সৌরভ ভট্টাচার্য
28 June 2017
রাগ যোগ - গভীর রাতের দ্বন্দ্ব। মানুষের চেতনার গভীরে এক গভীর দ্বন্দ্ব। যার চেতনার শিকড় যত গভীরে তার দ্বন্দ্ব তত তীব্র, তত নিষ্ঠুর, তত অমোঘ। অসীমের সাথে সীমার দ্বন্দ্ব। চিরকালের সাথে ক্ষণকালের দ্বন্দ্ব। সব কিছু পরিবর্তন হয়ে হয়ে যাচ্ছে। জন্মাচ্ছে বিনাশ পাচ্ছে। কিন্তু তার ভিতরে কে সে যে এ সবের সাক্ষী থেকে যাচ্ছে? সে তো বদলাচ্ছে না। সে কি তার? সে নিজে কি তার ছায়া? রাতের আকাশ সহস্র দীপশিখা জ্বেলে বলে, হ্যাঁ হ্যাঁ। চোখ - বুদ্ধি বলে না না। হৃদয় কঁকিয়ে কেঁদে ওঠে। কে আমি? কার সন্তান? আমি কি আচমকা ঘটে যাওয়া অণু-পরমাণুর আকস্মিক মিলনের পরিণাম শুধু? নাকি আমার বোধের শেষ পরিধির পারে কেউ জেগে থাকে? যে সীমারেখা টানে আমার বোধের, সে-ই আবার পর্দা সরিয়ে হৃদয়ের সামনে মেলে অনন্ত আলোর রাজ্যের ছবি। অনুভব আন্দোলিত হয়। বলে ওঠে, আছে আছে আছে। অথচ নিজের মধ্যে সে সম্পূর্ণ সাড়া পায় না। সে দেখে মানুষ কোনো কিছু পাওয়ার আগে যে ভাবে একাগ্র-সংযত, পাওয়ার পর সে ততটাই অস্থির-অসংযত। আবার কিছু খুঁজতে শুরু করে। নিজেকে আবার একাগ্র করে। পায়। আবার অস্থির হয়ে পড়ে। তবে কি কিছু এমন নেই সংসারে যাকে একাগ্র হয়ে পেতে পেতে সে পূর্ণ হয়ে ওঠে? তার মধ্যে পূর্ণ হয়ে ওঠার কান্নাটা জাগে। চিত্তের অভাবটায় সে লজ্জিত হয়। সে যেন অনাথ। যেন মূল্যহীন বুদবুদ একটা সময়ের সাগরে। তার অভাবের কান্না পূর্ণতার দিকে তার চোখ ফেরায়। কার যেন হয়ে উঠতে হবে তাকে। কার অভিসারের সাজে সাজতে হবে। সেই কান্না থেকে জন্মায় এক তীব্র মিলনের ইচ্ছা। তৈরি হয় রাগ যোগ।
তারই একটা অসামান্য রূপায়ন আলি আকবর আর এল সুব্রহ্মণিয়ামের সাধনায়।
তারই একটা অসামান্য রূপায়ন আলি আকবর আর এল সুব্রহ্মণিয়ামের সাধনায়।