বলিহারি
তুম হো দাতা, ম্যাঁয় ভিখারী
এই সত্য ভুলে কি ঘোলই না খাচ্ছি
বলিহারি ভ্রম,
বলিহারি বলিহারি
বাসনা
কোনো একটা ঘরে স্থির হয়ে বসতে দিল না
বাসনা
এক ঘরে বসে থাকতে থাকতে দরজায় হাতছানি,
বলল, ওঠো, ও ঘরে যাব এবার
বাঁকা রাস্তা
বাঁকা রাস্তা। সোজা হাঁটার চেষ্টা করো। তুমি আদর্শবাদী।
বাঁকা রাস্তা। বাঁকা হাঁটার অভ্যাস তোমার। তুমি সুবিধাবাদী।
বাঁকা রাস্তা। রাস্তাটাকে সোজা করার চেষ্টা করো। আরে আরে পাগল হলি!
বিষ্টুবাবু
...
বিলুজ্যাঠা
লোকটা হনহন করে হেঁটে যাচ্ছিল। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা হবে। এই গ্রামের দিকটায় এই সময়টা শীতকালে বড় একটা বাইরে কাউকে দেখা যায় না। চারদিকের বাড়িগুলোর জানলা বন্ধ। লোকটা একা একাই হেঁটে চলেছে। মাথাটা মাফলার আর কান ঢাকা টুপিতে মোড়া। শুধু চোখদুটো বেরিয়ে আছে।
বশীকরণ
নিবারণ সমাদ্দার ওলটা সিদ্ধ করতে দিয়ে চুপ করে তার দোকানের সামনে এসে বসে আছে। নিবারণের দোহারা মাঝারি উচ্চতা। চাপা রঙ। বেশ গোলগাল মুখ। একটা নীল শার্ট আর ধুতি পরে দোকানের সামনের বেঞ্চে বসে পা দুলাচ্ছে। বয়েস এই পঞ্চান্ন'র কাছাকাছি হবে। বাড়িতে স্ত্রী আছে (বাসন্তীদেবী, লোকে বলে উনি বাপের বাড়ি গেলে নাকি পাড়ায় কাক-চিলের সংখ্যা বেড়ে যায়) আর এক মেয়ে, নাইনে পড়ে, ফুলটুসি।
বিকল্প
সারাটা জীবন এমন ভাব করলে
যেন তোমার জমিতে রয়েছে শুধুমাত্র একটা আগ্নেয়গিরি
আর তোমার কাজ যেন একটাই -
সকাল সন্ধ্যে, বর্ষা বসন্ত
শুধুই অগ্ন্যুৎপাত ঘটানো
কেন গো
জমিতে একটা বাগান করলে কি হত?
শক্তি মানে কি শুধুই আগুন?
শিকড় না?!
তবে ধৈর্য মানলে না কেন?
বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো
বুঝবে না
বয়েই চলো
হিসাব মেলেনি?
যার সময়ে দাঁড়ানোর কথা ছিল সে দাঁড়ায়নি?
(তাকে অন্য কারোর সাথে অন্য কোনো গলিতে দেখেছো?)
সময়ে কে আসে বলো জীবনে?
পেপারওয়ালা আর দুধওয়ালা ছাড়া
(তাও খুব বর্ষায়, খুব শীতে তারাও তো দেরি করে!)
মনের ভিতর মনকে আটকিয়ো না
আটকানো মনের অভিমান বেশি
বইতে দাও, নিষেধ করবে? কেন?
বাসবে ভালো একদিন আমায়?
বাইরে দাঁড়িয়ে
বাইরে দাঁড়িয়ে
একা
তোমার দিকে অবিশ্বাসের দেওয়াল
আমার বুকে অভিমানের পাঁচিল
বনাম
অত্যাচার দু'রকম হতে পারে। প্রমাণ সাপেক্ষ আর প্রমাণ সাপেক্ষ নয়। যা প্রমাণ সাপেক্ষ তার পরিমাপ নেওয়ার একটা পদ্ধতি আছে। আর যা প্রমাণ সাপেক্ষ নয়, তার স্বাভাবিকভাবেই পরিমাপ করবার কোনো উপায় নেই। প্রমাণ সাপেক্ষ আর প্রমাণ সাপেক্ষ নয়, দুর্নীতির ক্ষেত্রেও একই কথা।
বাচ্চাটার এক পায়ে জুতো
বুঝছ না কেন?
