Skip to main content

স্থবিরত্ব


ক্রমশ তুমি প্রস্তরীভূত হচ্ছ
তোমার নাক, চোখ, কান, হৃদয়, মস্তিষ্ক
      ক্রমশ পাথর হয়ে উঠছে

তুমি হাওয়ায় নড়ো না
আগুনে পোড়ো না
জলে ভেজো না অন্তঃস্থল অবধি

তুমি অনড়
তুমি অচল
বোধি পাওনি, 
    পেয়েছ স্থবিরত্ব

হাঁটছি

দুঃখ আমার সমবয়েসি নয়
আনন্দ আমার সমবয়েসি নয়
ভালোবাসা আমার সমবয়েসি নয়
ঘৃণা আমার সমবয়েসি নয়

এ আকাশ, মাটি, জল, বাতাস, আলো
  এরা কেউই আমার সমবয়েসি নয়

এ গ্রহ, তারা, নক্ষত্র, ধূমকেতু 
   এরাও নয় আমার সমবয়েসি

ইচ্ছা মানে শর্ত নয়


পাশাপাশি দুজন মানুষ হেঁটে গেলে ভাবতাম
                    বন্ধু, কিম্বা দম্পতি, কিম্বা..

এখন জানি
     একে অন্যের শর্তও হতে পারে

আত্মদীপ


অবশেষে তোমার কান্না তোমাকেই কেঁদে নিতে হবে 
অবশেষে তোমার ধর্ম তোমাকেই খুঁজে নিতে হবে 
অবশেষে তোমার সাথে তোমার ভিতরে
                         তোমাকেই ঘর বাঁধতে হবে

আমার ভীষণ ভয় করল


তুমি পরিষ্কার রাস্তা চেয়েছিলে
ঘাটও চেয়েছিলে শ্যাওলাহীন

খেলার সাথী


ঘরের সব ক'টা দরজা বাজারে, লোকের ভিড়ে না খুলুক
কোনো একটা রাস্তা থাকুক নিরুদ্দেশের বালাই নিয়ে,
অদরকারি, খোলামকুচি, অনাদরের নুড়ি-পাথর 
       সে দরজার বাইরে অপেক্ষা করুক আমার জন্য, 
   ওরা বড় আপনার আমার

এক কোপে নাশে


নিদ্রামগ্ন তীর্থযাত্রীগণ 
নিদ্রাহারা তারকামালা রহিয়াছে চাহি, যেন সশস্ত্র প্রহরী ওরা 
                          বিস্তীর্ণ মরুভূমি মাঝে,

সত্য


যে চলতে চলতে দাঁড়িয়ে পড়ে
দাঁড়িয়ে পড়ে পিছন ঘুরে
    সবার চলা আড়াল করে, 
       বলে ওঠে গম্ভীর স্বরে -
               'ইহাই সত্য'

তাকে আমি এড়িয়ে চলি

কোনো কবিতাই


আসলে তো একটাও কবিতা পুরো লেখা হয়নি আজ অবধি
একটা স্লেট হাতে 
  জঙ্গলে, গাছের ডালে, গুহায় যে মানুষটা নগ্ন হয়ে
          বা কখনও ছাল-বাকলা গায়ে 

Subscribe to কবিতা