কারণ তো শুধু এই
বারবার ভুলে যাও কেন
বেরোনোর দরজা
আলগা করে রয়ে ভেজানোই
বেরিয়ে যাওয়া যায়
চাইলেই যে কোনো সময়ে
অন্যের ঘুম না ভাঙিয়ে
একান্তেই
সে দরজা খুঁজে পাও না
দেখতে চাও না তাই
কি করে জানবে বলো?
খবরের কাগজে কি সব খবর লেখে বলো?
এত যে তোমরা কেন রাতদিন খবরের কাগজ পড়ো, বুঝি না বাপু!
এই তো আজ সকালে স্কুলে যাচ্ছি
বাপির বাইকে চড়ে
দেখলাম কালো কুকুরের বাচ্চাটার একটা পা রয়েছে ভেঙে
লেংচে লেংচে চলছে
লিখেছে তোমাদের কাগজে?
তোমার গন্ধেই তো
বন্ধ দরজা খুলতেই
সারা ঘর জুড়ে তুমি
তোমার গায়ের গন্ধ
তুমি এসেছিলে
এ কথাটা শুধু
আমার বুকেই বিঁধে ছিল না তবে
ভুলে গিয়েছিলাম,
তোমার গন্ধেই তো
আমায় ঘিরে বসন্ত
বিয়ে দিয়ে দিন
আবর্জনা
যে মেয়েটা মার খেয়ে এলো
কে সে?
মেয়ে নয় গো মেয়ে নয়
হিজড়ে হিজড়ে হিজড়ে
মা কাঁদে কেন মেয়ে মেয়ে বলে?
বা রে বা, লজ্জা নেই?
সমাজ নেই? ধর্ম নেই?
তাই মা কাঁদে মেয়ে বলে
লোককে ওসব বলতে নেই
বলতে নেই, বলতে নেই
পালিয়ে ছিল?
আর না তো কি?
কোথায় কোথায়?
খেলছে সাদাকালো
তোমার মনে হতেই পারে
মানুষ বড় স্বার্থপর
সে তো চিরকালই বলো
অতশত না ভেবে ভাই
নিজের মনে চলো
তোমার মনে হতেই পারে
মানুষ বড় অবুঝ
সে তো চিরকালই বলো
অতশত না ভেবে ভাই
নিজেই বুঝে চলো
নাম অপরাধ
যে নামের মাহাত্ম্য
প্রাচীন ঋষিচিত্ত উপলব্ধিগামী
আত্মার মুক্তিহেতু জপিবারে
আছিল বিধান
শুশ্রূষার আশায়
মাত্র কদিনের পরিচয়
মাত্র এই কদিনেই তোমায় ভালোবেসে ফেললাম
বন্যায় গাছপালা বাড়িঘর
ভেসে যেতে দেখেছি টিভিতে
এইবার নিজেকে ভেসে যেতে দেখলাম
হৃদয়ে
সারাক্ষণ কেমন যেন
মন খারাপ খারাপ লাগা
যেন গ্রীষ্মের দুপুরে বন্ধ পাখার দিকে তাকিয়ে
সহবাসী নয়
কোনো একদিন আমিও শিখে যাব
যখন তখন
যেখানে সেখানে
এক গাল হেসে জিজ্ঞাসা করতে আপনাকে,
"কেমন আছেন?"
যেন আমার ভালো থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই বাতুলতা
আমি যার মধ্যে
সারারাত জেগে কাটালাম
তোমার জন্য
যদিও তুমি সঙ্গে ছিলে না
ভোর হল
ক্লান্ত শরীরে
অভিমান হল
বৃথা কার জন্য কাটালাম
সারাটা রাত, জেগে?
মন বলল,
আমি যার মধ্যে মিশেছিলাম