...
বান না বন্যা?
...
বিপন্নতা
সব বিপন্নতার প্রতিকার হয়না
ঝরা পাতার শুশ্রূষা করতে পারে
প্রকৃতিতে এমন চিকিৎসক নেই
...
বিশ্বকবিতা দিবস
এক্কাদোক্কা খেলছে
আমি বাইরে থেকে আওয়াজ শুনি ওদের
ছোট্টছোট্ট পায়ে চলাফেরার আওয়াজ
হুড়মুড় করে বুকের উপর চলে যাওয়ার অনুভবও পাই
...
বাঙালির 'কথামৃত' বিলাসিতা
নিজ ভ্রমে মূর্খলোক করে কোলাহলে।।
~ মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (চৈতন্যচরিতামৃত - মধ্যলীলা)
...
বিষাক্ত মানুষ
বিন্দুতে সিন্ধু
...
বাসন্তী সোনাটা
একটা রুক্ষ শুষ্ক বন লাগে
পা টিপে টিপে লুকিয়ে এলে
ঝরাপাতারা তোমার পায়ের স্পর্শ পেলো
...
বউটা
বউটা একটু বেলায় আঁচ দেয়
বউটা দুপুরবেলা ভাত দেয়
বউটা বিকেল বিকেল চা দেয়
...
বীজ
তুমি একটা বীজ পুঁতেছিলে
জল দিয়েছিলে সময় করে, মনে করে
...
বন্ধু
...
বডি
...
বৃষ্টি
বাংলা ভাষার গান কি শুধু শিক্ষিত মধ্যবিত্তের
...
বিশ্রাম
সন্ধ্যা হল। এবার বিশ্রাম নেবে ও। আজ আর কাজ না।
সন্ধানী চোখদুটো আমার
অভিধানে বিশ্রামহীন এখনও
বিবেকানন্দের ঈশ্বর কে ছিলেন?
উত্তর এলো “হ্যাঁ দেখেছি” শুধু না, “তোকেও দেখাতে পারি”। দেখালেন। তিনি ছুঁয়ে দিতেই নরেনের বিশ্বজড়বোধ লোপ পেয়ে যায়। বিশ্ব চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে তার চেতনা। সেকি ঈশ্বর দর্শন? এরপরেও তিনি শোনেন তাঁর গুরুই এই বিশ্বসংসারের বিশ্বপিতা, “যে রাম, যে কৃষ্ণ, সেই রামকৃষ্ণ”। সেই কি তবে ঈশ্বরদর্শন? না, তাতেও তো শান্তি হল না তাঁর! অথচ শাস্ত্র বলছেন একবার ঈশ্বরকে লাভ করলেই মানুষ চিরশান্তিতে ডুবে যায়, তার নাকি আর কিছুরই তৃষ্ণা, খোঁজ থাকে না? সে নাকি ‘তৃপ্ত ভবোতি... স্তব্ধ ভবোতি... অমৃত ভবোতি’ হয়ে যায়? হল না তো নরেনের বেলায়।
...
বিষয়ীর দেবস্বপ্ন
লুচ্চকবাবু আর কয়েক ঘন্টা টিকলেন। যতক্ষণ টিকলেন ঠাকুরঘরের দিকে আঙুল তুলে, 'উঁ উঁ' করে কিছু বলতে চাইলেন। ওনার স্ত্রী, দশ ছেলে, দশ ছেলের বউ, চল্লিশটা নাতি-নাতনি, পাঁচশো দাসদাসী ভাবলে, কত্তাবাবার ঈশ্বরদর্শন হয়েছে।
...
বিশ্বাসী
বাইরের দেওয়াল রঙিন রেখে
...
বড়দিন
কি করে জানলে
হিংসাটাই সবচাইতে বড় সত্যি?
বাস্তব
বাস্তবে তোমার আমার সাথে কি প্রয়োজন বলো?
তবু কিছুটা সময় বাস্তব না হয় থাকলই আড়ালে
তুমি তোমার সময় হলে ফিরে যেয়ো
আমি ফিরিয়ে নেবো বাস্তবকে আবার আমার মত করে
তুমি ভেবো না