ওর গায়ে মুখে এক চিলতে রোদ্দুর
আলোর বায়না মিটিয়েছে দুচোখের বিস্ময়
অন্ধকারকে শাসিয়ে বলেছে - 'হুস্'
দরজায় দাঁড়িয়ে থমকে গিয়ে
     কি ভেবে পিছন ফিরেছে
ইতস্তত করা বাইরের জগৎটাকে
 ডেকেছে তার ছোট্টঘরে,
   অভয় দিয়ে বলেছে -
   'জায়গা হবে না ভাবলি কি করে? - ধুস্'

(ছবিঃ দেবাশিষ বোস)

এড়িয়ে যাবে,
 না তুলে নেবে?

পথ চুমেছি অভিমানে না
      রক্তিম অপেক্ষায়"

(ছবিঃ মৈনাক বিশ্বাস)

গতকাল থেকে তিনটে ভাষণ নিয়ে মিডিয়া তথা ফেসবুকে বহু উচ্ছ্বাস, স্তবস্তুতি শুনে আসছি। তিনটি ভাষণই বাগ্মীতায় বহু উচ্ছ্বাসপূর্ণ। বহু করতালি, বহু হাসাহাসি, বহু চিমটাচিমটি পরিপূর্ণ। কেউ আবেগের কথা বলেন, কেউ সবাই সমান হয়ে যাওয়ার সেই স্বপ্নটার কথা বলেন, কেউ মান-সম্মানের কথা বলেন।

    কেউ আগাম ভারতবর্ষ পদ্মময়, কেউ লালময়, কেউ হাতময় দেখছেন।

কখন যেন উঠতে উঠতে তেরো তলা অবধি উঠে আসলাম
  আলো বাতাস আকাশ বদলালো না
মাটির সাথে দূরত্ব বাড়তে বাড়তে আমি বদলাতে লাগলাম

আমার গায়ে লাগল ঈর্ষার ঘুণ
    বিষাদ শীতলতায় রক্ত চলাচল কম শরীরে
  হাঁটতে চলতে ব্যথা এখানে ওখানে
      অথচ এখনো অনেক তলা চড়লেও যেন চড়তে পারি

কেন এসেও এলে না?

      আমি অন্যমনস্ক ছিলাম?
             না তুমি ছিলে সংশয়ে?

একবার সব ছেড়ে এসো

মনে হবে

একদিন সব ছেড়ে গিয়েছিলে

আমি এই জন্য তোমার কাছে আসি না,
      যে তুমি ভীষণ ভালো বলে

আমি এই জন্য তোমায় ভালোবাসি না,
    যে তুমি আমায় ভীষণ ভালোবাসো বলে

আমি এই জন্যে তোমার কাছে আসি,
   কারণ তোমার কাছে এলে,
       আমার নিজের ভালো হতে ইচ্ছা করে

একদিন আমারও একজন 'মা' ছিল

আজ নেই

একদিন আমিও শান্ত সুখী ছিলাম

আজ নই

একদিন আমারও একজন 'মা' ছিল

আজ নেই

একদিন আমারও খেলে পেট ভরত
একদিন আমারও শুলে ঘুম আসত
একদিন আমারও জামা নতুন হত

আজ কই?

একদিন আমারও একজন 'মা' ছিল
আজ নেই

একদিন আমারও চোখ শুকনো থাকত
আজ কই?

সময় তো ফ্রেম নয়
তুমিও ফটোগ্রাফ নও
আমিও দেওয়াল নই

বরং একসাথেই গড়াই
  গড়াতে গড়াতে বদলাই
  বদলাতে বদলাতে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলি
     ছোঁয়াছুঁয়ি খেলতে খেলতে লুকোচুরি

এটা এমনি মিছিমিছি লেখা। মনের মধ্যের কথাগুলো, চিন্তাগুলোকে বাইরে সাজিয়ে সাজিয়ে থাকে থাকে রাখা। না রাখলেও ক্ষতি ছিল না, তবু মাঝে মাঝে ভাঁড়ার ঘরের কোণে পড়ে থাকা অবহেলায় ধুলোমাখা ভাঙা সরাটা দেখলে যেমন মনটায় টুক করে একটা ব্যাথা লাগে, এও তেমন ধারা কথা।

এও আরেক দেবীপক্ষ
"যে সব মহিলাদের দেখতে ভালো নয়, মানে সেই অর্থে সেক্স অ্যাপিল কম, তারাই নারীবাদী হয়ে মিছিল মঞ্চ করে বেড়ায়।"
বক্তা একজন মহিলা। তিনি জিজ্ঞাসিতা হয়েছিলেন, কেন এত সং এর মত সেজেগুজে কুমারটুলিতে পোজ দিয়ে ছবি তুলে তুলে ফেসবুকের পেজ ভরানো। সেকি পণ্য, না বিজ্ঞাপন?

এমন একটা ভোর আসুক
বাড়ির পিছনের পুকুরটার পাড় ঘেঁষা
     নারকেলগাছের সারির মাথা ছুঁয়ে উঠুক সূর্য

আমি দুটো ফুসফুসের
  সবকটা কোষ ভরানো শ্বাস নিয়ে
  সর্বান্তঃকরণে, নিঃসংশয়ে বলি-
             "সবার মঙ্গল হোক"

এক আকাশ নিঃশব্দতা হঠাৎ হাতের মুঠো ছুঁয়ে গেল

মুঠো কুঁড়ির মত ফুটল নিঃশব্দে
         কি আবেশে, বিবশ হয়ে
নীল ওড়না ঢেউয়ের মত স্পর্শ করল
    অপরিচিত আঙিনায় পরিচিত আদর

আকাশ আর খোলা হাত পাশাপাশিই থাক
    মুঠোর বাঁধন অতীত এখন