Skip to main content

ঈশ্বর

আমি ঈশ্বরের জন্য বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করেছি।
কাগজের নৌকা বানিয়ে ঈশ্বরের দিকে ঠেলে দিয়েছি বড় নর্দমায়। তখন ওটাই আমার নদী।
    ঈশ্বরের গায়ে পাঁক লাগেনি। 
...

ভুল

কিছু ভুলতেই হয়
এমন কি কিছু দেওয়া কথাও

কথাদেরও বয়েস হয়
কথারাও টেনে টেনে হাঁটে
...

এত

এত শব্দ। এত বাক্য। এত বর্ণন।
  কতটুকু তার সত্য কথন?

এত হাত। এত শরীর। এত হৃদয়।
  কটাই বা তার ছুঁলে সোনা হয়?
...

যেরকম

আমি জোর করে, নিজের মত করে
  তোমার হাত পা চোখ মুখ লিঙ্গ আঁকব না
...

এক দুগুণে দুই

পাথুরে মন আর স্রোতস্বিনী মন। তুমি ভাবছ তুমি কোনটা?

তুমি তীর। তুমি তট। তোমার একদিকেতে পাথুরে মন, আরেকদিকে স্রোতস্বিনী।
...

নিজেকে

নদীটার সামনে যে পাহাড়
   তার বিপরীত দিকে যাইনি কোনোদিন
প্রতিদিন নদী থেকে খাবার জল ভরে
   স্নান সেরে, শৌচকর্ম সেরে ফিরে গেছি বাড়ি
...

যুগান্তরের কবিতা

আমার গভীরে জন্ম নিয়েছে যুগান্তরের কবিতা
সভ্যতার ইতিহাসের হলুদ পোকায় কাটা দলিল
                                    উড়িয়ে দিয়েছি
...

নির্বাণ

অস্তিত্বের অর্থহীনতা যখন পাপোশে শুয়ে 
থাকা বেড়ালের মত রোদ পোয়াচ্ছে
  তখন সব গভীরতাই অন্ধকার
    সব ব্যঞ্জনবর্ণ দূরে দূরে
...

সময়ের মুঠো

সময়ের মুঠোয় ভাঁজ করা একটা চিঠি পেয়েছিলাম
    চিঠির ভাঁজ বরাবর জমেছিল কিছু বালি
তাদের উড়িয়ে দিয়ে
       চিঠিটা আবার নতুন করে পড়তে বসলাম
...
Subscribe to কবিতা