Skip to main content

চলো

শান্তি ছিল
    আত্মসম্মানহীন 

প্রেম ছিল
    দখল করে বসে

নিরাপত্তা ছিল
   শুষ্ক নদীতে 
      নোঙর ফেলা নৌকার মত

মৃত্যু এলো যখন
      সবাই ভাবল সে বলবে -
              "এখন না, এত সুখ!" 

আর তুমি

আমার বুক ভরে নেওয়া শ্বাস প্রশ্বাস
আর তুমি


আমার চোখে জেগে থাকা আলোর সাগর
আর তুমি

আমার শ্রবণ জুড়ে বাতাসের আনাগোনা
আর তুমি

আমার জিহ্বায় জাগা জলের তৃপ্তি
আর তুমি

আমার স্পর্শে জাগা প্রাণের সাড়া
আর তুমি

আমার হৃদয় জুড়ে বওয়া জোয়ারভাটা 
আর তুমি

আমাকেও সঙ্গে নিও

তুমি ছাড়া 
সব তছনছ করে যাবে
        আর কে বলো?

এসো 

আমার আবার সব গোছানো হয়ে গেছে, 
        নতুন রকম করে

  এবার আসবে যখন
      পারলে সব
          পুড়িয়ে দিয়ে যেও

আদিম অনন্ত আকাশ

অতিমারীর প্লাবনে
    সদ্য মা হারা 
       বাচ্চা মেয়েটা
          ঘরের সব আলোগুলো জ্বেলে 
              দাঁড়িয়ে ঝুলবারান্দায় 
                              একা

ভালো

যে ভালো শুধু তোমার ভালো বলেই ভালো,
    সে আদৌ নয় ভালো। 

যে ভালো কেবল তোমার আমার ভালো বলেই ভালো।
    সে হয় তো অল্প অল্প ভালো। 

যে ভালোতে হয় অনেক মানুষের ভালো,
    সে বটে তবে বেশ কিছুটা ভালো। 

তুমি অস্থির হও

তোমার সাবধানতা
    তোমার হৃদয় আগলে দাঁড়িয়ে থাকে অহর্নিশি 

কখনও হৃদয় ঘুমিয়ে পড়ে অসময়ে
 কখনও বা সে ছেলেমানুষী বায়নায়
         উত্যক্ত করে 
           হিসেবী-বুদ্ধি প্রহরীকে

তুমি অস্থির হও

হবেই তো

এখন

এখন এত ভিড়
     এখন এত কথা  
          এখন সব খণ্ডিত 
                এখন শুধু আমি 
           এখন নেই দুই
       এখন নিস্তব্ধতা
   এখন অখণ্ডতা
এখন শুধু তুমি

যত্তসব

যেন কয়েক বস্তা দুঃখ শুধু তোমারই ঘরে জমেছিল

যেন এক সমুদ্র সমস্যায় 
তোমার নৌকাই শুধু হাবুডুবু খেয়েছিল

যেন সব বিশ্বাসঘাতক ষড়যন্ত্র করে
তোমারই ঘরে সিঁধ কেটেছিল

অমন কতশত বস্তা, সমুদ্র, কাটা সিঁধ 
   যে অগুনতি আছে,
      কিচ্ছুটি জানো না তুমি

নইলে


==
আশেপাশে কেউ থাকলে
    তোমায় না ভাবার চেষ্টা করি

নইলে কৈফিয়ত দিতে হয়
     অন্যমনস্কতার 


===
আমায় অনুভব করে বোলো
   অনুভব করলে কাকে,
      আমায়
          না নিজেকে?

Subscribe to কবিতা