Skip to main content

কিছু ঘটলে বা ঘটব ঘটব করলে সবাই বলেন উদ্বিগ্ন না হতে

কিছু ঘটলে বা ঘটব ঘটব করলে সবাই বলেন উদ্বিগ্ন না হতে। আমিও নিজেকে বলি উদ্বিগ্ন হওয়ার মত কিছু হয়নি, হবেও না। আমার মন প্রাণ বুদ্ধি বিচার বিবেচনা সব্বাই বোঝে কথাটা। মাথাও নাড়ে। কিন্তু উদ্বিগ্নতা আর কিছুতেই বোঝে না!

খাদ থেকে বাঁচাতে না পারলে, যে নিজেও খাদে পড়ার জন্য প্রস্তুত, সে-ই বন্ধু

খাদ থেকে বাঁচাতে না পারলে, যে নিজেও খাদে পড়ার জন্য প্রস্তুত, সে-ই বন্ধু। 
আর বাদবাকি যারা বন্ধুর মত, চৌমাথায় ট্রাফিক সিগন্যালে একসাথে আছি আটকে, সিগন্যাল সবুজ হওয়ার অপেক্ষায়, মনে মনে। সিগন্যাল পেলে কে কোনদিকে যাব কে জানে?!

বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি


        কোনো নীতিই যখন কৈফিয়ত কিম্বা জবাবদিহির তোয়াক্কা করে না, তা অবশ্যই দুর্নীতি। কোনো মানুষও।

অনেকের মত আমিও দৌড়েছিলাম

অনেকের মত আমিও দৌড়েছিলাম। একাই দৌড় লাগিয়েছিলাম। সবার আগে শেষ প্রান্ত পৌঁছানোর নেশা আমাকেও পেয়ে বসেছিল। ছুটতে ছুটতে আমিও সমুদ্রের তীরে এসে পৌঁছালাম। বালিতে অনেক পায়ের ছাপ, যারা আমার আগে এসেছিল, নানা যুগে, নানা কালে। অনেকের মত আমিও বুঝলাম, আর যাওয়ার নেই কোথাও। কেউ কেউ সব যুগের কিছু নির্বোধের মত সাঁতরাতে লাগল, কেউ ওপারে নিয়ে যাওয়ার নাবিকের অপেক্ষায় রইল। আমি ফেরার পথ ধরলাম, অনেকের মত। আমার আগে অনেক

ছোটোবেলায় মনে হত প্লেনটার সাথে বুঝি তারাগুলোর ধাক্কা লাগবে এক্ষুণি


ছোটোবেলায় মনে হত প্লেনটার সাথে বুঝি তারাগুলোর ধাক্কা লাগবে এক্ষুণি। তারাগুলো ভেঙে পড়বে ঝুরঝুর করে। প্লেনটা মুখ ঘুরিয়ে চলে যাবে অন্যদিকে।
বাস্তবে তা হয় না তো! সব প্লেন ওড়া শেষ হয়ে যায়, তারাগুলোও অক্ষতই থেকে যায়।

মার্কেজ- রবীন্দ্রনাথ

মনুষ্যজাত একটাই। তার গাত্রবর্ণের, তার বাহ্যিক শব্দোচ্চারণে পার্থক্য আছে, তার দেশ-কালের নিরিখে বাহ্যিক আচরণে, প্রথায়, খাদ্যাভাসে পার্থক্য আছে। কিন্তু তার বোধ আর অনুভবের পার্থক্য নেই। সেই কথাটাই সঙ্গীত আর সাহিত্য বারবার বলে এসেছে প্রাচীনযুগ থেকে। শিল্পের এইটাই সবচাইতে বড় দায় বোধহয়, দেশ-কালের সীমারেখার ঊর্দ্ধে গিয়ে এক অবিনাশী মনুষ্যত্বের ধ্বজা বহন করা। যে বোধ না বুঝে অনুভব করা যায় তাই সার্বজনীন। তাই শান্তি, সৌহার্দ, সহমর্মিতার বিশ্বজনীন ভূমি।
...

সদর দরজা

মনের একটা সদর দরজা আছে। সেই দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকলে সার দিয়ে কত যে ঘর তার ঠিকঠিকানা নেই। তবে মুশকিল হল সে ঘরের চাবিগুলো আমার হাতে নেই। কার হাতে যে আছে তাও জানা নেই। তবে কারোর হাতে নিশ্চয় আছে।
...

ভালোবাসা যদি নখের মত বেড়ে যায়, মাঝেমধ্যে কেটে ফেলাই ভালো


ভালোবাসা যদি নখের মত বেড়ে যায়, মাঝেমধ্যে কেটে ফেলাই ভালো। নইলে ওতে অন্যকে তো বটেই, নিজেও ক্ষত-বিক্ষত হতে হয়। নখে রঙ করলে কি আর ধার কমে? তার চাইতে নখ-কর্তকের সাহায্যেই চলাফেরা, ভালোবাসা সামলে-সুমলে রাখা ভালো। মেসেঞ্জারের প্রেম আর সংসারের বাজেট সামলানো প্রেমের মেলা পার্থক্য, নয় কি?

ভাড়ুদত্ত তার্কিক

        সামনে একটা জবাগাছ। জবা ফুটে আছে। সেটাই স্বাভাবিক। জবাগাছে জবাই ফুটবে। দার্শনিক মশাই পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। জিজ্ঞাসা করলুম,
- বলুন তো এটা কি ফুল? (উনি জবা চেনেন না তা নয় তবু ঠাট্টার কারণে)
        উনি ফুলটার দিকে তাকিয়ে বললেন,
- রজনীগন্ধা তো নয়...
- তবে কি ফুল?
- ডালিয়াও নয়

Subscribe to চিন্তন