আমিও আছি
ঝড়
তখন বিস্তীর্ণ মাঠের মধ্যখানে,
যখন ঝড় উঠল
যা কিছু স্পষ্ট
মুহূর্তে হল অস্পষ্ট
ধুলো ধুলোয় ঢাকল
এমন আত্মবিশ্বাসে
যেন ওরই এখন আসার কথা ছিল
আমার এখানে থাকার কথা ছিল কি?
ক্যানভাসের নিস্তব্ধতা
হয় তো নিঃসঙ্গ ছিলে
নিস্তব্ধ ছিলে কি?
যদি থাকতে
জানতে তবে
একটা পাতা ঝরানোর জন্যও
কত আয়োজন লাগে,
একটা সবুজ ঘাসও হলুদ হয়ে যায় না রাতারাতি
আসলে ক্যানভাসের নিস্তব্ধতাকে বুকে জড়িয়ে নাওনি কোনোদিন
কোনো ছবিই সম্পূর্ণ হল না তাই
দে দোল দোল
কে তুমি
সদ্য ফোটা ফুলের উপর
সবুজ পাতার উপর
যখন ভোরের শিশির পড়ল
বিন্দু বিন্দু মুক্তোর মত জ্বলে উঠল
রবিরশ্মির প্রথম কিরণে
মাধুর্য বলল, আহা!
শুকনো পাতার উপর
শুকনো ডালের উপর
ভোরের শিশির পড়ল যখন
বাসনা বলল, এত অকিঞ্চিৎকর তুমি!
শিরিরকণা বলল, কেন?
তুমিও হও তুমি
তুমি কবিতা লিখে পাঠিও
শব্দের নির্বাচন
ঠিক হোক না হোক
তোমার অনুভবটুকু হোক খাঁটি
নিঃশব্দ চোখ
যদি এত গভীরে পুড়িয়ে যেতে পারে
তোমার অসম্পূর্ণ ভাষাতেও
পুড়ে যাব আমি
সব কবিতার লাইন সত্যি হতে নেই
আমি ঘরে ঢুকতেই
ছেলেটার মা আবার ডুকরে কেঁদে উঠলেন।
"বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন, আপনি একটু পাশে বসুন"
কেউ একজন পাশ থেকে বললেন।
"ছেলেটা আমার কোলেই মাথা দিয়ে বলল স্যার, মা আমি বিষ খেয়েছি"...
আমার সকালগুলো
গত রাতের ফুরিয়ে যাওয়া মোমবাতিটা
টেবিলের উপর শ্রীহীন একদলা মোম হয়ে পড়ে
হীনমন্যতায়, লজ্জায়, অসম্মানে
আমি ওভাবে
পড়ে থাকতে চাই না
বরং তুমি ফিরে যাও
আমার সকালগুলোকে
অসম্মানিত কোরো না
আমি-তুমি
তুমি কি শুধুই তুমিই?
তুমি যেন
সময় পেরিয়ে দাঁড়িয়ে
থাকা আমিই
আমি কি শুধুই আমিই?
আমি যেন
ক্ষণকালের অসীম অপেক্ষায়
তুমিই
শান্তিকে পায় না
মাধ্যাকর্ষণ সূত্র আপেক্ষিকবাদের তত্ত্বকে ভয় পায় না।
ডারউইনের তত্ত্ব অনায়াসে সংশ্লেষবাদ কি জিনতত্ত্বকে জায়গা দিয়ে দেয়।
ফ্রয়েডকেও কোথাও কোথাও অস্বীকার করে উত্তরসূরীরা।
কিন্তু কেউ কোথাও মুখ ভার করে বসে থাকে না,
অথবা "দেখে নেব" বলে অস্ত্র শাণায় না।