যখন খুব পিঠ চুলকায়, চুলকানোর উৎসমুখটা খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়, তখন তাকে হাতড়ে হাতড়ে খুঁজে পেলে ভীষণ আনন্দ, আরাম।
অহং এর তেমন হঠাৎ হঠাৎ বিকার ওঠে। অন্ধকারে হাতড়াতে হাতড়াতে যে বিন্দুতে সে বিকারের আরাম হয় তা হল - নির্মোহ। নিজের উপর, নিজের যা কিছু সঞ্চয়, সৃষ্টির উপর নির্মোহ হতে না শিখলে চলা দায়। নদী যেমন সারাপথের সঞ্চয় শেষে জড়ো করে বদ্বীপ তৈরি করে নিজের পথ নিজেই আটকায়, এ খানিক তেমন।
সেই স্ব-স্বজাত-স্বাবৃত যা কিছুর উপর নির্মোহত্বই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। একটা ডিলিটে আমি ও আমার সব কিছু চলে গেলেও মহাবিশ্বের মহাকালের বিন্দুমাত্র ক্ষয়ক্ষতি হবে না - এই বোধটাই সব চাইতে বড় শিক্ষক, রক্ষক, অনুপ্রেরক আমার। সেই মহাকালের দরবারে মহামুনির মহৎ উপলব্ধি, যা আমার কাছে সাবধান বাণী -
"জীবনের কোনো-একটি ফলবান্ খণ্ডকে
যদি জয় করে থাকি পরম দুঃখে
তবে দিয়ো তোমার মাটির ফোঁটার একটি তিলক আমার কপালে;
সে চিহ্ন যাবে মিলিয়ে
যে রাত্রে সকল চিহ্ন পরম অচিনের মধ্যে যায় মিশে"...