুরু কহিলেন
গুরু কহিলেন, তবে বাবা সত্য কি?
শিষ্য গদগদ হইয়া কহিল, আপনি যাহা কহিলেন।
গুরু উৎফুল্ল হইয়া কহিলেন, আর আমি কি কহিলাম?
শিষ্য বলিল, সত্য, গুরুদেব, সত্য কহিলেন।
গান্ধী - দ্য ইয়ার্স দ্যাট চেঞ্জড দ্য ওয়ার্ল্ড
গণ্ডূষ
তবে কি যাওনি?
মনে হয়েছিল
ফিরে গেছ,
এখন শ্রাবণ না
আশ্বিন,
এলে আবার এসো
হয় তো কথা হবে না
তবু কাশ তো ফুটেছে
গীতবিতানের যেমন শেষপাতা নেই
...
গুরু
গুরু যেদিন ব্যক্তিত্ব থেকে ব্যক্তি হল সেদিনই বিপদ হল। বিদ্যা আর দক্ষতার বলে চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, উকিল, রাঁধুনি, মুচি, জমাদার। কিন্তু গুরু হন ব্যক্তিত্বের বলে, ততটা বিদ্যা আর দক্ষতার জন্য না।
গলস্টোন
...
গ্রুপ আর আমি
একটা গ্রুপের অ্যাডমিন হওয়ার দায়িত্ব অনেক। কোনো গ্রুপের মান আমার মনে হয় না তার সদস্য সংখ্যার পরিমাণ নির্ধারণ করে। কোনো গ্রুপের মান নির্ভর করে তাদের প্রগতিশীল, কুসংস্ককারমুক্ত, উদারনীতির পৃষ্ঠপোষকতায়। আর এই কাজের দায় অবশ্যই সাহিত্যের সব চাইতে বেশি। কারণ আজ অবধি অচলায়তনের বিরুদ্ধে যদি কেউ নিঃস্বার্থ গর্জে থাকে তবে তা সাহিত্য। বাকিরা তো একটা অচলায়তনকে
গভীরতা
যে বাতাসে ভেসে থাকতে চাও, সে বাতাসে ঝড়ও ওঠে। সে ঝড়ের তালে দিতে পারবে তাল? পাগল নারকেল গাছটার মত?
তুমি গভীরতা ছুঁতে চাও? কতটা জল জমেছে বুকে? কাঁদার শেষে তাকাতে শেখে চোখ। টইটুম্বুর কান্না বাঁধ দিলে, জীবন হ্রদ স্থির। কি ভেবেছিলে কেঁদেই জীবন পার হবে?
গ্রহণ
হাতের কাছে একটা পিস্তল থাকলে হয়ত ভালো হত। মোহান্ত স্নান সেরে মেঝেতে কৃষ্ণের বিগ্রহের সামনে চোখ বন্ধ করে বসে। গঙ্গার হাওয়া জানলা দিয়ে ঘরে একটা বাচ্চা ছেলের মত এলোমেলো ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মোহান্তের পিঠের উপর এলিয়ে পড়া সাদা চুলের গুচ্ছ দুলিয়ে দুলিয়ে যাচ্ছে। সারা
গবেষণা
কোন চিকিৎসকের কাছে না গেছে লোকটা? কেউ সুরাহা দিতে পারেনি। বিদেশেও গেছে, কেউ কেউ বলে। নিন্দুকেরা বলে, উঁ! বিদেশ গেছে না ছাই... সুন্দরবনে গিয়ে সেঁধিয়ে ছিল। সে যাই হোক, লোকটা চেষ্টার অন্ত রাখেনি। তার একটাই সমস্যা – কেন কুড়িটা নখ আর তেত্রিশ হাজার উনপঞ্চাশটা মাথার চুল বেড়ে বেড়ে যাবে প্রতিদিন, প্রতিমাস, প্রতিবছর। সব চিকিৎসকের একটাই কথা – এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তারও একটাই কথা – নিয়ম বলেই মানতে হবে?
