Skip to main content

পরকীয়া ঘোল


ওরে কে যেন হইল ভ্রষ্ট?
চারদিকে উঠিল শোরগোল

দিকে দিকে ফিরিল নীতিবাগীশ
মুখেতে শাস্ত্রের বুলি, হট্টগোল

শ্লেষ, তির্যক দিঠি, ক্লেদের বন্যা
মাখো মাখো সবে, 
      আজিকে পাঁকের দোল

আমি তো...

আমি ঘুমন্ত অবস্থায় চলতে পারি না
আমি ঘুমন্ত অবস্থায় কথা বলতে পারি না
আমি ঘুমন্ত অবস্থায় সিদ্ধান্ত নিতে পারি না

অবাক হয়ে দেখছি তোমরা কি অনায়াসে পারো

গালিবও সাক্ষী

যুদ্ধ আর প্রেম
       আমন্ত্রণের সৌজন্যের অপেক্ষা রাখে না

    শতাব্দী সাক্ষী

পার্থক্য শুধু - 
ধ্বংস করার 
      আর ধ্বংস হওয়ার সুখে

অন্যরকম

অন্য কোনো একটা হাওয়া এসেছিল
অন্য কোনো দিক থেকেই এসেছিল

কিছু একটা বলতে চেয়ে
সব কিছুকে অন্যরকম করে 
       ভ্রুকুটিতে বড় নিষ্ঠুর হেসেছিল

তোমারও

তোমার পায়ের তলায় ধুলো ছিল
আমারও পায়ের নীচে ধুলো

তোমার মাথার উপর আকাশ ছিল
আমারও মাথার উপর আকাশ

তোমার আশেপাশে ছিল মানুষজন
আমারও চারপাশে আছে

শুধু তোমার একদিনে ছিল 
        অনেকগুলো দিন
আমার একদিনও যেন অর্ধেক

ওরা তিনজন


গন্তব্য নেই আর গন্তব্য হারিয়েছে - এমন দুজন রেল স্টেশানে দাঁড়িয়েছিল

যার গন্তব্য আছে, তার ব্যস্ততা দেখে
  যার গন্তব্য নেই মৃদু হেসেছিল 
    যার গন্তব্য হারিয়েছে লজ্জা পেয়েছিল

সিগন্যাল হল
লাইন জোড়া হল
ইঞ্জিনের ধোঁয়া দেখা গেল

ট্রেনটা এলো না

যুক্তি


রক্তকে যুক্তি বানালে
মিথ্যাচারকে যুক্তি বানালে
শোষণ অত্যাচারকে যুক্তি বানালে

কিছু না

হঠাৎ করেই হারিয়ে গেল

সন্ধ্যের আকাশের সামনে দাঁড়িয়ে বললাম
    হারিয়ে গেল

সন্ধ্যের আকাশ বলল, একটু দাঁড়াও

সারারাত দাঁড়িয়ে রইলাম

শেষ রাতে হলাম অধৈর্য, বললাম
    কিছু বললে না যে

এমন দৃষ্টি

কুকুরটা একটা একটা করে সাতটা বাচ্চা জন্ম দিল
    তার গোঙানি, তার অসহায় অসহ্য চীৎকারের সাক্ষী থাকল 
        কার্তিক মাসের তারা ভরা নির্মল আকাশ 
        বাগানের কয়েকটা আধফোটা জবা, আর কয়েকটা ঘাসফুল

আকাশ তো আছে একটাই


রাস্তার পাশে দোকান ছিল
   দোকান আছে

তার পাশে একটা পুকুর ছিল
   পুকুর আছে

সেই পুকুরের পাশে ওদের বাড়ি ছিল
   বাড়িটা আছে

Subscribe to কবিতা