"একটা মেয়েমানুষের এতটা বাড়াবাড়ি। যা হবার তাই হয়েছে। বেশ হয়েছে।"
সবাই কেমন চুপ। যারা রজস্রাবে ছবি এঁকেছে, তারা চুপ। যারা স্যানিটারি ন্যাপকিনে প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা চুপ। আরো কারা কারা সব প্রগতিশীল নারীবাদীরা চুপ। টলিউড চুপ। আরো কত কত কলম চুপ যারা রাজনীতির অল্প বাতাসের দিক বদলেই ঝরঝরিয়ে ঝর্ণা কলমে পদ্য-গদ্য লিখে সোশ্যাল মিডিয়া ভর্তি করে দিত তারাও চুপ।
"গায়ে না মাখলেই হল" - এ হেন মহান নীতি যাদের রক্তে তাদের থেকে এর থেকে বেশি... বালাইষাট!
কেউ কেন যেন বলছে না, "বড্ড একপেশে হয়ে যাচ্ছে সব। কোথাও যেন একটা গোলমাল হচ্ছে বড়। এ ভাবে একজনের মহিমা, গরিমা বাঁচাতে একের পর এক হার্ডল রেসে কেন দৌড় করাতে হবে কাউকে?"
কেউ কেউ, "ও তো রাজনীতি" বলে সব সমস্যার মীমাংসা করে ফেলেছেন এমন ভাবসাব করে আনন্দে খবর গিলছেন। ভাবটা এমন, তারপর কি হল?
আমাদের সমাজে আমোদটা যত বড় কথা, ডিগনিটিটা তত বড় না। সীতার পাতাল প্রবেশ আর রাজসভায় বস্ত্রহরণের দ্রষ্টা সমাজে এ স্বাভাবিক। দাঁড়ান! এক্ষুণি একদল লাফিয়ে উঠে বলবেন, "আপনার স্পর্ধা তো কম না, আপনি কার সাথে কার তুলনা করেন?" উত্তরটা দিয়ে নিই, আমি তুলনা চরিত্রের করছি না, ঘটনার করছি না, দর্শকের রুচির করছি। সেদিন যেমন কেউ বলেনি এ অন্যায়, এভাবে হয় না, আজও তেমনই বলতে পারছি না।
আসলে আমাদের বিনোদন জগতের কলাকুশলীদের কোথাও একটা ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স কাজ করে দেখেছি। "দেখেচিস কেমন বোম্বেতে রোলটোল কচ্চে", এর মধ্যে একটা হীনমন্যতার আঁচ আছে। আমাদের পুরো জাতটার মধ্যেই কি তা আসছে ধীরে ধীরে? নইলে এখনও আমরা জাতীয় স্তরের ঘটনায় এত ধীরে কথা বলি কেন? চায়ের আড্ডার কথা বলছি না। সেই স্তরের আলোচনা মেলা আছে। কিন্তু আমাদের মিডিয়াগুলো যেমন শকুনের মত হামলে আছে, একটা হাড়ের টুকরো, আধখানা মাংসের টুকরোর জন্য, তা দেখে লজ্জাই লাগে। এদিক আছে, ওদিক নেই কেন?