গভীর রাত
এক আকাশ তারা কখনো প্রজাপতির মতো কখনো জোনাকির মতো উড়ে উড়ে আকাশে অক্ষর সৃষ্টি করছিল।
...
গুনগুন
অনেকেরই রাস্তা পারাপার হতে জেব্রাক্রসিং লাগে
নিদেন পক্ষে কয়েক জোড়া ট্রাফিকপুলিশ
তারপর এর ওর তার হাত ধরে ধরে পার হয়ে যায়
সিগন্যাল পরখ করতে করতে শ্বাস চেপে
গুজব
...
গণতন্ত্র
...
গরুর গাড়ির চালক আর বাউল
তবু গাড়ি মাঝপথে রইল থেমে।
যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে চালককে জিজ্ঞাসা করল, কি সমস্যা?
...
গানের বেদন বইতে নারে
...
গোলাপি ফ্রক
...
গঙ্গার ধারে
...
গুরু না, কবিকে খুঁজি ফিরি
চুল কাটতে কাটতে হেসে বলল, না। এই নিলাম। গুরুদেব বললেন, গলাটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে রে, একটা কন্ঠি নে।
...
গন্তব্য
তুমি বুঝলে, আমি ক্লান্ত
বললে, এই তো গন্তব্য
...
গীতবিতান
...
গ্রিল আর আকাশ
তারপর প্রচণ্ড মেঘ করল
তারপর?
...
গ্যাসবেলুন
...
গর্তের মুখে বসে
...
গোনাড
- গোনাড মানে কি স্যার?
- গোনাড মানে জানো না, তুমি না মাধ্যমিক দেবে এই বছর? গো মানে কি?
গারদ
গুজব গল্প
বাঘের ইচ্ছা হল পিঠে খাবে। কিন্তু কি করে খাবে, সে তো পিঠে বানাতেই জানে না। গ্রামে এক ভালো শেয়ালের পরিবার ছিল। বাঘ খবর পেল তারা সংক্রান্তির দিন পিঠে বানাবে। শেয়ালের পরিবারে সে আর তার বউ শিয়াল আর তার দুই বাচ্চা শেয়াল থাকত। সত্যি সত্যিই তারা সংক্রান্তির দিন পিঠে বানাত।
গ্যাস
বারো-চোদ্দো বঙ্গবাসী, মধ্যবয়সী, নারী-পুরুষ নির্বিশেষ গল্প করছেন। আমি চরিত্রদের পরিচয় আর দিলাম না। আমাদের চেনা সবাই।
...
গায়ে না মাখলেই হল
সবাই কেমন চুপ। যারা রজস্রাবে ছবি এঁকেছে, তারা চুপ। যারা স্যানিটারি ন্যাপকিনে প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা চুপ। আরো কারা কারা সব প্রগতিশীল নারীবাদীরা চুপ। টলিউড চুপ। আরো কত কত কলম চুপ
...
গল্পপাঠ - জুলাই-আগস্ট ২০২০
...
গভীরতা নয়... গতি...
নদীর জল চঞ্চল... কিছু দেখা যায় না... না মুখ, না শ্যাওলা, না চাঁদ...
হাওয়ায় চঞ্চল... স্থির হয় না... বরফ গলা জল...
...
গুরুদেব ও রেললীলা
গেহেরাইয়া
এমন অভিনয় যেন বহুকাল দেখিনি। এ অবশ্য বাড়াবাড়ি কথা, তবে প্রেমে পড়লে অমন বাড়াবাড়ি মার্জনীয়।
তা দীপিকা করলটা কি? একটা চরিত্রে অভিনয় করল। কেমন চরিত্র? ইংরাজিতে 'ফ্র্যাজাইল' বলে না? ...
গন্তব্য, বারাণসী
গুরুমশায়
গোঙানি
মানুষের গভীরের একটা শব্দ - গোঙানির শব্দ। গভীর যন্ত্রণার শব্দ। সে শব্দের কোনো শ্রোতা নেই। তার কোনো বৈচিত্র্য নেই। তার আঘাত আছে। বারবার বুকে এসে লাগা ঢেউয়ের মত, পৌনঃপুনিক অস্তিত্ব আছে।