Skip to main content
আমি ঈশ্বরের জন্য বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করেছি।
কাগজের নৌকা বানিয়ে ঈশ্বরের দিকে ঠেলে দিয়েছি বড় নর্দমায়। তখন ওটাই আমার নদী।
    ঈশ্বরের গায়ে পাঁক লাগেনি।
 
গ্রীষ্মের দুপুরে গরম হল্কা হাওয়ায় ঈশ্বর নীল আকাশের চিলের ডাক শুনিয়েছেন।
চোখ বন্ধ করলে
 কপাল থেকে বুক পায়চারি করেছেন ঈশ্বর একা একা।
  আমায় তর্জনী মুখে ঠেকিয়ে ইশারা করেছেন - চুপ!
  গভীর রাতে বৃষ্টির আওয়াজে ঈশ্বরকে ছাদে ভিজতে দেখেছি। সম্পূর্ণ একা দাঁড়িয়ে। বিদ্যুতের দিকে দুহাত বাড়িয়ে।
 
 হাস্পাতালের সিঁড়ির নীচের অন্ধকারে ঈশ্বরকে দেখেছি, বসে আছেন একা দু'পা ছড়িয়ে। কোলে মৃত সন্তান। তাঁর ঠোঁটের কোণায় উদাস হাসির রেখা। মৃত ঘুমে আচ্ছন্ন।
  ঈশ্বরকে ব্যস্ত বাজারে মুদির দোকানের দেওয়াল-ছাদের সন্ধিস্থলে নোংরা ঝুলে আটকে থাকতে দেখেছি। মাকড়সার অপেক্ষায়।
  মুখে নির্ভীক, ব্যঙ্গাত্মক হাসি। উদাস শিথিল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।
 
   ঈশ্বরকে বকতে শুনিনি কখনও
     বকা খেতে শুনেছি লক্ষবার
 
শেষ দেখলাম, 
  ব্যস্ত শহরে, দেওয়ালের দিকে ফিরে হিশি করতে করতে একটা লোক তাঁকে গালি দিচ্ছে।
     পিছনে দাঁড়িয়ে তার বাচ্চা মেয়েটা বন্ধ স্কুলব্যাগ পিঠে ঈশ্বরের হাত ধরে শুনছে, আর ঈশ্বরের আঙুল ফাটাচ্ছে টক টক করে।
 
      ঈশ্বর ওর দিকে হাসিমুখে তাকিয়ে।

Category