Skip to main content

ভাগ্যিস

নিস্তারবাবু নাস্তিক মানুষ। কিন্তু মনে প্রাণে বাঙালি। শ্যামাসংগীত শুনলে, কীর্তন শুনলে চোখে জল আসে। মহালয়ায় বীরেন্দ্রবাবুর গলা শুনলে গায়ে কাঁটা দেয়। কিন্তু এদি

চেতনার আমেজ

যা আছে, তা-ই আছে। নতুন যা, সে যে দেখছে তার কাছেই নতুন। যেমন ধরো তুমি চোদ্দোবার পুরী এসেছো। তোমার কাছে এই সমুদ্র পুরোনো। আমেজটা হয় তো প্রতিবার নতুন। কিন্তু দে

আসল তর্পণ

ধ্যানেশ ভটচায্যি মশায় তামার বাটিতে গঙ্গাজল দিয়ে, দু ফোঁটা জিওলিন দ

বোঝেই না কিছু

সে সদ্য স্কুলে যাচ্ছে। তার নাম অজন্তা সরকার। তার বাবার লটারির দোকান। লক্ষ লক্ষ টাকা পাওয়া যেতে পারে টিকিটের নাম্বার মিলে গেলে। তার বাবা ইচ্ছা করে কাটে না। অত

জন্মদিনে

ঘটনাটা বলব ভাবিনি কোনোদিন। কিন্তু বলাটা দরকার। নইলে নিজের কাছে অপরাধী থেকে যেতে হবে। আর বিপুল, মানে আমার ছোটোবেলার বন্ধু, ও নিজে থেকেই বলল, বলে দিতে। কারণ ঘটনাটার সঙ্গে ও নিজেই জড়িয়ে। 

সে আর আরশোলা 

লোকটা যেখানে যেত পকেটে করে আরশোলাটাকে নিয়ে যেত। আরশোলাটার বাঁদিকের দুটো ডানাই ভাঙা। ডান দিকের দুটো পা-ও ছিল না। ফলে না ভালো করে উড়তে পারত, না তো ভালো করে হাঁটতে পারত। সে লোকটার বুক পকেটে, প্যাণ্টের পকেটে করে ঘুরে বেড়াত। লোকটা আরশোলাটার নাম রেখেছিল গুমশুম। 

মহিষাসুর

মন্দিরের ছাদে একটা শালিক বসেছিল। যেই না উড়ে গেল, গণেশ বলল, হুস্! চলে গেল।

অর্ধেক বাঁধা প্যাণ্ডেল

চন্দনার মাথাটা গরম ছিলই। চারটে বাড়ি কাজ। সমস্যা হয় মুখার্জি বাড়ির বৌদিকে নিয়ে। জন্মের শুচিবাই। অতগুলো বিছানার চাদর কেউ একসঙ্গে ভেজায়? জানে না এই এক সপ্তা হল ডেঙ্গু থেকে উঠেছে চন্দনা! লোকের বাড়ি খেটে খায় বলে কি মানুষ না!

Subscribe to অনুগল্প