Skip to main content
(50) | " (18) | # (1) | ' (12) | 1 (1) | 7 (1) | A (5) | B (3) | C (6) | D (8) | F (8) | G (3) | H (2) | I (16) | J (4) | K (3) | L (9) | M (9) | N (5) | O (11) | P (8) | R (2) | S (19) | T (13) | U (5) | W (8) | Y (6) | | (1) |   (4) | (2) | (1) | (1) | (1) | (1) | (1) | (2) | (1) | (1) | (1) | (3) | (1) | (312) | (425) | (28) | (15) | (49) | (5) | (288) | (47) | (1) | (415) | (64) | (101) | (43) | (120) | (69) | (139) | (35) | (29) | (12) | (32) | (9) | (274) | (15) | (193) | (51) | (231) | (321) | (65) | (403) | (207) | (365) | (162) | (123) | (48) | (194) | (2) | (475) | (111) | (6) | (11) | (5) | (1) | (2) | (1) | (1)

বলিহারি

তুম হো দাতা, ম্যাঁয় ভিখারী

এই সত্য ভুলে কি ঘোলই না খাচ্ছি

       বলিহারি ভ্রম, 
               বলিহারি বলিহারি

বাসনা

কোনো একটা ঘরে স্থির হয়ে বসতে দিল না
           বাসনা
এক ঘরে বসে থাকতে থাকতে দরজায় হাতছানি, 
      বলল, ওঠো, ও ঘরে যাব এবার

বাঁকা রাস্তা

বাঁকা রাস্তা। সোজা হাঁটার চেষ্টা করো। তুমি আদর্শবাদী।

বাঁকা রাস্তা। বাঁকা হাঁটার অভ্যাস তোমার। তুমি সুবিধাবাদী।

বাঁকা রাস্তা। রাস্তাটাকে সোজা করার চেষ্টা করো। আরে আরে পাগল হলি!

বিষ্টুবাবু

"গড়গড় করে নামতা বলতে পারো না? তবে কি পারো? লাফিয়ে ট্রেনে উঠতে পারো? রিকশায় বসে আকাশের দিকে তাকাতে তাকাতে নিজেকে নিজে গল্প শোনাতে পারো? পা'টা সুড়সুড় করছে? কোথায় যাবে? এত যাওয়া যাওয়া কেন?"
...

বিলুজ্যাঠা

লোকটা হনহন করে হেঁটে যাচ্ছিল। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা হবে। এই গ্রামের দিকটায় এই সময়টা শীতকালে বড় একটা বাইরে কাউকে দেখা যায় না। চারদিকের বাড়িগুলোর জানলা বন্ধ। লোকটা একা একাই হেঁটে চলেছে। মাথাটা মাফলার আর কান ঢাকা টুপিতে মোড়া। শুধু চোখদুটো বেরিয়ে আছে।

বশীকরণ

নিবারণ সমাদ্দার ওলটা সিদ্ধ করতে দিয়ে চুপ করে তার দোকানের সামনে এসে বসে আছে। নিবারণের দোহারা মাঝারি উচ্চতা। চাপা রঙ। বেশ গোলগাল মুখ। একটা নীল শার্ট আর ধুতি পরে দোকানের সামনের বেঞ্চে বসে পা দুলাচ্ছে। বয়েস এই পঞ্চান্ন'র কাছাকাছি হবে। বাড়িতে স্ত্রী আছে (বাসন্তীদেবী, লোকে বলে উনি বাপের বাড়ি গেলে নাকি পাড়ায় কাক-চিলের সংখ্যা বেড়ে যায়) আর এক মেয়ে, নাইনে পড়ে, ফুলটুসি।

বিকল্প

সারাটা জীবন এমন ভাব করলে
যেন তোমার জমিতে রয়েছে শুধুমাত্র একটা আগ্নেয়গিরি
আর তোমার কাজ যেন একটাই -
   সকাল সন্ধ্যে, বর্ষা বসন্ত
        শুধুই অগ্ন্যুৎপাত ঘটানো

কেন গো
  জমিতে একটা বাগান করলে কি হত?
শক্তি মানে কি শুধুই আগুন?
     শিকড় না?!
তবে ধৈর্য মানলে না কেন?

বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো

'প্রেম' অনুভূতিটা বিশ্বজনীন, কিন্তু 'ভ্যালেন্টাইনস ডে'টা আন্তর্জাতিক। এই দুটো শব্দ নিয়ে আজ কথা। যা কিছু বিশ্বজনীন তাই কি আন্তর্জাতিক? না। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে কোথাও যেন আজকের এই অর্থশক্তি নিয়ন্ত্রিত বিশ্বে এইদুটো শব্দকে এক করে ফেলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ...

বুঝবে না

আপেল মাটিতে পড়ার জন্য দায়ী কি শুধুই মাধ্যাকর্ষণ?

বয়েই চলো

হিসাব মেলেনি?
যার সময়ে দাঁড়ানোর কথা ছিল সে দাঁড়ায়নি?
(তাকে অন্য কারোর সাথে অন্য কোনো গলিতে দেখেছো?)
সময়ে কে আসে বলো জীবনে?
    পেপারওয়ালা আর দুধওয়ালা ছাড়া
  (তাও খুব বর্ষায়, খুব শীতে তারাও তো দেরি করে!)
 মনের ভিতর মনকে আটকিয়ো না
   আটকানো মনের অভিমান বেশি
     বইতে দাও, নিষেধ করবে? কেন?

বাইরে দাঁড়িয়ে

বাইরে দাঁড়িয়ে

        একা

তোমার দিকে অবিশ্বাসের দেওয়াল
       আমার বুকে অভিমানের পাঁচিল

বনাম


অত্যাচার দু'রকম হতে পারে। প্রমাণ সাপেক্ষ আর প্রমাণ সাপেক্ষ নয়। যা প্রমাণ সাপেক্ষ তার পরিমাপ নেওয়ার একটা পদ্ধতি আছে। আর যা প্রমাণ সাপেক্ষ নয়, তার স্বাভাবিকভাবেই পরিমাপ করবার কোনো উপায় নেই। প্রমাণ সাপেক্ষ আর প্রমাণ সাপেক্ষ নয়, দুর্নীতির ক্ষেত্রেও একই কথা।

বাচ্চাটার এক পায়ে জুতো

বাচ্চাটার এক পায়ে জুতো, আরেক পা খালি। মন্দিরের চাতাল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মা উদাস চোখে বসে। সিঁথিতে সিঁদুর নেই। হাতে শাখাপলাও নেই। সিঁথিতে যেন কোনোকালের মোছা সিঁদুরের আবছা দাগ। শুকনো অববাহিকায় পড়ে থাকা নুড়ির মত কয়েকটা শ্রীহীন চুল হালকা বাতাসে উড়ছে। দৃষ্টি দূরে।

বুঝছ না কেন?

তোমাদের জন্য আমার শান্তি নেই। আমার ব্যক্তিগত জীবনে শান্তি ছিল। যখন ধর্ম আমার একান্ত ব্যক্তিগত ছিল। আমার ধর্মে সেদিন আমি ছিলাম, আমার ঈশ্বর ছিলেন। সংগীত ছিল। নৃত্য ছিল। আকুতি ছিল। আনন্দাশ্রু ছিল। আমার ধর্মের মধ্যে আমি সারা বিশ্বের ছবি দেখতাম। আমার স্তব ছিল, ভজন ছিল, ফুলের সাজ ছিল।
...

বান না বন্যা?

বাঙালী ভক্তের জাত। বাঙালী হুজুগের ভক্ত। কালী, দূর্গা তো অনেক হল। এরকম পুরুষতান্ত্রিক সমাজে  অমন মেনীমুখো হয়ে থাকলে চলবে না বাপু! বাঙালি অ্যাদ্দিনে বুঝেছে। পুরুষাকার জাগছে। রক্তে অ্যাড্রিনালিনের পরিমাণ বাড়ছে। ওই বোলপুর আর জোড়াসাঁকো করে করে শুকুতে বসেছিল গা! তো কথা হল, নতুন একটা হুজুগ বাঙালি বহুদিন পর পেলো।
...

বিপন্নতা

বিপন্নতার প্রতিকার চেয়ো না
সব বিপন্নতার প্রতিকার হয়না 
ঝরা পাতার শুশ্রূষা করতে পারে 
প্রকৃতিতে এমন চিকিৎসক নেই
...

বিশ্বকবিতা দিবস

আমার চেতনায় আড়াল থাকা কিছু শব্দ
এক্কাদোক্কা খেলছে

আমি বাইরে থেকে আওয়াজ শুনি ওদের
ছোট্টছোট্ট পায়ে চলাফেরার আওয়াজ
হুড়মুড় করে বুকের উপর চলে যাওয়ার অনুভবও পাই
...

