Skip to main content

ছাতা

ব্যাঙ বলল, এরই মধ্যে যাবি স্কুলে? আরাধ্যা বলল, যাবই তো... আমার যে পরীক্ষা। ব্যাঙ বলল, কি পরীক্ষা ভাই? আমি তো জানতাম এই বৃষ্টিতে আমরাই শুধু বেরোই। তবে তোর ছাতাটা যদি দিতিস।

কলঙ্ক

গোঁসাই বলল, দেখো, যে দীঘিতেই নামো, শরীর ভিজবে। কিন্তু মন ভরবে না। যদি একবার নিজের দীঘির সন্ধান পাও, হারিও না। এ দীঘি, সে দীঘির জলে নেমে শরীর ভিজিয়ে বেড়িও না। মন থেকে যাবে শুষ্ক। রিক্ত। একা।

এলোমেলো কিউব

আসতেই হত। আজ এক বছর কমপ্লিট হল ফ্ল্যাটটায় আসা। ঈশান ঘুমাচ্ছে। কনক এক কাপ কফি নিয়ে বালকনিতে এসে বসল। সকাল ছ'টা। 

     কেউ খারাপ ছিল না। সবাই ভালো। শ্যামনগরের বাড়িতে ঘরের অভাবও ছিল না। তবে বিরাটি কেন? 

প্রতিবিম্ব

আসামীর সাজা ঘোষণা হয়ে গেছে। এদিকে তাও সে কাঠগোড়ায় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে। বিচারক বললেন, তুমি কিছু বলবে?0

     আসামী হাসল। বলল, বলি?

     বিচারক বললেন, কি মুশকিল, বলবে বইকি.. বলো….

অসুর

সমস্যাটা হল অসুরকে নিয়ে। দুর্গোৎসব এখন আন্তর্জাতিক উৎসব। ছেলেখেলা নয়। গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী, লক্ষী, মা দুর্গা --- এঁদের আন্তর্জাতিক করতে বেগ পেতে হবে না। একটা 'গুডউইল' বলে ব্যাপার আছে। কিন্তু অসুর? 

পৃথিবী তোমার ধর্ম কি?

সবাই যে ধর্তব্যের মধ্যে ধরবে তা তো নয়। না তো কি সবাইকে আমিও ধর্তব্যের মধ্যে ধরব।

    কোনো মানুষকে যখন জানি, তখন শুধুই তাকে জানি। যখন তাকে ভালোবাসি তখনই সে মানুষটা সত্য হয় আমার কাছে। আমার ধর্তব্যের মধ্যে আসে।

    নইলে এই যে পোলাও আর আলুরদম খাওয়াচ্ছে, কেউ তো বলছে না, ও ঠাকুমা তুমি উঠে যাও, তোমার তো অন্য ধর্ম। কেউ তো বলছে না!

চাতাল

নিভা তার কাঁচাপাকা চুলগুলো গামছায় মুছছিল। হাত থেমে গেল। পরেশের নাতিটা স্নান করে বাঁধানো পুকুরঘাটে ছোটো ছোটো পায়ের ছাপ ফেলে এক দৌড়ে উঠে চলে গেল। নিভ

আপনজন

কথাটা ঠিক মাছ ধরা না। কথাটা হল সময় কাটানো। নইলে এই পুকুরে কি এমন মাছ হয় যে সকাল আটটা থেকে বেলা দুটো অবধি বসে থাকা যায়

সে শুনতেই পেল না

সে সারাদিন ধরে রাতের প্রস্তুতি নিত। প্রদীপের সলতেগুলো পাকাতো বসে বসে। রোদ উঠলে গাছের তলায়, আর মেঘলা থাকলে উঠানে বসে। হারিকেনে তেল ভরত, কাঁচগুলো ঘষেমেজে রাখত ঝকঝকে। 

Subscribe to অনুগল্প