October 2020

   ধর্মানুগামী, ধর্মদ্বেষী, ধর্মনিরপেক্ষ এবং ধর্মোন্মাদ।

   ধর্মানুগামী – সাধারণত শান্তিপ্রিয়। খুব ঝুটঝামেলায় যাওয়া পছন্দ করেন না, অন্যের বিশ্বাসের সাথে সহমত না হলেও তীব্র বিদ্বেষ ইত্যাদি পোষণ করেন না। নিজের ও নিজের প্রিয়জনের সুখ-শান্তি-নির্বিঘ্ন জীবনের বাইরে বেশি কিছু চাওয়ার নেই।
...

   আসলে কেউ বোকা না। কেউ কেউ বোকা সেজে থাকে।

   মাথার উপর ফ্যানটা ধীরে ধীরে ঘুরছে। লোকটার বেডের নাম্বার ৩৬। কতদিন হল ভর্তি মনে নেই। ডাক্তার, নার্স কারোর মনে নেই। খাতাটা ইঁদুরে কেটেছে। সেই খাতায় ভর্তির তারিখ, রোগের নাম, জ্বর আসার সময়, রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট – সব লেখা ছিল।
...

একটিই প্রার্থনা,

একটিই শুভেচ্ছা

  মনে বারবার আসে
...

Ajke free achis না রে.. 😓😓

Accha.. janis kal rate hebbi mja holo..😎

কোথায় গিয়েছিলি?

paromitader bari.. u know... touched first time... guess.. 😎
...

জেঠু মারা গেলেন অল্প বয়সে। হঠাৎ করে, সেরিব্রাল অ্যাটাক। বাংলার বাইরে। ঠাকুমা বললেন, আর ঈশ্বরের মুখ দেখবেন না। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী থাকবেন উপোষী। সোমবার শিব থাকবেন অস্নাত, অর্মাজিত। তাই হল।

   দুর্গাপুজো এলো। ঠাকুমা মণ্ডপে গেলেন না।
...

সকাল থেকে নাওয়া খাওয়া নেই থরহরিবাবুর। কলের লাইনের উপর নারকেল গাছ পড়ে লাইন ফেটে গেছে। পুজো চলছে, সকাল থেকে সাত-আটজন কলের মিস্ত্রীকে ফোন করা হয়ে গেছে। কেউ আসবে না। এমনকি ডাবল টাকা দিলেও না।
...

আরেকবার যদি ঘুরে দাঁড়াই

আরেকবার যদি বলি,

  আবার প্রথম থেকে শুরু করি

আরেকবার যদি মাটি ছুঁয়ে
...

কোনো এক গ্রামে এক বালক থাকত। তার নাম রাতুল। উদাসীন, আত্মভোলা ছেলেটা সারাদিন মাঠেঘাটে ঘুরে বেড়াত। গান গাইত। গরু চরাত। খেলাধুলাতে মন ছিল না তেমন। মাটি ভিজিয়ে নরম করে শিব গড়ত। সাদা কাগজের উপর দুর্গা, কালী ছবি আঁকত। কৃষ্ণের অষ্টোত্তর শতনাম মুখস্থ গাইতে পারত। শিবের স্তব গাইত। শ্যামাসঙ্গীত যে কত তার কন্ঠস্থ ছিল সে নিজেও জানত না।
...

লোকটা মিছিমিছি ভীষণ ভয় পেয়ে গেল। এতটাই ভয় পেয়ে গেল যে তাকে ঘিনঘিনে হিংসা রোগে ধরে গেল।
এতটাই হিংসা রোগে ধরতে শুরু করল যে যখন তখন রেগে থাকতে শুরু করল।
এতটাই রাগ করতে শুরু করল যে ভালোমন্দ জ্ঞানগম্যি গুলিয়ে গেল।
এমনই গুলিয়ে গেল যে নিজের হাত-পা-চোখ-নাক-কান-বুদ্ধি সব নিজেই কচকচ করে চিবিয়ে খেতে শুরু করল।
...

মানুষ নৌকায় চড়ে, পারে হবে বলে, এ বিশ্বাস। সে জানে যে পারে নাও পৌঁছানো হতে পারে, মাঝনদীতে কত নৌকা ডুবে গেল, সেকি জানে না? জানে তো, সে বাস্তব। তবু সে নৌকায় ওঠে।


অতুলপ্রসাদ সেন লিখছেন,

কী আর চাহিব বলো, হে মোর প্রিয়,

তুমি যে শিব তাহা বুঝিতে দিয়ো।
...

