লজ্জার, ভীষণ লজ্জার
একদিন ধর্মান্ধতা গ্যালিলিওকে অন্ধ করে দিয়েছিল, একদিন ব্রুনোকে পুড়িয়ে মেরেছিল। আজ আমার মনের গভীর থেকে ধিক্কার এলো আরো গভীরভাবে। এত মানুষের মনের মধ্যে অন্ধকারকে
...
লকডাউন ও ছাত্র-ছাত্রী
শিবানী কুমারী শাউ। বয়েস ষোলো। হাওড়ায়
...
লড়াই চলুক
শুধু সব কিছুর শেষে যেন মানুষের আত্মসম্মানটাই জয়ী হয়। সেটুকু বেঁচে থাকলেই সে বাকিটা আবার তৈরি করে নিতে পারবে। ...
লক্ষ্মী
একটা পাখি ডেকেই যাচ্ছে। এইমাত্র মেঘ কেটে চাঁদ উঠল। আজ সারারাত লক্ষ্মী হেঁটে হেঁটে ঘুরবে। দেখবে কে কে জেগে আছে রাতে।
ট্রেন থেকে নামতেই পায়ের তলাটা টাটিয়ে উঠল। ধূপকাঠির প্যাকেটগুলো থেকে মিষ্টি গন্ধ বেরোচ্ছে। আজ ট্রেন অনেক লেট করল। নইলে এতক্ষণ লাগে?
লে লে, আমায় গেল
এ আমার একার অস্তিত্ব। অল্প অল্প ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের মত। আকাশ ধরো সময়। ধরো সব মেঘ বিছিয়ে দিলেও আকাশ শূন্য থেকে যাবে। আমি সব সময় একা। এত মানুষ এলো গেলো। এত ভালোবাসা-বাসি। এত বুকফাটা বিরহ। এ সবই হল। কিন্তু দাগ কাটল না। আমি একা। এটাই আমার পরিচয়।
লাস্ট বাস
বাসের শেষ সিট। ফাঁকা বাস। হয় তো শেষ বাস। কন্ডাক্টর ঝিমোচ্ছে। ফাঁকা রাস্তা। ক্ষমতার চেয়ে বেশি স্পিডে ছুটছে বাসটা।
হঠাৎ একটা ভীষণ ঝাঁকুনি দিয়ে দাঁড়িয়ে গেল বাসটা। কন্ডাক্টর একবার জানলার দিকে মুখ বাড়িয়ে বলল, ধুস্ শালা, আবার!
লাস্ট পিরিয়ডটা হবে আসবে দাদা?
আজ খবরের কাগজ জুড়ে পড়লুম, B.1.617.2 নাকি বেজায় গায়ে পড়া, ভ্যাক্সিনের কোনো বাধা মানেনিকো, আর রুগীরে একদম তেনার দুয়ার অবধি নাকি নাকানিচোবানি খাওয়াতি পারে। তেদ্রোস এমনিতেই ত্রাসবাহক। তায় আবার বলছে এ নাকি ভীষণ চিন্তার কারণ। বলি হ্যাঁ গা, ভীষ্মের শরশয্যার কথা শাস্ত্রে পড়েছিলুম, টিভিতে দেখেছিলুম। একি আমাদের জগতজোড়া সেই দশায় নিয়ে যেতে চাইছে নাকি গা?
লড়াই চলছে
শুধু জ্বলন্ত শ্মশান তো নয়
শুধু মৃত্যুর সংখ্যাও তো নয়
লড়াই চলছে
কেউ গলা উঁচিয়ে
শিরা ফুলিয়ে
মুষ্টি বাগিয়ে বলুক
খবরের কাগজে
প্রথম পাতায় বলুক
লিডিয়া আর চাদ্দিকের মুচমুচে ভাবসাব
লোহার ফুলঝুরি
সবুজ গেঞ্জি, এতটাই বড় যে প্যান্ট না পরলেও চলে, সে পরেওনি। রোগা কালো শরীরটা সোজা দাঁড়িয়ে বড় মানুষদের হাঁটুও ছুঁতে পারেনি। তার এক হাতে চকমকি কাগজের গরম চা, আর
লিও
লোকটা
এত হাসতে আমি লোকটাকে কবে দেখলাম?