খোলামকুচি
সবাই বলল, খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল
এখনও বুঝলাম না
সময়, মৃত্যু, না জীবন
...
পালক
আগলে রাখতে চাইছিলাম
বিস্তৃত ডানায় পেলাম ভয়
ভালোবাসতেই তো চাই
আকাশকে বললাম,
ছেড়ে দিলাম
যা -
তোরই হল জিত
রোচক
মেয়েটা প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করত
কারখানায় যেতে
খারাপ পাড়ার পাশের গলিতেই যেতে হত
সবার ভাবতে শান্তি লাগত
মেয়েটা খারাপ পাড়াতেই কাজে যেত
কবির বিড়ম্বনা
সহস্র কণ্ঠে ধ্বনিত হল কবির গান। কবির ছড়া-কবিতা।
কোলাহল উঠল আকাশে বাতাসে
বুঝতে পারলাম না
বৃন্ত থেকে ঝরে যেতে যেতে
ফুলটা কি যেন বলে গেল
বুঝতে পারলাম না
ভাবতে ভাবতে ক্রমশ গাছ হলাম
কুঁড়ি ধরল। ফুল হল। ঝরে পড়ল।
বিনাবাক্যে ঝরে পড়ল
কেন,
কিছু বুঝতে পারলাম না
অপেক্ষায় থাকছি
আমি কখনও ত্রিভুজ
কখনও চতুর্ভুজ
কখনও বৃত্তের
ভিতর দিয়ে বাইরে তাকাচ্ছি
ফেরিওয়ালা
অসম্ভব গরম
রাস্তাঘাট শুনশান
একটা ফেরিওয়ালার ডাক শুনতে পাচ্ছি বহুদূর থেকে
অনেকক্ষণ ধরে
ভাবলাম
সে হয়ত ডাকতে ডাকতে এদিকেই আসবে
অপেক্ষা করতে করতে ঝিমুনি এসে গেল
গ্লাস পড়ে যাওয়ার আকস্মিক আওয়াজে চোখ খুললাম
তুমি অর্থ খুঁজলে
তুমি অর্থ খুঁজলে
আমি খুঁজলাম অনুভব
তুমি মিথ্যা নিলে
আমি নিলাম সত্য
তুমি দোপাটি লাগালে
আমি লাগালাম গম
তুমি সমুদ্রে ঘুরতে গেলে
আমি বেড়াতে গেলাম জঙ্গলে
তুমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে নদীকে বললে, এবার?
আমি উদাস হয়ে আকাশকে বললাম, ধুর
তোমার পাশে বসে থাকার একটা যন্ত্রণা আছে
তোমার পাশে বসে থাকার একটা যন্ত্রণা আছে
বিন্দু বিন্দু সময়
যেন ঘামের মত কপালে জমে
মিলিয়ে যাচ্ছে
ওরা প্রতিবাদ করবে না
তুমি একটা কফিনে
আরো কয়েকটা মৃতদেহ রাখতে পারো
অথবা কিছু মৃতদেহ
আধপোড়া করে নদীর চরে ফেলে রাখতে পারো
মৃতদেহরা প্রতিবাদ করবে না