Skip to main content

বাদামগুলোর মত


মন্দিরের গায়ে গায়ে অনেক গর্ত
পায়রা, মাকড়সা, পিঁপড়ের জমায়েত
মানত করা লাল কাপড়, সিঁদুরের খালি ডিব্বা, ভাঙা চিরুনি 
এরকম অনেক কিছু থেকে যায়
ভাঙা, ফেলে দেওয়া, অবহেলার সংসার গড়ে ওঠে অলক্ষ্যে
একদিন কারোর শুচিবায়ু চোখে পড়ে 
অবহেলার সংসার আবর্জনা হয়ে যায় নিমেষেই

আমি যেখানে


আমি যেখানে নির্ভাষ 
আমি যেখানে অন্তরিন নগ্ন
আমি যেখানে মহাকাশের কালহীন আবর্ত
আমি যেখানে গভীর জঙ্গলে ফোটা কোনো অখ্যাত ফুলের সহচর 
আমি যেখানে বিস্তীর্ণ মরুভূমির একটি নির্বিশেষ বালুকণা

অকারণ


আজ পূর্ণিমা না
তবু আধফালি চাঁদই যেন সারা আকাশ জুড়ে

ঢেউয়ের পাড় ভাঙার শব্দ শুনেছি
     গভীর রাতে পুরীর বিচে বসে

আজ অন্তত

তোমার ঝুড়িতে সাজানো
শেষ গোলাপি কুঁড়িটা আমায় দিয়ো
ওরা শিশিরে ভেজা নয়, জানি
 চাঁপাকলের জলে ভেজানো।
ভূগর্ভস্থ জলে সিক্ত
   ওদের কোমল শেষ শরীরটা বেচো না,
          আমায় দিয়ো
আমি ফুল ফুটিয়ে তোমার হাতে দেব।

স্বপ্নরা বড় হিসেবি আজকাল


প্রচণ্ড রেগে থাকা এক ঝাঁক পাখি 
   ভোরের আলোকে ক্ষত-বিক্ষত করছে খাঁচার ভিতর থেকে

ঘুম ভাঙল সেই চীৎকারে
মনে হল এরকম চীৎকার শুনিনি তো বহুদিন
    এত প্রতিবাদ!

নির্বাসিত


মস্তিষ্ক থেকে দূরে থাকতে চাইছি খানিকক্ষণ
বুকের পাঁজরের উপর 
    শামুকের মত গুটিয়ে শুয়ে থাকতে চাইছি 

ওরা কারা?


তুমি নিশ্চুপ

আমিও

ওরা কারা,
যাদের কণ্ঠস্বরে অবয়বহীন অনৈতিহাসিক সত্য?

তুমি বিভ্রান্ত

আমিও

ওরা কারা,
যাদের সবকটা পথে সুনির্দিষ্ট অশ্বমেধের অশ্ব?

তুমি বালিঘড়ি, উপরপক্ষ
আমি তো বালি শূন্য

ওরা কারা,
যাদের ঘড়ি সময়ের না, রাজ অঙ্গুলি ভক্ত?

পরিসর


পরিসর মানে এক চিলতে রোদ্দুর
পরিসর মানে এক খণ্ড আকাশ 
পরিসর মানে দ্বিমতের বাস শতমত নিয়ে
     তবু হাত পা ছড়িয়ে বসা 
পরিসর মানে অভিমানে ভাঁটা
পরিসর মানে ডুবজলে নেমে মৃত্যুর সাথে
     জীবন ফুরোতে না দেওয়া

এখনই


এখনই না
এখনও অনেকে বসে আছে
অনেকে দাঁত দিয়ে নখ কাটতে কাটতে ভাবছে এখনও
এখনও অনেকে বাথরুমের আলো নিভিয়ে
   বাথরুমকে অস্তিত্বহীন করে
      শোয়ার ঘরে শুয়ে টিভিতে রান্না শিখছে
এখনও অনেকের চোখে-মুখে জরায়ুস্থ শিশুর সরলতার ভান

Subscribe to কবিতা