বাঙালির 'কথামৃত' বিলাসিতা

কৃষ্ণ কেনে দরশনে দিবেন কলিকালে। 
নিজ ভ্রমে মূর্খলোক করে কোলাহলে।। 
~ মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (চৈতন্যচরিতামৃত - মধ্যলীলা)
...

বিষাক্ত মানুষ

বিষাক্ত সাপ চেনার তাও নাকি কিছু কৌশল আছে। কিন্তু বিষাক্ত মানুষ...যাক গে, স্বয়ং ভগবানই যখন চিনতে পারেননি সৃষ্টির আগে। কি করে জানলাম? আরে নিজের থাকার ঘরে মানুষ একটা আরশোলাও সহ্য করতে পারে না, সাথে সাথে ঝেঁটিয়ে মারে, সেখানে বিশ্বস্রষ্টার সারা পৃথিবীজুড়ে এত বিষ...

বিন্দুতে সিন্ধু

অসীমের কি সহানুভূতি আছে? অসীম একটা অস্তিত্ব, নাকি মানবিক চেতনার একটা আভাস। রামকৃষ্ণ বলছেন, “মানুষ কি কম গা? মানুষ অনন্তকে চিন্তা করতে পারে।“ অনন্ত মানে কি মহাকাশ? অসীম কি মানবিক চেতনার অবসর? রবীন্দ্রনাথ নিজের ছোটোবেলায় গায়ত্রী মন্ত্রের অনুভূতি বলতে গিয়ে বলেছেন, সে মন্ত্র তাকে অসীমের মধ্যে বিচরণের জন্য যেন অবসর দিত।
...

বাসন্তী সোনাটা

স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল হতে 
  একটা রুক্ষ শুষ্ক বন লাগে
  পা টিপে টিপে লুকিয়ে এলে
ঝরাপাতারা তোমার পায়ের স্পর্শ পেলো
...

বউটা

বউটা সকালে উঠে ঝাঁট দেয়
বউটা একটু বেলায় আঁচ দেয়
বউটা দুপুরবেলা ভাত দেয়
বউটা বিকেল বিকেল চা দেয়
...

বীজ

এক টব মাটিই ছিল শুধু
তুমি একটা বীজ পুঁতেছিলে
   জল দিয়েছিলে সময় করে, মনে করে
...

বন্ধু

আদতে একটা মানুষ নিজে ভালো না হলে কি কারোর ভালো বন্ধু হতে পারে? ‘বন্ধুর মত’ হতে পারে, কিন্তু বন্ধু হয়ে ওঠা কি এত সোজা? তাকে দিয়ে আমার কিছু প্রয়োজন মেটে আর আমাকে দিয়ে তার, এটা একটি চলতি বন্ধুত্বের মতন কিছু একটা হলেও বন্ধুত্ব তো নয়। যার সঙ্গে স্বস্তি আর তোষণ তবে কি সেই বন্ধু? কিছুটা সত্যিই হলেও পুরোটা কি?
...

বডি

বাজারটা থমথম করছে এখনও। পুলিশ এখনও বডি নিতে আসেনি। ছেলেটাকে এদিকে কেউ আগে দেখেছে বলেও চিনতে পারছে না। কিন্তু এরকম দিন দুপুরে খুন এই তল্লাটে আগে কবে হয়েছে মনে করতে পারছেন না বিশ্বনাথ দাস। বাজারের ব্যাগটা হাতে নিয়ে, ভুরু কুঁচকিয়ে পরেশের চায়ের দোকানে বসে আছেন।
...

বৃষ্টি

বৃষ্টি থাকে বাসুদেবপুরের জঙ্গলের মধ্যে। তার এক ভাই গৌর, আরেক ভাই নিতাই। বৃষ্টি ক্লাস ফাইভে পড়ে। মিড ডে মিলে সয়াবিন, ডিম, ডাল, ভাত পায়। বৃষ্টি টুইংকেল টুইংকেল বলতে পারে। বাংলা কবিতাও মুখস্থ বলতে পারে। সে হাতির পায়ে থেঁতলানো মানুষের মাথা দেখেছে। ভয় পায়নি নাকি। গৌর অমনি বলল, তুই ডর পাসনি? বৃষ্টি হেসে বলল, লা!

