Skip to main content
এমন যদি হয়, হঠাৎ করে যীশু নিউ ইয়র্কের কোনো একটা রাস্তায় তাঁর সেই আদিম রূপে, আদিম কথাগুলো নিয়ে ফিরে এলেন, কেমন হবে? সাধারণের কথা জানি না, চার্চগুলো কি বিপদেই না পড়বে। 
 
চীৎকার করে বদ্ধ ঘরে গর্জন করে উঠবে, কেন ফিরে এলে? তুমি ফিরে এসে কি বিপদে আমাদের ফেলেছো তা জানো? কাল সকালেই তোমাকে পুড়িয়ে মারব...না একটা কথাও তুমি বলবে না। একদম চুপ...চুপ...চুপ। আমি বলছি তুমি শোনো। তুমি বললে মানুষ শুধু রুটিতে বাঁচে না। অথচ তোমার এত অনুসরণকারী হল কি করে? কারণ তুমি ওই রাস্তায় পড়ে থাকা পাথরের টুকরোগুলোকে রুটিতে পরিণত করেছিলে...হ্যাঁ...হ্যাঁ..ওই ক্ষুধার্ত মানুষগুলোকে খাইয়েছিলে...তাই...হ্যাঁ হ্যাঁ তাই। বিজ্ঞান তাই বলে...ওরে আগে ওদের পেট ভরে খেতে দে, পরে ধর্মের কথা শোনাস (খালি পেটে ধর্ম হয় না - রামকৃষ্ণদেব)। 
স্বাধীনতা?...স্বাধীনতার ভার কত জানো তুমি সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে, তুমি বলো হৃদয়ের কথা শুনতে...বিবেকের কথা শুনতে...ব্যক্তিগত স্বাধীনতা...ফুঃ...মানুষ সুখী হয় কিসে জানো? অথোরিটি, অলৌকিকতায় আর রহস্যতে। তুমি এর সব কটা নস্যাৎ করে দিলে। তোমায় যে লোকে অনুসরণ করেছিল, সে তোমার প্রেমের টানে না বুদ্ধুরাম, তোমার ওই মির‍্যাকেলের টানে। তুমি আর তোমার প্রেম...দুই তুচ্ছ...তাই আমরা তৈরি করেছি অথোরিটি, মির‍্যাকেল আর মিস্ট্রির প্রাসাদ, কার নামে জানো? তোমার নামে...
 
 
 
এমনই সব কথা আছে ব্রাদার্স কারামোজভের, দা গ্র্যাণ্ড ইঙ্কুইজিটার অধ্যায়ে। পৃথিবীর বহু তাবড় তাবড় দিকপাল, সে ফ্রয়েড থেকে আইনস্টাইন, কি আন্দ্রে জিঁদে থেকে হারমান হেসে কি এখনকার হারুকি মুরাকারি - দস্তয়েভস্কির এই মহাগ্রন্থের প্রভাব থেকে মুক্ত নন। অসামান্য এই নাট্যাংশটি, ২৫ মিনিটের দেখার জন্য অনুরোধ রইল।
 
একটা কথা অবশ্য এর সাথে মনে পড়ল, খালিল গিবরানের। উনি লিখেছিলেন, একবার নাকি জেরুজেলামের যীশুর সাথে ভ্যাটিকান সিটির যীশুর দেখা হয়েছিল। দুজন দুজনকে চিনতে পারেননি। 
 
আমি ঠাট্টা করে বলি, একবার নাকি দক্ষিণেশ্বরের রামকৃষ্ণের সাথে বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণের দেখা হয়েছিল বালিব্রীজে মধ্যরাত্রে। দুজন দুজনকে চিনতে পারেননি। একজন ফিরে গিয়েছিলেন হেঁটে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের দিকে, আরেকজন ফিরে গিয়েছিলেন দামি একটা গাড়িতে কাঁচ উঠিয়ে বেলুড় মঠের দিকে। 
যা হোক, ঠাট্টা নয়, ভিডিওটা দেখার অনুরোধ রইল।