Skip to main content

এমন শান্তি চাই নে

পূজারী পুজোর শেষে যজ্ঞের জ্বলন্ত কাঠ ছুঁড়ে আশীর্বাদ করেন না, শান্তির জল ছিটান। বিশ্বাসী বিশ্বাস করেন সেই শান্তির জলকণা তার শান্তি প্রাপ্তির একটি অমোঘ উপায়। এ অনুভব না করলেও, অনুমান করতে পারি। কিন্তু জ্বলন্ত যজ্ঞকাষ্ঠ ছুঁড়ে মারার পর ভক্ত যদি জ্বলন্ত ধুতিশাড়ি সামলাতে সামলাতে বলেন, আহা কি শান্তি, কি শান্তি, তখন বুদ্ধি বিভ্রান্তির চোরাবালিতে হাবুডুবু খায়।

দ্য লাস্ট গার্ল

বইটা নিশ্চয়ই অনেকের পড়া। বা অনেকে নিশ্চয়ই শুনেছেন বইটার কথা। অথবা মুরাদের মুখে মুরাদের যৌনদাসী হয়ে থাকার অভিজ্ঞতার কথা। আবার অনেকে নিশ্চয়ই এড়িয়ে গেছেন, বা পড়তে পারেননি। এবং অনেকে হয় তো শোনেনওনি এই বইটার ব্যাপারে কিছু, কিম্বা মুরাদের বিষয়ে কিছু।

আদৌ কি চাইছি

একটা বড় মেলা। কত রকম আলো, কতরকম নাগরদোলা, কত রকম সুখ। একটা রিফ্রেশিং স্পট - রবীন্দ্রনাথ। 

    পঁচিশে বৈশাখ, বাইশে শ্রাবণ - মেলায় ভীষণ ভিড়। পঁচিশে বৈশাখ অপেক্ষাকৃত বেশি। সেদিন মেলার ফাউণ্ডেশন ডে। বাইশে শ্রাবণ, ভিড় কিছুটা কম, সেদিন মেলার কর্তৃত্ব হস্তান্তরণের দিন। বাকি দিনগুলো কেউ না কেউ আসেই। 

সুনিশ্চিত সরকারি চাকরি

যে খবরটা নিয়ে খবরের কাগজগুলো তোলপাড় হচ্ছে তা হল ডোমের চাকরির জন্যে উচ্চশিক্ষিতদের আবেদনপত্র। অনেকেরই বক্তব্য পড়লাম, ডোমের চাকরি মানে সরকারি চাকরি, মানে সুনিশ্চিত নিরাপত্তা।

ভাল্লুকটা আর বন্ধুত্ব দিবস

তো হল কি, দুই বন্ধু জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ কি চলে এলো? ভাল্লুক চলে এলো। অমনি একজন বন্ধু হুড়মুড় করে গাছে উঠে পড়ল। আরেকজন কি করবে, সে মড়ার মত পড়ে থাকল। সে তো জানে একটু পর ভাল্লুকটা এসে তাকে শুঁকে চলে যাবে। তারপর গাছ থেকে বন্ধুটা নেমে জিজ্ঞাসা করবে, ভাল্লুকটা তোর কানে কানে কি বলছিল রে?

খবরের কাগজ

বাংলা উচ্চারণে 'র' আর 'ড়' খুব সাংঘাতিক শব্দ। "আজি ঝড়ো ঝড়ো মুখড়ো বাদড় দিনে"... এরকম গান শোনার অভিজ্ঞতা নেই এমন সরেস কর্ণধারী বাঙালি মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম। 

    আমার এখানে আলোচ্য বিষয় হল, আমি খবরের কাগজ 'পড়ব' না 'পরব', এই বিষয় নিয়ে। দেখুন এই প্রথম আমি দুটো শব্দকেই এক বিষয়ে চাক্ষুষ করলাম। 

বিচিত্র ছলনাজাল

প্রতিদিন পেপার খুললেই পড়ছি প্রতারণার গল্প। কেউ উচ্চ আধিকারিক সেজে প্রতারণা করছে। কেউ প্রেমিক সেজে। কেউ চিকিৎসক সেজে। কেউ গুরু সেজে। কেউ চলচিত্র পরিচালক সেজে। মানুষের কত সাজ, কত কৌশল। কত কত নকল। 

বড় সংকট

কথা হচ্ছে ব্যঙ্গ করবেন না কেন? অবশ্যই করুন। আমরা ট্রোল, মিম আরো কি কি সব নামে এই সব উন্নত মানের ইতরামি দেখতে অভ্যস্ত এখন। সেখানে কেউ বাদ যায়?

আয় রে আয় হাঁড়ি হাঁড়ি

আজ তো আমরা জোম্যাটো, সুইগি ইত্যাদি কত কত নাম শুনছি। কিন্তু একি খুব নতুন? মোটেই না। এই সব কাজ আগে ভূতে সারত। হাতে তালি দিয়ে, "আয় রে আয় হাঁড়ি হাঁড়ি মণ্ডামিঠাই কাঁড়ি কাঁড়ি", এসব সুর করে গাইলেই হত। অ্যাপ্সের কথা ভাবছেন? মানে সে সব ছিল কিনা? মোটেই না। খালি গান গেয়ে, সে সুরে হোক চাই বেসুরে হোক, ভূতের রাজাকে খুশি করলেই হত। আপনাকে তখন আর পায় কে?

ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহার

দীর্ঘদিন অনলাইন ক্লাস নিচ্ছি, কয়েকটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য খেয়াল করছি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। তাদের ব্যবহারগুলো অনেক ক্ষেত্রে ভীষণ অসামাজিক শুধু না, ভীষণ অভদ্রোচিত। এটা কি করে হচ্ছে জানি না, নাকি আমি মফঃস্বলে থাকি বলেই এটা ফেস করছি জানি না। কয়েকটা উদাহরণ দিই--

Subscribe to হাল হকিকৎ