Skip to main content

হরিহর

সব ক’টা উনুনের তাপ শীতল

দোকানের বাইরে এসে দাঁড়ালো হরিহর

মাথার উপরে গনগনে চাঁদ

চাঁদের নীচে কৃষ্ণচূড়া
...

না

রাস্তা পেরিয়ে ওই যে দূরে যে বটতলাটা, ওই যে দূরে কাশের ঝালর, বহুকাল আমি ওই দিকেতে চাই না। আমার শিউলি গাছে বাজ পড়ল যেদিন, সেদিন থেকেই যাই না। নতুন জামা, নতুন গোছানো ঘর, নতুন কত কিছুই, তাকাই না। আকাশে শরৎ, ফুলেতে শরৎ, রাস্তাঘাটে শারদোৎসব, সাড়া আজ আর দিই না। আলো, আওয়াজ ঠেকিয়ে রাখি বার দুয়ারে। আমার ঘরের কোণে সাদ

মেঘলা চিরকুট

এই মেঘলা আকাশেই সে যাবে
যে শাড়িটা গেলবার পূজোয় কেনা, ভাঙা হয়নি
সেই শাড়িটাই পরে যাবে

লগ্নভ্রষ্টা?

মেয়েটাকে আমি আজও চিনি। সাদা লালপেড়ে শাড়ি জড়িয়ে হেঁটে যাচ্ছে এ পাড়া ও পাড়া। মেয়েটার কপালে বড় লালটিপ। সিঁদুর না, সিঁদুরের মত তবু। সিঁথিতে সিঁদুর নেই। এককালে যে ছিল

নিরাবরণ

এ এক পৌরাণিক বসন্তের কথা। বিকাল থেকেই আজ বসন্তের দখিনা বাতাস বিভিন্ন ফুলের সৌরভ মদিরাপানে উন্মত্ত। প্রেমিক প্রেমিকার শরীর মনকে মদনাহত করে কামাগ্নিকে 'হু হু' করে জ্বালিয়ে পাগল করে তুলেছে। এতৎসত্ত্বেও ঋষিপুত্রের মন আজ ভীষণ অস্থির। আজও অপ্সরা আসবে। আজ তাদের মিলন শূণ্যমার্গে, ওই নীলাকাশের আঙিনায়। তবু সুদর্শন তরুণের মন কি এক চিন্তায় চঞ্চল।

মিলনাপেক্ষা

অনেকটা রাস্তা সমতলে হাঁটার পর পাহাড় এলো। পথকে বললাম, এবার?
পথ বলল, ওই তো। সে পাহাড়ের দিকে ইশারা করল।
বললাম, পথ কোথায়? এ যে চড়াই শুধু। ঘন জঙ্গল।
খানিক এগোলাম। পথ হারালো জঙ্গলে। ঢুকলাম জঙ্গলে। মানুষ সব হারিয়েও নিজেকে আর হারাতে পারে না, সেই ভয়, সেই ভরসা।
ঘন জঙ্গলের মধ্যখানে দাঁড়িয়ে বললাম, কোনদিকে যাব কেউ জানো?
আমার কণ্ঠস্বর আমারই কাছে এলো ফিরে - প্রতিধ্বনি হয়ে।

ব্যানার্জী বাড়ির বড়বউ


মেয়েটা ভরা সংসারে এসে পড়ল
না চাইল নিজেকে, না চাইল সংসারকে
তবু অনেক চাওয়ার ভাঁড়ার ঘরের দ্বারী সে
ব্যানার্জী বাড়ির বড়বউ।

দিন যত গেল, পা তত দাবল
অভ্যাস যত পোক্ত হতে লাগল
মন হল তার চেয়ে দ্বিগুণ অবাধ্য
সে বুঝল - সে বাধ্য হলেও, পোষ্য নয়
তবু সে ব্যানার্জী বাড়ির বউ।

কাসন্দী


-শুধু ঠকলাম
-কে ঠকালো
-তার চাইতে জানতে চাও কে ঠকালো না
-বেশ। তাতে কি হয়েছে? খুব ক্ষতি হয়ে গেছে কি?
-তা হয় নি! আমি কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না এখন
-কি মনে হয়?
-মনে হয় মুখোশ সব
-ছিঁড়ে ফেললেই হয়!
-একটা আলপটকা কথা বললেই হয়! কে ছিঁড়বে? আর কত ছিঁড়বে?
-তা হলে উপায়?

আজি কোন সুরে বাঁধিব

বাড়িটাতে অনেকগুলো পাত পড়ত
গমগম করত দেওয়াল ছাদ উঠোন।
বাচ্চাদের চীৎকার, মেয়ে বউদের হাসির কলতান, ছেলেদের তর্ক, উনি সব দেখতেন
একটা আরাম কেদারায় বসে, সকৌতুকে
গভীর তৃপ্তিতে।
...

মৈত্রী এক্সপ্রেস

হরিদাসীর সকাল থেকেই মন খারাপ।
রাণাঘাটের কিছু দুরে তার বাড়ি,
ছোট্ট একটা গ্রামে
রেল লাইনের কিছুটা দূরে,
বাড়ি থেকেই ট্রেন আসার শব্দ যায় কানে।
...
Subscribe to কাব্যকাহিনী