তোমার জন্য
কেউ জানে না
চৌমাথা পেরিয়ে ভাবলে, এবার বুঝি একটা হিল্লে হল। যে রাস্তাটায় চলেছো সেটা যাবে সিধা। হয় না। তোমার সোজা রাস্তাটা পাঁচমাথার মোড়ে এনে দাঁড় করায় তোমায়।
তুমি মনে মনে বলো, বিশ্বাসঘাতক।
অভিমান হয় তোমার।
আবার একটা সোজা রাস্তা। তুমি হয়ত আবার নিশ্চিন্ত। সামনে এসে দাঁড়ালো দশমাথার মোড়।
তুমি দীর্ঘশ্বাস ফেললে।
অভিমান কুঁড়ি হয়ে ফুল হতে হতে ঝরে গেল।
ঈশ্বর
হে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর,
মেয়েটার তো বয়েস ছ' বছর ছিল
ওকে যখন তুলে নিয়ে গেল
আপনারই সামনে
আজকের দিনটা নিরাপদ ছিল তো?
এখন রাত গভীর
পাড়ার রাস্তা শুনশান
ঘরে ঘরে জানলা দরজা বন্ধ
স্ট্রীট লাইটের আলো চুপিচুপি কথা বলছে
গলির ছায়াগুলোর সাথে
আকাশ ভরতি তারা,
জানি,
তবু তাকাতে ইচ্ছা নেই
ঘাড়ে অসহ্য ব্যথা,
শক্ত হয়ে হয়ে আছে কাল থেকে ঘাড়ের পেশি
আবর্ত
প্রতিবার আবর্তটার বুক আঁকড়ে
চীৎকার করে প্রশ্ন করি -
"দরজাটা কোথায়? আমি বেরোব তো!"
আবর্তটা ঘুরেই চলে...ঘুরেই চলে...ঘুরেই চলে
শুধু আমার প্রশ্নটা
প্রতিধ্বনিত হয়ে
আমারই কাছে ফিরে আসে -
কবি
কবি বলেছিলেন
বুকের মধ্যে একটা পাথর রাখতে
ধ্বনিতে প্রতিধ্বনি জাগবে
রেখেছি কি?
কবি বলেছিলেন
অসহায় ক্রন্দনরত মানুষের পাশে দাঁড়াতে
দাঁড়ালাম কি?
কবি যেতে চাননি
যে সন্তানের মুখে একটা চুমু খেতে চেয়েছিলেন
সে কোথায়
সে সুরক্ষিত তো আজ?
একা
প্রতিটা মানুষ একা একা স্নান করে
ঢেউয়ে দোলে, নোনাজল খায়, সাঁতার কাটার চেষ্টা করে -
ফুরসত
তোমায় ভাবতে ভাবতে
দেখতে দেখতে
শুনতে শুনতে
যদি ফুরসত মেলে তো ভাবব
কেন তোমায় ভেবেছিলাম
পদ্মাবতী
আসতে দাও
ওরা আসুক
বারণ কোরো না
জানলার পর্দা সরিয়ে দাও
হাওয়া আসুক, রোদ আসুক
ফিরিয়ে দিও না
দরজাটা পুরো খুলে রাখো
কাদের যেন আসার কথা আজ!