প্রথমত, কাগজপত্রে স্বীকার করতে চাইছেন না, এটা ধর্ষণ।
দ্বিতীয়ত, বলছেন ওরকমভাবে অন্ধকারে না পুড়িয়ে দিলে বাড়ির লোক নাকি খেতে পারত না ওই দৃশ্য দেখলে। মানে পোস্টমর্টেমের পর যা নাকি হয়েছিল। যাতে প্রমাণ লোপাট করলেন।
তৃতীয়ত, বাড়ির লোকের উপর কার্ফু চালালেন দু-তিন দিন ধরে, এই মানসিক অবস্থাতেও।
চতুর্থত, বাড়ির লোককে বললেন, করোনায় মারা গেলে টাকা পেতেন? অর্থাৎ, এমন অর্থকরী পরিনাম মেনে নিয়ে বক্তব্য বদলাতে।
পঞ্চমত, মিডিয়াকে ঢুকতে না দিয়ে হুলুস্থুল বাধালেন, সারা দেশের সাথে স্নায়ুযুদ্ধে নামলেন, এখনও চলছে।
ষষ্ঠত, এখন বিরোধী দল দেখা করতে চাইলে বলছেন তারা নাকি রাজনীতি করছে।
এই শেষ পয়েন্টটা উদ্ধৃত করেই বলছি, তারা না হয় রাজনীতি করছে, আপনারা? আপনারা তো তালিবানি শাসন চালাচ্ছেন! এ গল্প তো আফগানিস্তানের ভিডিওগুলোতে দেখা যায়। সে পোশাক, সে আস্ফালন দেখলে সেখানকার মেয়েরা সিঁটিয়ে থাকে ভয়ে। একটা কথা ভুলে যাচ্ছেন কেন সারা ভারতের নাবালিকারাও আপনাদের এই কর্মকাণ্ড দেখছে। এটা ভাবছেন না কেন এরপর তো ওদের গেরুয়া রঙ দেখলে আতঙ্ক হবে! বিভীষিকা লাগবে! অবচেতন মনের মধ্যে একি ভয়ংকর শৈশব, কৈশোর উপহার দিচ্ছেন সারা ভারতের বাচ্চা বাচ্চা মেয়েগুলোকে, যারা ভবিষ্যতের ভারত তৈরি করবে? সেখানে আপনাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে বলে মনে করছেন তো? ভাবুন, ভাবুন।