আবদার করলাম না

জোর করলাম না

খিল আটকে বলতে পারলাম না,

   "যেতে দেব না"
...

কিছু কিছু ইচ্ছা

ভাষার কাছে ঋণী হতে চায় না


লুকোচুরি খেলতে খেলতে

  হঠাৎ যদি ধরা পড়ে যায়

   বিব্রত হয়ে বলে
...

- কলমের ডগায় কি থাকে?

- গান

- আরেকটা চপ দেব?

- থাক, উঠি। পেটের ভিতরটা গড়বড়।

- আজ রাতে কোথায় থাকবা?
...

ভালোবাসা আর ভার ব্যস্তানুপাতিক। শিশির আর সূর্যের মত। একজন বাড়লে আরেকজন কমেই যায়।

   ভালোবাসা আমার ইচ্ছানুগামী নয়। ভারও নয়। ভালোবাসা মরণশীল। ভার বড় জেদি। ভালোবাসার আধিক্যে ভার শূন্যমাত্র বোধ হবে তোমার, ভালোবাসা যত কমে ততই ভারের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।
...

মানুষ আসলে চূড়ান্ত কতটা নৃশংস হতে পারে

আমি এখনও জানি না।


যেমন মানুষ বাস্তবে চূড়ান্ত কতটা নিঃস্বার্থ হতে পারে

সেও আমি এখনও জানি না।
...

মানুষ যখন বাইরের জগতের চোখে নিজেকে দেখতে চেষ্টা করে, তখন সে খালি তুলনা করে, নিজেকে বারবার এর-তার নিলামের মঞ্চে চড়ায়। মানস চক্ষে নিজের মূল্য আঁকে, মোছে, আবার আঁকে। কিছুতেই কোনো সংখ্যায় স্থির হতে পারে না। সামনে যেন আরো কত কত পথ বাকি। তার চাইতে কত বেশি বেশি গুরুত্ব-খ্যাতি-সম্মান নিয়ে চলেছে কত কেউ। মানুষ ঈর্ষায় পোড়ে, ডোবে।
...

পুরীর সমুদ্রতট। গ্রীষ্মকাল। সার দিয়ে লাল, নীল চেয়ার পাতা। পিছনে চায়ের দোকান। চা খেলে যতক্ষণ ইচ্ছা বসে গল্প করতে পারবেন।

বারো-চোদ্দো বঙ্গবাসী, মধ্যবয়সী, নারী-পুরুষ নির্বিশেষ গল্প করছেন। আমি চরিত্রদের পরিচয় আর দিলাম না। আমাদের চেনা সবাই।
...

জন ড্রাইডেন আর রবীন্দ্রনাথ। কত বছরের পার্থক্য? জন ড্রাইডেনের জন্ম ১৯শে অগস্ট ১৬৩১ সাল। রবীন্দ্রনাথ, ১৮৬১। মোটামুটি দুশো বছরের বেশি।

জন ড্রাইডেনের সম্বন্ধে আর নতুন করে কি বলা। কেউ কেউ বলেন শেক্ষকবির পরে নাকি উনিই যে উচ্চমানের নাটক লিখেছিলেন।
...

লোভ বিকল্প বোঝে না

  তার ভীষণ জেদ


প্রয়োজন বিকল্প খুঁজেই নেয়
...

আমাদের আসলে কিচ্ছু হয়নি

একটা খাঁটি আঁচড়ও লাগেনি গায়ে

ওসব কিছু খড়ির দাগ!

মুখ ফুটে বলেছ সে কথা?

বলেছ যে তোমার ভাতের সাথে
...

আজকাল কেউ ফুল নিয়ে আসে না<br>

ফুলেরা কর্পোরেট বাজারে<br>

ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ, অন্যের খাদে পড়ার তামাশা<br>

ইত্যাদিতে যদি মজা না পাও<br>

তবে মজা কোথায়?<br>

...

যদি তোমার বাড়ির


কোন এক ঘরে আগুন লাগে

তুমি কি পাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকতে পারো?

