Skip to main content
bhalluk

তো হল কি, দুই বন্ধু জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ কি চলে এলো? ভাল্লুক চলে এলো। অমনি একজন বন্ধু হুড়মুড় করে গাছে উঠে পড়ল। আরেকজন কি করবে, সে মড়ার মত পড়ে থাকল। সে তো জানে একটু পর ভাল্লুকটা এসে তাকে শুঁকে চলে যাবে। তারপর গাছ থেকে বন্ধুটা নেমে জিজ্ঞাসা করবে, ভাল্লুকটা তোর কানে কানে কি বলছিল রে? সে তখন বন্ধুর সেন্টিমেন্টে টুক্ করে একটু ঘা দিয়ে বলবে, যে বন্ধু বিপদে রেখে পালায়, তার সঙ্গে বন্ধুত্বই রাখতে নেই। সে সত্যিকারের বন্ধুই নয়। ঢিঞ্চ্যানা!!!! (এটা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক)

    কিন্তু স্ক্রিপ্ট গেল বদলে। ভাল্লুক এলো। তার ঘেঁটিটা ধরল, বলল, ক্যালানের মত পড়ে না থেকে গাছে ওঠাটা শেখোনি কেন বাপু? বন্ধুকে সেণ্টিমেন্টের খোঁচা মেরে, তার ভরসায় আর কদ্দিন জঙ্গলে আসবে বাপ আমার! 

    সে আমতা আমতা করে বলল, ইয়ে মানে এরকম তো লেখা ছিল না, মানে থুড়ি, আমাকে শেখানো হয়নি, আমায় যে বলা হয়েছিল তাই তো করছি, আপনিই বা আমায় আউট অব সিলেবাস ঘেঁটি ধরে টানছেন কেন?

    ভাল্লুক বলল, ওরে আপদ, সেবারে আমার করোনা ছিল, কিচ্ছু গন্ধটন্ধ পাইনি বলে ছেড়ে দিয়েছিলাম। তা সব বারেই কি করোনা হবে রে আলসে ঢেঁকি! দেখ তোকে জঙ্গলের ভিতর নিয়ে গিয়ে কেমন টুকটুক করে খাই। আর তোর বন্ধু একটু পর বাড়ি ফিরে সব্বাইকে তোর ভবলীলা সাঙ্গ হওয়ার খবরটা জানাক। ভাই নিজেকে সাহায্য না করলে কেউ তোমার নয় বাবা। এই আমাকেই দেখো না, কে আর আমায় এটাসেটা রেঁধে, কি শিকার করে মুখের সামনে এনে ধরছে বলো? এই তোদের মত কয়েকটা উজবুকের জন্যেই খেয়ে পরে বেঁচে আছি। গায়ে-গতরে খেটেই বেঁচে আছি।

    সে তখন কাকুতি মিনতি করে বলল, এইবারটা ছেড়ে দিন স্যার। আশ্চেবার গাছে চড়া শিখেই জঙ্গলে আসব। মাইরি বলছি!

    ভাল্লুক বলল, কি কথার ছিরি দেখো। ওরে উজবুক, তার মানে তো আমি না খেয়ে মরব। আর শোন, যাদের একবার অন্যের দোষ ধরা আর অন্যের উপর নির্ভর করা অভ্যাস হয়ে যায় বাপ তারা কোনোদিন শোধরায় না। তুইও শুধরাবি না। অন্যের কর্তব্যের সুক্ষ্ম বিচার করবি, কিন্তু নিজের কাজটি করবি না। বরং আয় বাপ, কথা না বাড়িয়ে টুক্ করে তোকে খেয়ে ফেলি। 

    গাছে উঠে থাকা বন্ধু দূর থেকে বন্ধুর শেষ আর্তনাদ শুনল। মোবাইল অন করে ফেসবুকে আর ইনস্টাগ্রামে রিলটা ছেড়ে দিল। বন্ধুকে ভাল্লুকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে। চার মিনিটে পঁচিশ হাজার লাইক। একুশ হাজার কমেন্টস - RIP.... Happy Friendship Day...