Skip to main content


আমার চোখের সামনে থেকে রবীন্দ্রনাথকে সরিয়ে নাও 
আমি একটা ভাঙনের সামনে দাঁড়িয়ে

উপনিষদের পাতা খুললে ঝুরঝুর করে ঝরে যাচ্ছে পোকায় কাটা বিশ্বাস 
শান্তি - আমি উচ্চারণ করতে পারি না
  কিছুটা দূরে ন বছরের চোখ উপড়ানো 
    ভায়েদের লিঙ্গে ধর্ষিতা অ্যাসিডে পোড়া একটা মৃতদেহ 
আমার লাগছে, রবীন্দ্রনাথ, আপনি একটু সরে দাঁড়ান
  আমার লাগছে, আপনার শুদ্ধ-অপাপবিদ্ধ অস্তিত্বে আমি কষ্ট পাচ্ছি
    আমার শ্বাস-প্রশ্বাসে ধর্মের বিষবাষ্প
      আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে
        আপনি দাঁড়াবেন না এখানে

আমি অমৈত্রেয় জাতক অর্থনীতি, রাজনীতির নাগরিক
     আমি বিভেদ বুঝি, হিংসা বুঝি, বিশ্বাসঘাতকতা বুঝি 
আমার আকাশে বাতাসে কোনো দেবতা নয়, 
   পৈশাচিক চরণের যাতায়াত রবীন্দ্রনাথ

আপনার ডুবন্ত সোনার তরীতে যে সভ্যতার সংকট জেগেছিল
  আমি সেই ঢেউয়ের প্রবলতম শিখরের দিকে চলেছি রবীন্দ্রনাথ
   যদি ফিরি কোনোদিন সে ঢেউ অতিক্রম করে
    আসব শান্তিনিকেতনে আমার উজ্জ্বল নির্মাল্য নিয়ে,
     যদি না ফিরি -
     আমার ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ মিশবে অযুত নিযুত লক্ষ মৃতদেহের সাথে
     আপনার দেখা বিশ্বযুদ্ধের থেকেও ভয়ংকর সে মিছিল 
       ঘাসের মত মৃত মানুষের সারি, রবীন্দ্রনাথ

আপনি বিস্মিত হবেন
আকাশ ভরা সূর্য তারার মাঝে প্রাণ পেয়েছিলেন বলে নয়
  মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ
       এ বিশ্বাসের বিস্ময় মানুষ কি অনায়াসে ভুলতে শিখেছে বলে

Category