যদি তোমার বাড়ির

এক ঘরে পচছে লাশের স্তুপ
...

শব্দরা ধূসর হয় কখন বলো তো?

মাথা না তুলে হেঁটে চলে যায় শব্দের মিছিল -

    কখন?
...

অ্যাদ্দিন বাঙালিদের নামে অনেক নিন্দামন্দ শুনেছি। ট্রেণ্ডে গা ভাসিয়ে আমিও কিছু লিখেছি, বলেছি। কিন্তু আজ এমন একটা উপলব্ধি হচ্ছে যে না উল্লেখ করে পারছি না। বাঙালি আবেগপ্রবণ জাত, হুজুগে জাত - এ সব আসলে মিথ্যা, ডাহা মিথ্যে কথা। আসলে বাঙালিকে বুঝতে গেলে আপনার গভীর আত্মবোধ থাকা দরকার। একটু বুঝিয়ে বলি। ধৈর্য থাকলে পড়বেন
...

রাস্তাটা যেন শেষ হবে না

ভীষণ কুয়াশা, ভিজে স্যাঁতসেঁতে চারদিক

মোড়ের পর মোড় পেরিয়ে যাচ্ছি

প্রতিটা মোড়েই আমি আমি
...

সুখ কাকে বলে? দার্শনিক মত নানান হতে পারে, আমি একদম এলেবেলে মত নিয়ে বলি।

   ধরুন আমার দাঁতে ব্যথা হয়েছে। ডাক্তার বলেছে, নিচের পাটির প্রিমোলারে ভাঙ্গন ধরেছে, জানান দিচ্ছে। দাঁতের ভাষায় দাঁত জানান দেবে -- কনকন, টনটন, ঝনঝন, মাথার মধ্যে চড়াং ইত্যাদি ইত্যাদি নানা প্রকারের। ধরুন তখন আমি
...

ইনভার্টারের আলোয় গীতা পড়তে পড়তে মনে পড়ল

   ইনভার্টারে জল দেওয়ার ছেলেটাকে ডাকা হয়নি


ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন

   স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য
...

তোমার নাম

তোমার কলার টিউন

তোমার পারফিউম


একবচন হোক

   কিছু বহুবচন বিভ্রান্তিকর
...

সবাইকে জিজ্ঞাসা করি

    কথাচ্ছলে, অপ্রাসঙ্গিকভাবে

   তোমায় চেনে কিনা

কিম্বা আলগোছেও শুনেছে নাকি তোমার নাম

    অথবা তোমার পাড়ার কথা
...

একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, উচ্চপদস্থ কর্মচারী মন্দিরে গেলেন। রাতে সবার সাথে খেতে বসলেন। খাওয়ার পর নিত্য অভ্যাস অনুযায়ী ধ্যানে বসলেন। বেশ কিছুক্ষণ পর তাকে পাওয়া গেল নিজের শোয়ার ঘরে, ঝুলন্ত অবস্থায়। লিখে গেলেন, আমার জীবন পূর্ণ হয়েছে, আমি এখন অন্য জীবনে চললাম।
...

বিছানা গুছিয়ে রেখে ছাদে চলে গেল। ছাদের কার্নিশ ঘেঁষে দাঁড়ালো। মুঠোর মধ্যে ধরা চারটে ভিজানো ছোলা-বাদাম। মুখের মধ্যে পুরে দিতেই স্বাদ – বাইরের জগতের স্বাদ। এই ছোলা-বাদাম তার নিজের না। বাইরের। তার নিজের মুখের মধ্যে শুধু লালা। অপেক্ষা করেছিল খাদ্যের। দাঁত অপেক্ষা করেছিল। চূর্ণবিচূর্ণ করতে করতে নিজের ধর্ম পালন করছে।
...

My soul is imbued
With the colour of your lips
As the dusk intoxicates the river
...

মীমাংসা চাও

   না সুরাহা?


রাহা মানে রাস্তা।

   জানো তো?
...

জিম করবেট কোনো অব্যবস্থা বা অরাজকতা বোঝাতে যদি কেউ 'জঙ্গলরাজ" শব্দটা উপমা হিসাবে ব্যবহার করত, তবে উনি বিরক্ত হতেন। ওনার আজীবন জঙ্গলে ঘুরে মনে হয়েছে জঙ্গলের আইন মানুষের আইন থেকে অনেক বেশি সহনশীল, বোধগম্য। মানুষের সভ্যতা তা নয়। বড় বেশি নিষ্ঠুর আমাদের সভ্যতা।
...