বাংলা ভাষার গান কি শুধু শিক্ষিত মধ্যবিত্তের

বাংলা ভাষার গান কি শুধু শিক্ষিত মধ্যবিত্তের? আরেকটু নিচুতে নামলে বাংলা গানের সাথে কি নিজেকে 'রিলেট' করতে পারেন না বাঙালী? নাকি ওই রিদম, ওই ভাষার ঝোঁক বাংলা গানে হয় না। অবশ্য একটু বদলিয়ে মধ্যবিত্ত বাঙালী কথাটাও সরিয়ে দেওয়া যায়। বলা যায় এক ধরনের বাঙালী, মনে যাকে সংস্কৃতি মনস্ক, বা আঁতেল ইত্যাদি বলা যায় তারা ছাড়া সব্বাই হিন্দিগানের আবেগের সাথেই দেখি সহজ। 
...

বিশ্রাম

সব যন্ত্রপাতিগুলো ব্যাগে ভরে মিস্ত্রীটা বাড়ি ফিরে গেল খানিক আগে
      সন্ধ্যা হল। এবার বিশ্রাম নেবে ও। আজ আর কাজ না।

    সন্ধানী চোখদুটো আমার 
            অভিধানে বিশ্রামহীন এখনও

বিবেকানন্দের ঈশ্বর কে ছিলেন?

“আপনি কি ঈশ্বরকে দেখেছেন”? 
        উত্তর এলো “হ্যাঁ দেখেছি” শুধু না, “তোকেও দেখাতে পারি”। দেখালেন। তিনি ছুঁয়ে দিতেই নরেনের বিশ্বজড়বোধ লোপ পেয়ে যায়। বিশ্ব চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে তার চেতনা। সেকি ঈশ্বর দর্শন? এরপরেও তিনি শোনেন তাঁর গুরুই এই বিশ্বসংসারের বিশ্বপিতা, “যে রাম, যে কৃষ্ণ, সেই রামকৃষ্ণ”। সেই কি তবে ঈশ্বরদর্শন? না, তাতেও তো শান্তি হল না তাঁর! অথচ শাস্ত্র বলছেন একবার ঈশ্বরকে লাভ করলেই মানুষ চিরশান্তিতে ডুবে যায়, তার নাকি আর কিছুরই তৃষ্ণা, খোঁজ থাকে না? সে নাকি ‘তৃপ্ত ভবোতি... স্তব্ধ ভবোতি... অমৃত ভবোতি’ হয়ে যায়? হল না তো নরেনের বেলায়। 
...

বিষয়ীর দেবস্বপ্ন

লুচ্চকবাবু কালরাতে স্বপ্ন দেখে কেঁদেছেন। কেউ জিজ্ঞাসা করলেই ঠাকুরঘরের দিকে আঙুল তুলে দেখাচ্ছেন। কথা বন্ধ হয়ে গেছে। চিকিৎসক এসে বলেছেন ঘুমের ঘোরে তীব্র মানসিক আঘাত পেয়ে শিরা-ধমনী-স্নায়ু গিট্টু পাকিয়ে গেছে।
        লুচ্চকবাবু আর কয়েক ঘন্টা টিকলেন। যতক্ষণ টিকলেন ঠাকুরঘরের দিকে আঙুল তুলে, 'উঁ উঁ' করে কিছু বলতে চাইলেন। ওনার স্ত্রী, দশ ছেলে, দশ ছেলের বউ, চল্লিশটা নাতি-নাতনি, পাঁচশো দাসদাসী ভাবলে, কত্তাবাবার ঈশ্বরদর্শন হয়েছে।
...

বিশ্বাসী

এতটাও বিশ্বাসী সেজে থেকো না, যে -
  বাইরের দেওয়াল রঙিন রেখে
...

বড়দিন

কি করে জানলে
   হিংসাটাই সবচাইতে বড় সত্যি?

বাস্তব

বাস্তবে তোমার আমার সাথে কি প্রয়োজন বলো?
তবু কিছুটা সময় বাস্তব না হয় থাকলই আড়ালে
তুমি তোমার সময় হলে ফিরে যেয়ো
    আমি ফিরিয়ে নেবো বাস্তবকে আবার আমার মত করে

                    তুমি ভেবো না

বঙ্গ সংকট

আজ এক নতুন তথ্য জানলাম, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি রবীন্দ্রনাথের কাব্যগুণ বুঝতেন না। সুবিনয় রায় আর গীতা ঘটকের