Skip to main content

কখন যেন উঠতে উঠতে তেরো তলা অবধি উঠে আসলাম
  আলো বাতাস আকাশ বদলালো না
মাটির সাথে দূরত্ব বাড়তে বাড়তে আমি বদলাতে লাগলাম

আমার গায়ে লাগল ঈর্ষার ঘুণ
    বিষাদ শীতলতায় রক্ত চলাচল কম শরীরে
  হাঁটতে চলতে ব্যথা এখানে ওখানে
      অথচ এখনো অনেক তলা চড়লেও যেন চড়তে পারি

একটা পাখি ছিল, আট তলা অবধি আমার সাথে
   একদিন এক সূর্যাস্তের সময় আমায় কি একটা বলে গিয়েছিল কানে কানে
 সেদিন শুনেছিলাম, বুঝতে পারিনি
   আজ তেরো তলার কার্ণিশে হাঁপাতে হাঁপাতে মনে পড়ছে সে কথা
আমায় বলেছিল সে নীলরঙা পাখি -
  এরপর নামতে কষ্ট হবে,
      ততটাই ওঠো যতটা উঠলে সহজে নামা যায়

 নামব কেন?!
   আর নামবই বা কি করে?
নীচের দিকে তাকালে সব ঝাপসা
  পায়ের পাতা ভারী হয়েছে পাথরের মত
 মাথা সোজা রাখতে গেলে ঘোরে বারোমাস
  অথচ একটা তারার সাথেও কমল না এক রত্তি দূরত্ব!

একটা তারার আলোই তো চেয়েছিলাম
   এমনকি ছিল বেশি কিছুর দাবী?
মাটির বিনিময়ে, শিকড়ের বিনিময়ে
     নিজের সব শান্তির বিনিময়ে
   এমনকি তোমরা যাকে আটপৌরে প্রেম বলো
  তারও বিনিময়ে চেয়েছিলাম
     তারার আলোর সাথে ক্ষণিক সহবাস!

পাখিটা বুঝেছিল। তার ডানার সাথে বাতাসের কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না
    আমার ছিল সারাটা জীবনের দ্বন্দ্ব
      আকাশের সাথে দৃষ্টির, মুঠোর সাথে মাথার
       আর প্রেমের সাথে সময়ের

হেরেই গেলাম
   একটা চিঠি লিখে রেখে গেলাম
   তোমাদের জন্য যারা একতলা থেকে উঠতে শুরু করছ-
      যে পা ফেলতে পায়ের সাথে মাটির দ্বন্দ্ব হয়
         সে পা'টা ফেলো না
   সারাটা জীবন তারাকে কাছে না পেলেও
     নিজেকে পাবে।
  পৃথিবীতে তোমার বলতে যা একান্তই শুধু তোমার
      তুমি নিজে