Skip to main content
 
 
 
আজকে 'এই সময়ে' খবরটা পড়লাম। তারপর আরেক সূত্রে জানলাম জয়রামবাটিতেও নাকি সূর্যগ্রহণের আগে আগে রান্নাবান্না হয়ে যাবে, খাওয়াও হয়ে যাবে।
       একদিন ধর্মান্ধতা গ্যালিলিওকে অন্ধ করে দিয়েছিল, একদিন ব্রুনোকে পুড়িয়ে মেরেছিল। আজ আমার মনের গভীর থেকে ধিক্কার এলো আরো গভীরভাবে। এত মানুষের মনের মধ্যে অন্ধকারকে
দেগে দেওয়ার এর চাইতে কি ভালো কৌশল হতে পারে। হায় রে গেরুয়াধারী অন্ধজীবীগণ, সেখানে নাকি নানা উচ্চমানের সব প্রতিষ্ঠানের বড় বড় ডিগ্রীধারী বিজ্ঞানবিভাগের ছাত্র আছে। এ কোন দেশী পড়াশোনা তাদের? ছি ছি। লজ্জার, ভীষণ লজ্জার। যারা এত উদারতার কথা বলে, যারা এত প্রগ্রেসিভ হাবভাব দেখায় তারাই এই অন্ধকারের প্রচারক। সারাটা দেশ যখন সামনের দিকে এগোতে চাইছে তখন একি ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্ত! এর পরেও বলা হবে বিবেকানন্দর জন্মদিন যুব দিবস! কোন যুবকদের ভাবের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি? এই অন্ধকারময় সিদ্ধান্তের? কেন সেই গেরুয়াধারীরা জানে না যে চন্দ্রসূর্যপৃথিবীর কি অবস্থানে এই গ্রহণ হয়? নানা সিউডোবিজ্ঞান আছে, তাদের নানা যুক্তিও আছে। সেগুলো আস্তাকুঁড়ে শোভা পায়, বইয়ের তাকে নয়।
       ডারউইন, দেকার্ত প্রমুখ মানুষেরা চার্চের ভয়ে দীর্ঘদিন সত্য গোপন করেছিলেন। কি সত্য? প্রমাণিত সঙ্গত সত্য। আজ একি মূর্খামি! একি অজ্ঞতা! এই কি অন্ধবিশ্বাসের উদযাপন! এর পরেও হাজার হাজার শিক্ষিত মানুষ ওই প্রণামে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবেন। কিসের কৃপা পেতে? যারা বিশ্বাস করেন সূর্যের উপর চাঁদের আড়াল পড়লে খাওয়া যায় না? মন্দির খোলা যায় না? তবে সেই সব লক্ষকোটি ভক্ত বাড়িতেও এই নিয়ম হবে? হায় রে হায়! কি স্ববিরোধ! কি ভণ্ডামি! কি মধ্যযুগীয় উৎসব!