দরবারি কানাড়া
গভীর রাত। বাঁশিতে বাজল সুর - দরবারি কানাড়া। সুর উঠল কেঁপে কেঁপে চার দেওয়ালের মধ্যে মাথাকুটে। কে দেবে ওকে আগল খুলে? ও কাকে চায়? কার কান্না ওর বুকে এমন জমাট বেঁধে?
সত্য উত্তর
বিশ্বাস
একাকীত্ব
টর্চ
টর্চটার একদিন খেয়াল হল। কি খেয়াল হল? না সে তার ব্যাটারীগুলোকে দেখবে। এদিকে ঘরে আর অন্য আলোও নেই। তো তা সে মানবে কেন? জোর করে সব ব্যাটারী বার করে টেবিলে রাখল। তারপর সে ব্যাটারীগুলো দেখবে বলে আলো জ্বালার চেষ্টা করতে লাগল, মানে নিজেকে জ্বালানোর আর কি! এখনো চেষ্টা করে চলেছে।
যেমন কেউ কেউ তাঁকে ভিতরে ছেড়ে বাইরে দেখার গোঁ ধরেছে।
নাবিক
বাসনাগুলোকে নাবিক করেছি। খালাসির কাজে ছিল ওরা। তাদের দিলাম নাবিকের ভার।
শীতের কম্বল
যে আলোতে নিজের, অন্যের ভিতরটা দেখা যায় তা হল অনুকম্পা। অন্যের দিকে ফিরলে অন্যকে দেখায়, নিজের মধ্যে ফিরলে নিজেকে চেনায়। না হলে, নিজের অহংকারের জুলুমে অন্যকেও মারি, নিজেও মরি। নিজের ভার লাঘব করলে অন্যের চলার পথে পাথর হই না, আর নিজের বুকের ওপর পাথর হয়ে বসি না।
চাবি
তোমাকে ভুল বোঝার মানুষ প্রচুর পাবে। ঠিক বোঝার মানুষ হাতে গোনা কয়েকজন। দেখো যেন সেই 'ঠিক বোঝা'র মানুষগুলোর মধ্যে প্রথমজন হও তুমি নিজে।
চলা
না তো দুর্ভাগ্যকে অস্বীকার করতে পারো, না তো সৌভাগ্যের পথ চেয়ে সব কাজ ফেলে বসে থাকতে পারো।
মাঝামাঝি একটা রফা তোমায় করতেই হবে। জুতো না মিললে খালি পায়েই হাঁটতে হবে। তবু হাঁটতেই হবে। জুতোর ওজর দেখিয়ে বসে থাকলে, জুতোর মানই বাড়ে শুধু অনর্থক, ক্ষতি যা হয় সে আমার। সে না-চলার ক্ষতি, রক্তাক্ত পায়ের তুলনায় অনেক বেশি। ক্ষত সারবে, কিন্তু, সময় আর ফিরবে না যে!
খেলাঘর
যে মানুষের সব সুখ-দুঃখ কোনো একটি বিশেষ মানুষকে ঘিরে, তার পক্ষে স্বাস্থ্যকরভাবে ভাল থাকা খুব মুশকিল। কারণ কোনো মানুষেরই ক্ষমতা নেই কোনো মানুষের এতটা মনোযোগের ভার বইতে পারে। এমনকি সে চাইলেও। অনেকেই যেমন কতটা খাবার খাওয়া তার স্বাস্থ্যের পক্ষে অনুকূল বুঝতে না পেরে, আকণ্ঠ খেয়ে হাঁসফাঁস করেন। তেমনই বহু মানুষই ঠিক কতটা প্রেম হজম করতে পারেন, তা না বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তারপর? সেই হাঁসফাঁস!!!