 

আগে বাড়িটা কেমন বলি, তারপর গল্পটা বলব। মাটির একটা ঘর। মাথায় টালি। সামনে অল্প একটু বাগান। বাড়ির উঠানে দাঁড়ালেই গঙ্গা দেখা যায়। বাড়ির ছাদের উপর কলাগাছের পাতার ছাওনি, তার উপরে আকাশ। আকাশে রাতে তারা। মাঝে মাঝে শাদা মেঘ। মাঝে মাঝে কালো মেঘ। আর বাকি সময় নীল আকাশ।
...

প্রথমত, কাগজপত্রে স্বীকার করতে চাইছেন না, এটা ধর্ষণ।

   দ্বিতীয়ত, বলছেন ওরকমভাবে অন্ধকারে না পুড়িয়ে দিলে বাড়ির লোক নাকি খেতে পারত না ওই দৃশ্য দেখলে। মানে পোস্টমর্টেমের পর যা নাকি হয়েছিল। যাতে প্রমাণ লোপাট করলেন।

   তৃতীয়ত, বাড়ির লোকের উপর কার্ফু চালালেন দু-তিন দিন ধরে, এই মানসিক অবস্থাতেও।
...

স্বামীজির যে কয়েকটা লেখা আমাকে ভীষণ আলোড়িত করেছিল, আজও করে, তার মধ্যে একটা লেখা আলাসিঙ্গা পেরুমলকে লেখা একটা চিঠি, ২০ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৩ সালে লেখা। চিঠিটা দিচ্ছি, তবে আর দুটো কথা বলে নিই।
...

ইচ্ছা করলেই ধর্ষণ করতে পারো

ইচ্ছা করলেই মেরুদণ্ড গুঁড়িয়ে দিতে পারো

ইচ্ছা করলেই জিভ টেনে ছিঁড়ে উপড়ে দিতে পারো

ইচ্ছা করলেই আড়ালে প্রকাশ্যে জ্বালিয়ে দিতে পারো
...

কি দল তোমার

   জানতে চাই না


কি ধর্ম তোমার

   জানতে চাই না
...

সামনে উৎসব। কিন্তু 'না' বলা যাবে না। বলা যাবে না যে পুজোটা ভারচুয়াল হোক। কিন্তু স্কুল, কলেজ, আদালত, ট্রেন ইত্যাদি সব বন্ধ করে রাখা যাবে। কেন বলুন তো? কারণ পরেরগুলো মানুষের বুদ্ধির সাথে মিশ খায়। উৎসব আর ধর্ম বুদ্ধির সাথে মিশ খায় না, আবেগের সাথে মিশ খায়। যা-ই আবেগের সাথে মিশ খায় তা নিয়েই আমাদের বিপদ।
...

মন্দির প্রতিষ্ঠা হল

   ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হল না



হাথরাসকে বিচ্ছিন্ন করা হল

   সারা বিশ্বের ধিক্কার আটকানো গেল না
...

শুনেছি ব্রাহ্মণ হয় দ্বিজ

দুইবার জন্ম নাকি তার


দুইবার ধর্ষিতা হলে?

কি পরিচয় হয়
...

- গৃহ ভাঙে কি করিয়া?

- আজ্ঞে ভুল নক্সা অনুযায়ী গৃহ নির্মিত হইলে।

- উহা যে ভুল, জানিলে কি করিয়া।

- আজ্ঞে বিজ্ঞান তাহাই বলে।

- ভুল, বিজ্ঞান বলে না, বিজ্ঞান কিছুই বলে না, বলে বিজ্ঞানী।
...

দলিত সাহিত্য নিয়ে যখন বেজায় রঙ্গতামাশা হচ্ছিল, আমি চুপ করেছিলাম। কারণ কয়েকটা নাম আর তাদের লেখা - জ্যোতিরাও ফুলে, সাবিত্রীবাই ফুলে। আরো নিবিড়ভাবে পরিচয় করালো একটা বই - দলিত। প্রকাশিত হয়েছিল সাহিত্য অকাদেমী থেকে। সেখানে দুটো পটভূমি আছে
...